Skip to main content

খোলামকুচি

খোলামকুচির মত ছড়িয়ে ফেললাম
সবাই বলল, খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল
এখনও বুঝলাম না
সময়, মৃত্যু, না জীবন
...

বুলেট ও সাংবাদিকতা

একটা রঙের জোয়ার এসেছে আমাদের দেশে। এতদিনের বিচ্ছিন্নতা আর পোষাচ্ছে না। একটা নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াবার নির্দেশ আসছে। যারা দাঁড়াতে পারছে না তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার নির্দেশও আছে সার্কুলারে। ধর্ম প্রাচীন না। ধর্মের একটা শক্তি আছে। ধর্মের ভূগোলে বিশ্বাস করা কিছু মানুষ বলছে এই সীমার মধ্যে নিজেকে বেঁধে ফেলো। তারপর ধর্মের সেই আদিম শক্তিটাকে ভাপিয়ে তোলো। পাতলা, মিহি দর্শন যা ধরতে গেলে পিছলে যায় সেই ধর্ম না। একটা মোটা কাতা দড়ির মত শক্ত কিছুর গায়ে দর্শনের প্রলেপ দাও। বোঝাও প্রাচীন ধ্রুব সত্যের মহিমা।
...

পালক

আগলে রাখতে চাইছিলাম 
বিস্তৃত ডানায় পেলাম ভয়

ভালোবাসতেই তো চাই

আকাশকে বললাম, 
        ছেড়ে দিলাম
              যা -
        তোরই হল জিত

দোল পূর্ণিমার নিশি নির্ম্মল আকাশ


        যদ্দূর মনে পড়ে জীবনে শোনা প্রথম ভাব জগতে ছবি আঁকা কবিতা শুনেছিলাম ঠাকুমার কণ্ঠে, প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, গুজিয়া সহযোগে –


"দোল পূর্ণিমার নিশি নির্ম্মল আকাশ।

রোচক


মেয়েটা প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করত 
কারখানায় যেতে
খারাপ পাড়ার পাশের গলিতেই যেতে হত

সবার ভাবতে শান্তি লাগত
মেয়েটা খারাপ পাড়াতেই কাজে যেত

কবির বিড়ম্বনা


সহস্র কণ্ঠে ধ্বনিত হল কবির গান। কবির ছড়া-কবিতা।

কোলাহল উঠল আকাশে বাতাসে

শঙ্কা

        রমজানের হাতে কড়া। তাও মাথায় বিলি কেটে দিলে ভালোই লাগে পরাশরবাবুর। রমজান বছর দশেক আগে পরাশরবাবুর বাগানের কাঁঠাল গাছে গলায় দড়ি দিয়েছিল। কেন দিয়েছিল কেউ জানে না। সে অকৃতদার ছিল। গরীব মানুষ, পরাশরবাবুদের বাড়িতেই ফাইফরমাশ খেটে দিন চলে যেত। তাকে অবশ্য হাসতে দেখেনি কেউ কোনোদিন। গায়ের রঙ তামাটে, রোগা-বেঁটেখাটো শরীর, তবে খাটতে পারত। পরাশরবাবুর স্ত্রী বেঁচে

আমি এক হাতে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে


হল কি, আমি এক হাতে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে, খাবার টেবিলে বসে, আরেক হাতে তারিয়ে তারিয়ে আমের আঁটি চুষছিলাম। পুরো সাদা হয়ে আঁটিটার রঙ প্রায় আমার মোবাইলটার মতই হয়ে এসেছে। এমন সময় বাবা জিজ্ঞাসা করলেন, "হ্যাঁরে আজ পাম্প চালানো হয়েছিল?" আমি খানিক অন্যমনস্ক হয়ে পড়লাম, চালিয়ে ছিলাম কি? ভাবতে ভাবতে আঁটিটা কিরকম বিস্বাদ ঠেকল...ওমা! তাকিয়ে দেখি আমি তো আঁটি না, মোবাইলটা চুষে দিয়েছি...

সীতা

একজনের জীবনী লেখার জন্য সে মানুষটাকে যতটা কাছ থেকে দেখতে হয় ততটা কাছ থেকে দেখা আমার হয়ে ওঠেনি। এমনও নয় যে তিনি একজন সেলিব্রিটি যে গাঁয়েগঞ্জে সবাই তাকে চেনে। অথবা এত তথ্য চারদিকে ভেসে বেড়াচ্ছে যে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে। তবু সে জীবনের নিজস্ব একটা আলো ছিল। ধার করা আলো নয়, তবে তো আর লেখার তাগিদই সহ্য করতে হত না। বরং যেটুকু জানি সেটুকু বলার চেষ্টা করি।
...

মার্কেজ- রবীন্দ্রনাথ

মনুষ্যজাত একটাই। তার গাত্রবর্ণের, তার বাহ্যিক শব্দোচ্চারণে পার্থক্য আছে, তার দেশ-কালের নিরিখে বাহ্যিক আচরণে, প্রথায়, খাদ্যাভাসে পার্থক্য আছে। কিন্তু তার বোধ আর অনুভবের পার্থক্য নেই। সেই কথাটাই সঙ্গীত আর সাহিত্য বারবার বলে এসেছে প্রাচীনযুগ থেকে। শিল্পের এইটাই সবচাইতে বড় দায় বোধহয়, দেশ-কালের সীমারেখার ঊর্দ্ধে গিয়ে এক অবিনাশী মনুষ্যত্বের ধ্বজা বহন করা। যে বোধ না বুঝে অনুভব করা যায় তাই সার্বজনীন। তাই শান্তি, সৌহার্দ, সহমর্মিতার বিশ্বজনীন ভূমি।
...
Subscribe to