Skip to main content

এবছরের মত খেলাটা শেষ হল

        এবছরের মত খেলাটা শেষ হল। বড়দের খেলা। চালাকদের খেলা। ধনীদের আমোদ। নেতাদের শক্তি প্রদর্শন। বোকাদের আবেগের তুবড়ি, জ্বলে ধাঁধাঁ লাগিয়ে চোখে, ফুরালো এ বছরের মত। কাছের সব কিছু ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল, এত আলো। এবার শ্লথ পায়ে আসবে অবসাদ। উত্তেজনার পর যা অবধারিত। কাজের গতি বেগ ফিরে পেতে নেবে আর

ফেরিওয়ালা


একটা ঘোর লাগিয়ে দাও
   জ্ঞানও নেশা, যদি তা মাতাল করে
                 LoC ভোলায় 
     আমি প্রেম ত্যাগী সন্ন্যাসী তো নই

ফিরে যাও

উৎসব
তুমি বড় দাম্ভিক
তুমি বড় উন্নাসিক
তুমি বড় নিষ্ঠুর

কেন্নো


মানুষটা রাতদিন অতীতের গল্প বলত
বলতে বলতে অতীতগুলোকে কেন্নোর মত ধরে
     বর্তমানের গাছের শাখায় ছেড়ে দিত
   অতীত হামাগুড়ি দিয়ে এ ডাল, সে ডাল
       এ পাতা, সে পাতা বেড়াতো

অষ্টমী

        মণ্ডপে আমাদের দাঁড়ানোর লাইন দেখেছেন? পুরুষের লাইন দেখেছেন, মহিলার লাইন দেখেছেন। আমাদের? আমরা ওই মহিলাদের লাইনেই দাঁড়াই। আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত বুঝলেন তো। ট্রেনে, বাসে, রাস্তাঘাটে আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত।

সপ্তমী

- বেরোতে পারবি? - হবে না রে, মা বেরোতে দেবে না - তুই বল না সঞ্চারীদের বাড়ি নোটস্ নিতে আসবি - ধুর সঞ্চারীরা তো দার্জিলিং-এ - পারমিতা? - মামাবাড়ি, বীরভূম

কেটস

        সাদা কেটস কিনে দিত বাবা। জুটমিলে কাজ করত। আমরা তিন বোন, এক ভাই। আমি সবার বড়, দিদি। ওই কেটসই পেতাম প্রতি বছর। স্কুলেও ওই দিয়েই হয়ে যাবে তাই।

আজ তৃতীয়া


শুচি আগরওয়াল
  বয়েস পঁয়তাল্লিশ
  আড়াই মাসের গর্ভ সাবধানে বাঁহাতে ধরে
     অত্যাধুনিক গাড়ির দরজা খুলে, 
       নীচে কাদা আছে কিনা দেখে
           মাটিতে পা দিল

যার বুকে সাত সমুদ্রের জল


তবু তো শোক শুদ্ধ করে
রোদে পোড়া তপ্ত একটা রেললাইন 
তখন উষ্ণ ফুৎকারে
   পৃথিবীকে তালুতে রেখে গড়িয়ে নিচ্ছে মহাকাল 
ঝিম ধরা দুপুরে চিলের ডাক
      বড়ি দেওয়া কাপড় কুঁচকে যাচ্ছে ছাদে

Subscribe to