Skip to main content
Select All

প্রান্তিক

কবে দাঁড়াব সামনে তোমার -
     অখণ্ড অবকাশে,
   পিছনে রেখে সব সংসার ভার -
        বিনা শোকে, বিনা ক্লেশে?

ধর্ষণ

খুব আলোচিত বিষয় - ধর্ষকদের ফাঁসি হওয়া উচিৎ কি না। আমি ভণিতা না করে সরাসরি আমার নিজের চিন্তা-ভাবনার নির্যাস বলি - উচিৎ।

মনুষ্যসমাজে তিন ধরণের মানুষ দেখা যায় প্রধানত রুচির দিক দিয়ে।

মাটি

হতে পারে তোমার ঘুম আসছে না
হতে পারে তুমি কাজের ফাঁকে ফাঁকে
                হচ্ছ অন্যমনস্ক
কোথায় যেন ঘটেছে কিছু ভুল
  কার কাছে যেন বাকি আছে ক্ষমা চাওয়া
একবার বাইরে এসো
খোলা আকাশের নীচে দাঁড়াও
একবার নত হও
স্পর্শ করো মাটি দু'হাত বিছিয়ে

ঢল

দেখতে দেখতে
সব বাড়িতে জ্বলে উঠল আলো
  ঠোঁটের আবদার লাগল গালে যেই
বিষন্ন কুয়াশা কাটল
আড়ামোড়া ভাঙা শরীরে এল আদরের ঢল
সন্ধ্যে এখন
চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া ঠোঁট
  চোখ নির্জন অরণ্যে একা সর্দার
     তুমি অরণ্যের গুপ্ত জিয়ন ডাল
আঙুলগুলো পরীদের যাদুকাঠি

কথা

না তো। আসেনি তো কেউ?
শাড়িটাকেই ঘিরে ভাঙা বারান্দার উত্তর দিক আটকানো
পৌষের শীত গো মা, মানবে কেন?
আরে আরে ডেকো নি গো!
ও রাত আটটাতেই ঘুমুতে যায়।
কি খায়?
থাকলে খায় ভাত
না হলে খায় মুড়ি
হে হে...মাঝে মাঝে বাতাসও খায়
কোথায় শোয়?
ওই মাদুর পেতে। নিকানো বারান্দা।
ঠাণ্ডা লাগে?
না তো, সারা শরীরে কড়া পড়ে

গোসাঁই

নতুন ইংরাজী বছরের প্রথম দিন। সকাল ১১টা হবে। কাজের গতি শিথিল। ছুটির আমেজ। গোসাঁই এল। সেই সাদা ধুতি, সাদা পাঞ্জাবী, হাতে একতারা, পায়ে ক্যাম্বিসের জুতো। বয়েস পঁচাত্তরের আশেপাশে হবে। শীর্ণ, কালো দেহ। চোখ দুটোর একটা আকর্ষণ আছে। কি একটা যেন ঘোর। সামনে দাঁড়ালে মনে হয় যেন গ্রীষ্মের দুপুরে বড় দীঘির পাড়ে এসে দাঁড়ালাম। মনটা শান্ত হয়ে যায়।

শুভ নববর্ষ

ভালোবাসা
আমার আলো

ক্ষমা
আমার স্নানজল

বিশ্বাস
আমার পথ

অনুরাগ
আমার গতি

প্রার্থনা
হতাশার অন্ধকারে
   আমার চকমকি

বন্ধুরা
আমার হৃৎযন্ত্রের ছন্দ

স্বপ্ন
কোনো একদিন
সাদা খবরকাগজের পাতা

তুমি
আমার আশা
আমার দিশা
আমার শেষ আশ্রয়

 

বর্ষশেষ

মামু বলল, দেখো ডুবন্ত সূর্য.... কি দারুণ রঙ না মামু!

ধরা দিতে চাইলে দূরত্বটা কিছুই নয়

ধরা দিতে চাইলে দূরত্বটা কিছুই নয়
চাঁদের আলো বিছানার চাদরে পড়লে বুঝি
ধরা না দিতে চাইলে অতি নৈকট্যও ফাঁকি
হাতঘড়ির আওয়াজটা কানে এলেই বুঝি

মাছ

- ও মাছদাদা, চিংড়ি কত করে?

- দুশো করে বৌদি।
- এবারে উঠেছে বোধায় বেশি নাকি?
- হ্যাঁ, নেবেন?
- না না, আগের টাকাগুলো শোধ করে নিই। আগেরটা তো দিতে পারিনি এখনো। আসলে ওর মাইনে হতে দেরী হচ্ছে। হলেই দিয়ে দেব। তারপর মাছ নেব, কেমন?
- ঠিক আছে বৌদি।

মাছওয়ালা সাইকেল নিয়ে চলে গেল। শ্বেতা বারান্দার গ্রীল ধরে এখনো দাঁড়িয়ে। বয়েস পঁয়ত্রিশের আশেপাশে হবে। 

Subscribe to