৩০শে জানুয়ারি
সৌরভ ভট্টাচার্য
30 January 2018
(যিনি কাউকে উদ্বিগ্ন করেন না, বা কারোর দ্বারা উত্তেজিত হন না, তিনিই আমার প্রিয় ভক্ত - গীতা)
আমার জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ভারতবর্ষ
আমার বোধ-মন্থনজাত ভারতবর্ষ
আমার তিনটে বুলেটে স্তব্ধ ভারতবর্ষ
আমার জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ভারতবর্ষ
আমার বোধ-মন্থনজাত ভারতবর্ষ
আমার তিনটে বুলেটে স্তব্ধ ভারতবর্ষ
সমাজ
সৌরভ ভট্টাচার্য
30 January 2018
মানুষ যা যা কিছুকে অত্যন্ত করে চায়, তার প্রধানতম হল সমাজ। সে নিজেকে দেখতে চায় সমাজের আয়নাতেই। সমাজ তার অস্তিত্ব। তার পায়ের তলার মাটি। ব্যক্তি আর সমাজের মধ্যে যে দ্বন্দ্বটা আমরা দেখি, সেটার মূলে আসলে গঠিত, জীবিত সমাজ বনাম আমার কল্পিত, ধী-দৃষ্ট সমাজ। ব্যক্তি বলে যা আমরা বুঝি, তা একটা মৌলিক অস্তিত্ব তো কিছুতেই নয়। না হলে অভিব্যক্তি কথাটা অর্থহীন হত। দীর্ঘকালের ধারাবাহিক এক প্রক্রিয়ার ক্ষণিক বুদবুদ এই ব্যক্তিসত্তা। এমনকি জীবনবিজ্ঞানের কথা অনুযায়ী গর্ভস্থ একটা ভ্রূণকেও তার প্রাচীন গতিপথের ধাপগুলিকে একবার করে স্মরণ করতে করতে আসতে হয় – ব্যক্তিজনি জাতিজনিকে স্মরণ করে – বিজ্ঞানী হেকেল মহাশয়ের অসামান্য পর্যবেক্ষণ।
...
...
ক্যানভাস
সৌরভ ভট্টাচার্য
29 January 2018
প্রেমের কবিতা স্মার্ট হয় না
আবার বোকা বোকা কথাই বা লিখি কি করে?
দেখো বাপু, ভালোই তো বেসেছি শুধু
তা বলে, "যেমন খুশী সাজো" প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে বোলো না
আবার বোকা বোকা কথাই বা লিখি কি করে?
দেখো বাপু, ভালোই তো বেসেছি শুধু
তা বলে, "যেমন খুশী সাজো" প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে বোলো না
ভয়
সৌরভ ভট্টাচার্য
28 January 2018
ভয়, খোলা শামুকের মত হাঁটবে
ভিজে জবজবে হবে সারা গা -
এত জায়গা দিই না আর
ভয়ের মাথায় হাত রাখি
শামুকের মত গুটিয়ে যায়
গা থেকে গড়িয়ে পড়ে হড়হড় করে
ভিজে জবজবে হবে সারা গা -
এত জায়গা দিই না আর
ভয়ের মাথায় হাত রাখি
শামুকের মত গুটিয়ে যায়
গা থেকে গড়িয়ে পড়ে হড়হড় করে
ভক্ত
সৌরভ ভট্টাচার্য
28 January 2018
তো হল কি তিনি খুব ভক্ত মানুষ। অনেকটা পথ হাঁটছেন। শরীর আর দিচ্ছে না। বেজায় ক্লান্ত। রামকে কাতর হয়ে মনে মনে প্রার্থনা জানাচ্ছেন, হে রাম, হে প্রভু, আমায় একটা ঘোড়া পাইয়ে দাও, আর তো হাঁটতে পারছি না।
খানিক পর দেখা যায় রাস্তার উপর সত্যিই একটা ঘোড়া। ভক্ত উৎফুল্ল হয়ে "জয় প্রভু, জয় রামজীকী" বলে চড়ে বসে। ও বাব্বা! খানিকটা পথ যেতে না যেতেই ঘোড়াটার পা গেল মচকে। ঘোড়া আর চলতে পারে না। ওদিকে দয়ালু, শ্রান্ত ভক্তও অমন অসুস্থ ঘোড়াকে মাঝপথে একলা ফেলে আসতে পারে না।
খানিক পর দেখা যায় রাস্তার উপর সত্যিই একটা ঘোড়া। ভক্ত উৎফুল্ল হয়ে "জয় প্রভু, জয় রামজীকী" বলে চড়ে বসে। ও বাব্বা! খানিকটা পথ যেতে না যেতেই ঘোড়াটার পা গেল মচকে। ঘোড়া আর চলতে পারে না। ওদিকে দয়ালু, শ্রান্ত ভক্তও অমন অসুস্থ ঘোড়াকে মাঝপথে একলা ফেলে আসতে পারে না।
বৃষ্টি
সৌরভ ভট্টাচার্য
27 January 2018
বৃষ্টি থাকে বাসুদেবপুরের জঙ্গলের মধ্যে। তার এক ভাই গৌর, আরেক ভাই নিতাই। বৃষ্টি ক্লাস ফাইভে পড়ে। মিড ডে মিলে সয়াবিন, ডিম, ডাল, ভাত পায়। বৃষ্টি টুইংকেল টুইংকেল বলতে পারে। বাংলা কবিতাও মুখস্থ বলতে পারে। সে হাতির পায়ে থেঁতলানো মানুষের মাথা দেখেছে। ভয় পায়নি নাকি। গৌর অমনি বলল, তুই ডর পাসনি? বৃষ্টি হেসে বলল, লা!
ছড়ানো ছেটানো
সৌরভ ভট্টাচার্য
27 January 2018
ছড়ানো ছেটানো
এবড়ো খেবড়ো
টুকরো টাকরা ভালোবাসা
এখানে সেখানে
হেলায় ফেলায়
এবড়ো খেবড়ো
টুকরো টাকরা ভালোবাসা
এখানে সেখানে
হেলায় ফেলায়
সুবর্ণ
সৌরভ ভট্টাচার্য
25 January 2018
ছেলেটা মেয়েজাতটাকে ভালোবাসতে পারতো না, তাই শ্রদ্ধা করত প্রাণের সমস্ত শক্তি দিয়ে। কারণ যাকেই না শ্রদ্ধা করি তা-ই বিরুদ্ধ শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েজাতের মত এত বড় একটা শক্তিকে বিরুদ্ধসত্তা বানিয়ে লড়তে চাইলে মনের শান্তি বিঘ্নিত হয়। তাই সুবর্ণ মেয়েদের শ্রদ্ধা করত। সে নিজেও কারণটা স্পষ্ট বুঝত না যদিও। কিন্তু সে খেয়াল করত মেয়েদের নারীরূপটা সে মেনে নিতে পারে না। সেটা যেন পাশ্চাত্য সভ্যতার একটা বিকাররূপ তার কাছে। মেয়ে মানে মা। মেয়ে মানে একটা আশ্রয়। এমনকি ভারতীয় মেয়েদের পর্ণও দেখলে অসহ্য লাগত সুবর্ণ'র। ওরকম হয় না ভারতীয় মেয়েরা।
দেখা হয়ে ছিলো
সৌরভ ভট্টাচার্য
25 January 2018
দেখা হয়ে ছিলো
মনে আছে
মনে-ই রয়ে গেল
দেখা হয়ে ছিলো
মনে আছে
মনে-ই রয়ে গেল
দেখা হয়ে ছিলো
কাল কি হল থেকে হেলমেট দেবে না নিয়ে যেতে হবে সাথে করে?
সৌরভ ভট্টাচার্য
24 January 2018
কাল কি হল থেকে হেলমেট দেবে না নিয়ে যেতে হবে সাথে করে? কোর্টের অর্ডার পড়ি নাই। তাই সাদা মনে জিগাইতেসি। আমার যদিও বামুনের শরীর। তায় রক্ষে পাব কি না কে জানে? রাজপুতেরা কি পৈতে দেখে ভয় খায়? কে জানে বাপু।
আর একটা কথা, ক্যালানি খাওয়া, থুড়ি মার খাওয়ার (কি ম্লেচ্ছ ভাষা বেরিয়ে গেল হাত ফসকে, আসলে নার্ভাস ফিল করছি) আগে রাজপুত চেনে কি করে? তাইলে আগে থাকতে সাবধান হই আর কি!