গম। যেন অনুভব।
তারপর তাকে পিষে, ছেঁকে, বেলে, সেঁকে যা হয়, তা রুটি। যেন ভাষা।
অনুভবের ভাষা পশুর। সে আদিম। ভালো হোক, মন্দ হোক। যতই হোক না অকৃত্রিম। তবু সে অমার্জিত, আদিম। প্রাণের আকরিক। জ্ঞানের জ্যোতি নয়।
বোধের ভাষা মানুষের। জন্মগত স্বভাবের পায়ে সেখানে ছন্দ। তাই প্রাচীন প্রার্থনা - যেন শুভ দেখি, শুভ শ্রবণ করি, শুভ উচ্চারণ করি, চারদিক থেকে শুভধারায় স্নান করি।
এ প্রার্থনা প্রাচীন, আদিম না।
যে ভাষা আজ চারদিকে শুনছি। যে ভাষায় প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, শুভচিন্তক বিদ্ধ হচ্ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন - সে ভাষা আগামীকালের ভয়, আতঙ্ক। আদিম স্বভাবের বর্বরতার তেজ আছে, মোহ আছে, লোভ আছে। কিন্তু তা জ্ঞানশূন্য, অনুকম্পাহীন, ঈর্ষাচালিত উন্মাদ। সমাজে অন্ধকার নামে প্রথমে বর্বর ভাষায়। তারপর বাকিগুলো আপনি এসে পড়ে। কারণ মানুষের চামড়ার শরীর থাকে না, ভাষার শরীর থাকে, আত্মসম্মানে গড়া। যে অনায়াসে সে সম্মান ত্যাগ করে নিজেকে নগ্ন করে, সে অন্যকে নগ্ন করতে দ্বিধা করে না।
পশুর শরীর চামড়ার। মানুষের শরীর ভাষার। তার অবমাননা ঠেকানোর দায় সবার।