Skip to main content

বাউল

মন বিষণ্ণ। মন পেলো না পারের খবর। আসা যাওয়া দেখছে সে জনমভর। প্রাণ আর জড়ের মধ্যে কোন চৈতন্যের বাস? কে বাসা করে মানুষের বুকে? কার ইঙ্গিতে বর্ষা বসন্ত নিয়ম করে আসে যায়? মন বোঝে তার গভীরে পাতাল সিঁড়ি, নামলে পরে নামতেই থাকে, নামতেই থাকে, নামতেই থাকে। চোখ কিসের সুখে আপনিই ভরে ওঠে, বুকের ভিতর দুধ ওথলানো, পাওয়া না-পাওয়ায় মেশা কান্না সুখ। কার মুখের আভাস ওই নীলাকাশে আবছা ভেসে ওঠে?

যাওয়া

চলিলাম কিছুদিন নেটলোক ত্যাগী
জঙ্গলে ফিরিব গিয়া হইয়ে বিবাগী
যদি বাঘে নাহি খায়
প্রাণ নিয়ে ফেরা যায়
কথা হবে পুনঃ তবে
নেটলোকে দেখা হবে
ভালো থেকো সুখে থেকো
প্রভুপদে মতি রেখো

আর যদি নাহি ফিরি
বলো সবে হরি হরি
প্রেতলোকে দেখা হবে
কত ছড়া গান হবে
ফেসবুক নাই পাই
হরিগুণ গান গাই
এবে তবে আসি ভাই
শুভেচ্ছা জানায়ে যাই

ঝরাপাতা

ঝরাপাতা, ওগো ঝরাপাতা
  কার অভিসারে এলি?
   তবে ব্যর্থ হল কি আসা?
কি অভিমানে ধুলাতে শয়ন পাতিস?
         নাকি, পেলি তাঁর দেখা
    শবরীর মত বহু অপেক্ষা শেষে
         সে চরণেতে মাথা রাখিস?

ফেরা

মাঝি,
সাগর জলের নোনা হাওয়া
  তোমার গা ছুঁয়ে
নোঙরখানা আলগা করে
  এলো তরীতে পা দিয়ে


যাই কি না যাই
  বোঝার আগেই মন তুলেছে পাল
তটের ঢেউয়ে আকাশ ছবি
       আমার হৃদয় বেসামাল


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

হায় রে বোধি হায় রে

("চমস্কী আর পামুক?
ওরাও শেষে নিন্দা দিলেন? এবার লড়াই থামুক!"
~ শ্রীজাত)


নোম চমস্কী করিল নিন্দা
     করিল নিন্দা পামুক
বঙ্গকবি লাফায়ে কহিল
   তবে তো লড়াই থামুক

হায় রে বোধি হায় রে
  পরানুগত্য কি মহীয়সী
দেখিয়া প্রাণ জুড়ায় রে

ভোর হওয়ার আগে

আমার মাঝরাতেই ভোর হল
   যেই তোমার কিছু কথা মনে এলো

JNU


অবশেষে চুপ থাকতে পারলাম না। JNU তে যা ঘটছে তার প্রতিবাদ- সমর্থন জটিলতা নিশ্চই আছে। সে ধোঁয়াশা কাটতে সময় লাগবে। লাগুক। আমি আশ্চর্য হলাম, হতবুদ্ধি হলাম অবশেষে দুটো ঘটনায়।

দীর্ঘশ্বাস

“কিছু কিছু ছেঁড়া টুকরো কথা
এখানে ওখানে একলা একলা

তার কিছু কিছু তুমি ভুলছ
কিছু ভুলছি আমি

তবু যখন উদাস বাতাস
ওদের বুকে ধরায় কাঁপন

কিছু দীর্ঘশ্বাস তুমি চেপে রাখো
কিছু চেপে রাখি আমি”
 

(ছবিঃ মৈনাক বিশ্বাস)

তোমার কাছে শান্তি চাব না

অশান্তিতে থাকার একটা অন্যতম মূল কারণ – শান্তিতে থাকতে চাওয়া। চাইবেন না। ওটাও একটা বিলাসিতা। আপনার চারদিক আপনাকে অস্থির করে তুলতে চাইছে, উদ্বিগ্ন করে তুলতে চাইছে,

দু'দিক

অহংকারের একদিকটা গরম, আরেকদিকটা ছুঁচালো। তুমি একদিকে, আমি একদিকে। তুমি বিঁধছ, আমি পুড়ছি।
অথচ দুজনেই জানি, চাইলেই একে সরিয়ে দেওয়া যায়। দিই না। নিজেদের মুখোমুখি হতে ভয়। সাধারণত্বের বিনয়, মিথ্যা অসাধারণত্বের মুখোশ। সেই মুখোশেই ভরসা।
জানি না তো, আসলে সত্যিই অসাধারণ কে? তুমি না তো?

 

Subscribe to