প্রখর গ্রীষ্মের দাবদাহে, প্যাচপ্যাচে ঘামে শুয়ে শুয়েও তো ভেবেছি
আচমকা ঝড় উঠবে, কালো তিরপলে আকাশ ঢেকে...
উফ! কি ধুন্ধুমার কাণ্ডটাই না হবে!
চার-পাঁচদিন ধরে চলা মুষলধারে বৃষ্টি
তবু তার মধ্যেও তো বিশ্বাস করেছি -
বৃষ্টি থেমে যাবে, জমা জল নেমে যাবে
এমনকি নরম সবুজ ঘাসগুলোও মাথা তুলে
আবার রোদ পোহাবে!
হাঁটুজল ঠেঙিয়ে ঠেঙিয়ে, হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে, মাঠের দিকে তাকিয়ে ভেবেছি তো -
ওইদিকটায়, ওই পাত্রদের বাড়ির পিছনের ঝোঁপে এ বছরেও কাশফুল ফুটবে
মাঠের ওই পুবদিকটায় প্যাণ্ডেল হবে
সাদা মেঘগুলো কালোমেঘের পিছনেই আছে
আসছে তো!
আবার শরৎ এলে মিঠে রোদে শাল, কম্বল ছাদেও তো মেলেছি, কালীপূজো গেলেই লাগবে বলে
শীতের বেলায় অবশ্য চাইনি শীত যাক, তবু জেনেছি তো -
এই শাল, কম্বল আবার ট্রাঙ্কে ভরে ফেলতে হবে
ওই আমগাছগুলোয় কি মুকুলই না ধরবে
ও হ্যাঁ! আমগাছগুলোয় স্প্রে করার লোককে খবর দিতে হবে তো!
এখন বসন্ত। এও যাবে। পাখা চালাবো কি চালাবো না - এ দ্বন্দ্ব শেষ হওয়ার দেরি নেই তো আর!
এতগুলো জানা কথা কেন আওড়ালাম?!
আরে কেন এত দুশ্চিন্তা করো -
এদিনও চলে যাবে সেদিনের মত
যেমন কতদিন চলে গেছে কত যুগ ধরে
কি আসে যায় আমি ভাবি কি না ভাবি!
বরং এসো একটা শ্বাস বুকের মেঝে অবধি নিই
আঃ.........
নিলে?