Skip to main content

কেউ উত্তর পায় না

একদিন লিখেছিলেন, "যাবার আগে জানি যেন/ আমায় ডেকেছিল কেন/ আকাশ পানে নয়ন তুলে শ্যামল বসুমতি/ কেন নিশার নীরবতা শুনিয়েছিল তারার কথা/ পরাণে ঢেউ তুলেছিল কেন দিনের জ্যোতি/ তোমার কাছে আমার এ মিনতি, এ মিনতি।"
...

পাঠকের ধ্রুবতারা

সংসারে নানা প্রয়োজনীয় বস্তুর নানা গুণগান পড়ে আসছি কতকাল হল। কিন্তু একটি বস্তু নিয়ে বড় কম কথা হয়, যার আর্থিক মূল্য নিতান্ত শূন্য থেকে কিঞ্চিৎ দামী হলেও, আদতে তার ব্যবহারিক মূল্য যে কি অপরিসীম, যে বোঝে সে বোঝে। কিসের কথা বলছি? বইয়ের মার্কার। বাংলায় কি বলা যায়?
...

সংসারী ও দেবদাসী

গুরু বসে আছেন চেয়ারে সোজা হয়ে। ভক্ত দাঁড়িয়ে, হাত জোড় করে। শরীরটা মাঝে মাঝেই কেঁপে উঠছে, ঠাণ্ডায়। বাইরে জুলাই মাসের গরম। গুরুগৃহ শীতল। চারটে এসি লাগানো চারদিকে। মনে মনে ভক্ত ভাবছেন
...

Pro নত

জন্ম থেকেই বলা হল, মাথা নীচু করো। কোথায়? ওই ছবির ফ্রেমের সামনে। ওই পাথরের মূর্তির সামনে। ওই মাটির মূর্তির সামনে। উনি গুরুদেব, ওনার সামনে। উনি বয়োজ্যেষ্ঠ, ওনার সামনে। উনি শিক্ষক, ওনার সামনে।
  ‘মাথা নীচু’ পর্ব চলছেই। একটা বাচ্চা বুঝতে পারছে না কি তাদের মহত্ব, কেন সে মাথা নীচু করবে? সে শুধু জানে তাকে মাথাটা নীচু করে যেতে হবে, কারণ বড়রা বলছেন। বড়দের কথাটা শুনতেই হয়। সমস্যা হচ্ছে, এই বিনা মহত্বের অনুভবে মাথা নীচু করাটা ক্রমে অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। গাছকে দেখলে মাথা নীচু করে
...

চুতিয়া

গামছায় হাত মুছে, চায়ের কাপটা ডিস থেকে তুলে চুমুক দিতে দিতে বলল, সবাই চুতিয়া।
  সিঙ্গাড়ায় পুর পুরতে পুরতে একবার মালিকের দিকে তাকিয়ে কর্মচারী বলল, তা আর বলতে। মনে মনে নিজের 'চুতিয়া' উপাধি পাওয়ার যোগ্য কাজগুলো ভেবে একটু হাসল।
  ঠিক তক্ষুণি একটা টিকটিকি ছাদের থেকে টপাক করে
...

অবশ্যম্ভাবী

ঠিক বাইরে না
ভিতরে ঘুণ ধরা দেখছি
যে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে
  সে আমি নই
   আমারই অবয়ব যেন
...

রামদাসী মল্লার

ট্যাক্সিটা দাঁড়ালো। হলুদ ছাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির ছাঁট স্ট্রিট লাইটের হলুদ আলোয় ঝরণার মত লাগছে। গাড়িটার মেশিন বন্ধ করল ড্রাইভার। পিছনের দিকে ফিরে বলল, বেশি দেরি করবেন না।
বাঁদিকের দরজাটা একটু খুলে গেল। সাদা শাড়ি পরা একজন মহিলা নামল। ছাতাটা এক হাতে শক্ত করে ধরা, সাথে ফুলের তোড়া। আরেক হাতে শাড়িটা উঁচু করে ধরে
...

বিষফল

কপালে তিলক কেটে আয়নায় নিজের মুখটা ভালো করে দেখে ডাকল, এই ওঠ...ওঠ...

  ভোরের আলোয় ঘুম জড়ানো শরীরে মেয়েটা পুকুরের ধার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মিলিয়ে গেল।

  মন্দিরের দরজা খোলা হল। বাসি মেঝে মোছা হল। যুগান্তরের স্থির অভিব্যক্তি মুখে দেবতা পাথরের বেদির উপর স্থির দাঁড়িয়ে রইল।

  ঘন্টার আওয়াজ। বাচ্চার চীৎকার। মালার গন্ধ।
...

মটরশুঁটির বন্ধ খোলার মত

হঠাৎ মনে হল,
ঘরে বসেই মনে হল,
বাইরে যেন ভীষণ চীৎকার করছে কারা....
  গলার শিরাগুলো ফুলে ফুলে উঠছে
   ভারতের মানচিত্রে নদী তারা..

বাইরে বেরিয়ে এলাম
...
Subscribe to