Skip to main content

স্রোত

শুনেছি নদী তার সমস্ত পথের সঞ্চয় নুড়ি-পাথর-মাটিকণা শেষ পথে নিয়ে এসে নিজের স্রোতকে নিজেই দুর্বল করে তোলে। মোহনায় নিজের চলার পথ নিজের সঞ্চয়ের ভারেই রোধ করে ফেলে প্রায়।
ভাবনা হয়, মনের মধ্যে যা সঞ্চিত হচ্ছে প্রতিদিন, তা যদি মনের স্রোতকেই কোনোদিন ক্ষীণ করে তোলে?

বাসনা

কোনো একটা ঘরে স্থির হয়ে বসতে দিল না
           বাসনা
এক ঘরে বসে থাকতে থাকতে দরজায় হাতছানি, 
      বলল, ওঠো, ও ঘরে যাব এবার

অধীর হয়ে যাই

অধীর হয়ে যাই, যখন এই কথাটাও ভাবি
যিনি আমার ব্যাগ গোছাতেই এমনভাবে কাঁদেন
তিনি আমার চলে যাওয়ার পর জানি না কি অশ্রু সাগরে ভাসেন!

মৌসুমী বায়ুর মত

সুখের মুহুর্তগুলো ভুলে যাও, ক্ষতি নেই
মনে রেখো কিছু যন্ত্রণা আমরা একসাথে পেয়েছিলাম,
    ভাগ করে নিয়েছিলাম বলে
            কিছুটা পথ এগিয়ে আসতে পেরেছিলাম

ভয় পেলে জয়পুর?

জয়পুর, অবশেষে কি ভয় জিতল তবে?
কি বললে? আরেকটু জোরে বলো... শুনতে পাচ্ছি না...
  শান্তি রক্ষার জন্য? 
শান্তি কে রাখে তবে... ভয়?
রেখেছে কোনোদিন? 
যদি রাখত তবে মর্গকে লোকে বলত শান্তিনিকেতন

সংক্রমণ

এখন কি করবে চিকিৎসক?
তোমার ওষুধপত্র, স্টেথো, ইঞ্জেকশান সরিয়ে রাখো

সেই রবীন্দ্রনাথ

তৃষ্ণার্ত, সমুদ্রতীরে ডাবের জল
              সেই রবীন্দ্রনাথ

প্রেমার্ত, হরমোনের ভুলভুলাইয়ায় দিশা
              সেই রবীন্দ্রনাথ

ভালোবাসা

আরে ভালোবাসা মানে তো আমিও বুঝি
     বুকের ভিতর অম্বল হওয়া বুক জ্বালা

সব সহ্য করে নিই। নিতেই হয়।
     এমনকি পাঁজর ঝাঁঝাঁনো ভালোবাসাও

পারিনি

প্রচণ্ড আকণ্ঠ দেশভক্তি
পাড়ার মোড়ে মোড়ে ফুল চন্দনে ঢাকা ছবি
অনেকটা বারের পূজোর মত
    (প্রসাদের মত বাণীও বাইরে রেখেই ঘরে ঢুকতে হয়। না হলে সাংসারিক অমঙ্গল)
আমি একটু দূরত্ব রেখেই চলি

Subscribe to