Skip to main content

শূন্য মন্দির মোর

"এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর, শূন্য মন্দির মোর", বিদ্যাপতি লিখলেন। সুর তিনি কি করেছিলেন জানা নেই। রবীন্দ্রনাথ যে সুরটা করলেন, সেটা জানি। 

     বিদ্যাপতির লেখায় বিরহের সুর। শেষে প্রশ্ন, কি করে হরি বিনা দিন রাত কাটাবি? “বিদ্যাপতি কহ কৈছে গোঙায়বি হরি বিনে দিন রাতিয়া”। 

নাছোড় কম্পাস

(মামুর জেনারেশন যে ভাষায় কথা বলে)

 

অর্ধেক বাঁধা প্যাণ্ডেল

চন্দনার মাথাটা গরম ছিলই। চারটে বাড়ি কাজ। সমস্যা হয় মুখার্জি বাড়ির বৌদিকে নিয়ে। জন্মের শুচিবাই। অতগুলো বিছানার চাদর কেউ একসঙ্গে ভেজায়? জানে না এই এক সপ্তা হল ডেঙ্গু থেকে উঠেছে চন্দনা! লোকের বাড়ি খেটে খায় বলে কি মানুষ না!

দ্বিধাকূল

বাঙালি সব সময়েই দ্বিধাকূল জাত। সৌমিত্র, না উত্তম; সত্যজিৎ, না ঋত্বিক; রবিশঙ্কর, না নিখিল ইত্যাদি ইত্যাদি।

"আও"

যা পালা!

একবার হল কি, তখন খুব ছোটো আমি, তো বোন আর ভাইকে নিয়ে সপ্তমীর দিন সন্ধ্যেবেলা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি। বলা বাহুল্য তারা আরো ছোটো।

অনৃত 

আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের শরিক না হয়, আমি স্বৈরাচারী হই, তুমি জানো না? 

আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের অংশীদার না হয়, আমি ধূর্ত, কপট হই, তুমি জানো না?

আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের অনুগামী না হয়, আমি শব্দ ব্যবসায়ী হই, তুমি জানো না?

আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের ভালোবাসা না হয়, আমি শূন্যের প্রতিশব্দ হই… তুমি জানতে পারবে না কোনোদিন
     আমি জানি!

নেই

তুমি চলে যাওয়ার পর সব 

দেওয়াল বলল
         আমি নেই

ছাদ বলল
   আমিও নেই 

খাট, বিছানা, পাখা, আলো, বইপত্তর সবাই বলল
   আমি নেই

এমনকি ঘরের মধ্যে
 যেটুকু ছিঁটেফোঁটা সুখ, আরাম, বিশ্রাম ছিল
    তারাও বলল
           আমরা নেই

পড়োনি বুঝি!

অন্ধকারে আলো জ্বালতে সাহস লাগে। অন্ধকারে আলো জ্বালা তো শুধু নয়, আছে আলোকে বাঁচিয়ে রাখার দায়! 

তাই, আলোর মধ্যে আলো জ্বেলে আছি বসে। নিভে যায় যদি, কেউ জানবে না। নিন্দে হবে না। বিদ্রুপ নেই, রূঢ়কথাও কেউ বলবে না। 

কিন্তু অন্ধকারে নিভে যায় যদি আলো! কি গভীর হবে অন্ধকার আরো! কি ব্যঙ্গ, কি বিদ্রুপ, কি নিন্দা, কি তামাশা! থাক থাক, এত বড় দায় কে নেবে ভাই! 

Subscribe to