Skip to main content

আরো প্রেমে


রবীন্দ্রনাথের কথায়, ‘যদি বলি মানুষ মুক্তি পেতে চায়, তবে মিথ্যা কথা বলা হয়। মানুষ মুক্তির চেয়ে ঢের বেশি চায়, মানুষ অধীন হতেই চায়... সে বলছে, হে প্রেম, তুমি যে আমার অধীন, আমি কবে তোমার অধীন হব!’

মাটি


আচমকা মনে হল সবাই যেন খুব এগিয়ে গেছে। রাস্তার দিকে তাকিয়ে মনে হল, কই কাউকে তো চোখে পড়ছে না। বিস্মিত হলাম না। এটাই তো হওয়ার ছিল। এরকমই তো হয়।

যেন কিছুই হয়নি

যেন কিছুই হয়নি
   এমন অনায়াসে হেঁটে গেলে
এই অনায়াস কত আয়াসের ফল!
                        তুমিই জানো
শুধু দেখলাম, নিজেকে লুকিয়ে
            নিজেকেই ছিঁড়ে নিলে

 

জীবন

জীবন
   শাঁখের খোলে অসীমের নিনাদ
   যদি কান পাতলে - তো শুনলে
   নয় তো দেখলে
        সারা গায়ে শুধুই
                    দাগের উপর দাগ

 

মকরন্দ


---
ফুলের বুকে মকরন্দ
আমার বুকে তুমি
একলা রাখতে সাহস পাই না
তাই দোসর অন্তর্যামী!


---
আয়নাও তোমার সামনে ভয়ে ভয়ে দাঁড়ায়
তুমি সরে গেলে
ওর বুকের থেকে চিরবাঞ্ছিত তোমার ছায়াও মিলায়

অনর্থক

আকাশ ভরতি তারা
  আমি বিস্তীর্ণ নির্জনতায় একা বসে
চারদিক নিঝুম অন্ধকার
   পাহাড়ের অস্পষ্ট চূড়ারা নিশ্চুপ
জীবনের অর্থ কি?
   এর কোনো উত্তর পাইনি এখনো
 কোনো ধর্ম, কোনো দর্শন না
    কেউ দিতে পারেনি সে উত্তরটা
      যে উত্তরটা শুনে মন বলবে, হ্যাঁ

নিজেকে দিই নি

নিজেকে দিই নি
         তাই পাইওনি
দেওয়ার কথায় এড়িয়ে গেছি
      তাই বুকে এত কৈফিয়ৎ জমে
সময়ের স্রোত সংশয় আবর্তে আটকে

 

কাঁটা

বাঁধাবাঁধি, গোছগাছ সব সারা হয়ে গিয়েছিল। তার ফিরতে হবে ঘরের দিকে।

ফেরার পথে পায়ে ফুটেছিল কাঁটা
 সে মাথা নীচু করে কাঁটাটা বার করছিল যখন
  আচমকাই ছড়িয়ে পড়ল সব মাটিতে তখন
   কি করে?
জানি না। হয় তো আলগা ছিল বাঁধন।
   আর ফেরা গেল না। ফিরে এল।

উপেক্ষা

উপেক্ষার জবাব দিতে জানত
   দিতও হয় তো
দিল না,
   উপেক্ষাকে উপেক্ষা করার মত ঔদাসীন্য ওর পায়ের নখে এখন
তাই চলতে ফিরতে ওর চোখের মণিতে এখন লক্ষ নক্ষত্রের বাস
     ও নিজেই নিজের উত্তর দক্ষিণ
          নিজেই নিজের কম্পাস

 

Subscribe to