একটা কাজের কথা
একটা কাজের কথা। একবার ভেবে দেখবেন তো, যতগুলো অনুতাপ, অপরাধীভাব কিম্বা দোষীভাব নিজের ভিতরে, নিজের অজান্তে পুষে রেখেছেন, তার কতগুলোর সত্যিই কোনো মানে হয়?
বন্ধুহস্ত
দক্ষিণস্কন্ধ মোর পাইল আঘাত
আপন কক্ষচ্যুত হইয়া
চিকিৎসক রুধিলেন দক্ষিণের কাজ
বেড়িলেন বিচলন রোধক দিয়া
বাজারের থলে
লোকটা মাসকাবারি বাজারের থলেটার নীচের দিকটা দিল কেটে। এদিকে হাত দিলে ওদিক থেকে হাত যাচ্ছে বেরিয়ে।
সবাই হো হো করে হাসল।
এত সাজসজ্জা
এত সাজসজ্জা
এত নির্ভুল উচ্চারণ
এত নিখুঁত পদক্ষেপ
হাসি পায়
কবরের উপর এত নক্সা কেন?
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
সারা গায়ে কাদা ছোপ ছোপ, ভূষণ এসে দাওয়ায় বসল। ভূষণ নাপিতের কাজ করত। এখন চলে না। গ্রামে নতুন সাজসরঞ্জামের সেলুন খুলেছে, আর না হোক চারটে। এখন আর রাস্তার ধারে বসে কে চুল কাটাবে। তার ঠাকুরদার পিঁড়ে, কাঁচি, কলপের বাটি, ব্রাশ --- সব খাটের নীচে ট্রাঙ্কে জমা।
নাম রাখল - পুষ্প
বকেয়া
জীবনের কিছুটা বকেয়া
দুর্যোগের কাছে ছিল
জানতাম না।
জানলাম সেদিন
যেদিন ঝড় বকেয়া হিসাবের খাতা নিয়ে এলো
বলল, সই করো
নকল সই করলাম
ঝড় হেসে বলল,
"আবার আসব"
জেটি
জেটিকে যদি জিজ্ঞেস করি, "জেটি তুমি কার?" জেটি কি উত্তর দেবে, জানি না।
খড়কুটো
নীড়ের খড়কুটো
তা জোগাড় করতে
হিমালয় যেতে হয় না, সত্য
প্রশান্ত মহাসাগর কিম্বা থর মরভূমিতেও না, সত্য।
তবু, এত দরকারি, মূল্যবানের ভিড়ে
কয়েকটা খড়কুটো জোগাড় করাও
খুব সহজ কাজ কি গো?
মানুষ শুধু শরীরে
মানুষ শুধু শরীরে আহত হয় না
দেশ শুধু আহ্নিকগতিতে অন্ধকার হয় না
মৃত মানুষে শুধু কবর শ্মশান হয় না
সময়ের কয়েকটা ছেঁড়া পাতা
অকারণ হারিয়ে যায় না