Skip to main content

তুমি সুন্দর

তুমি সুন্দর
   আমি না তো!
তবু তোমার বুকে আমার ঠাঁই
       বারণ করলে না তো?

(ছবিঃ প্রীতম পাল)

যে যায়

আজ সকাল থেকেই মনটা খারাপ। আজ বলে না বেশ কিছুদিন ধরেই। Suvajit বদলি হয়ে পোরবন্দর চলে যাচ্ছে। আমার বন্ধু। ছিল ছাত্র। এখন কখনো বন্ধু, কখনো আত্মজ, কখনো অভিভাবক। যা হয়। ভালোবাসার আর কবে স্থির আয়তন হল বা গতিপথ হল!

দুই

ভাব যেখানে রাজী
শরীর সেখানে নয়
শরীর যে পথে রাজী
ভাব সেখানে নয়
এ দ্বন্দ্ব সব দ্বন্দ্বের মূল রে মন
হাওয়া যেখানে ভাসে
     পাথর সেখানে নয়
পাথরের বুকে বাতাস কোথায়?
   তবু দুই অস্তিত্বই কালের স্রোতে বয়

বে-হিসাবী

সারাদিন চোখের পাতা ক'বার ফেলি?

নত হয়ে আসি

নত হয়ে আসি
  শুধু ভালোবেসে
ছুঁয়ে যাও তুমি
  বুক ভরা শ্বাসে

(ছবিঃ সমীরন নন্দী)

কাছে দূরে

প্রেম করবেই ঠিক করেছিল
    কাছে আসলেই থমকে গিয়ে বলত
  না না না, এখন না।
মনে বলত, এ সে না, এ সে না।

এখন সে থাকে, কার যেন একটা সাথে
  প্রেমের কথা বললেই বলে, ও সব মিছেকথা,
ছেলে ধরানো কথা, মেয়ে বোকানো কথা।

সূর্যাস্তের পথ

যে রাস্তাটা সূর্যাস্ত ছুঁয়ে এসেছে
  সে রাস্তায় হেঁটেছ কখনো?
সে রাস্তার ধারে দাঁড়ানো
অভিভাবক বৃক্ষের আশীর্বাদ
          নিয়েছো কখনো মাথা পেতে?
সে রাস্তার ধুলোতে
      যুগান্তরের পায়ের ধুলো মিশে
তোমার পায়ে মিশেছে কখনো সে ধুলো?

মহৎ সমীপে

কাল গভীর রাতে ছাদে এসে দাঁড়ালাম। সারাটা আকাশ জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে। আশেপাশে গাছগুলোর মাথায় চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে দুধ সাদা রঙ। ঠান্ডা বাতাস দুরন্ত বাচ্চার মত শরীরকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে। দেহ শীতল হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, 'এই যে বাতাস দেহে করে অমৃতক্ষরণ'।

তোমার অপেক্ষায়

তোমার অপেক্ষায়
      তোমারই পথ চেয়ে
সময়ের স্রোতে স্নান
            আগমনী গেয়ে

(ছবিঃ Pritam Pal)

খাঁটি সোনা

গঙ্গার ধারটা বিকালে প্রচুর লোকজন হয় এখন। বিশুপাগলার রাগ হয়। অকারণেই রাগ হয়। এত লোক কেন? আগে তো হত না। সে সবাইকে মুখ খারাপ করে। যেদিন প্রচণ্ড রাগ হয়, সেদিন থুতুও ছিটিয়ে দেয় লোকেদের গায়ে। আর দেবে নাই বা কেন? এই গঙ্গার ধারটা তো জঙ্গলই ছিল। বিশু পাগলা আগে শ্মাশানে থাকত। তা বছর তিরিশ আগের কথা। তারপর এই জলা জঙ্গলটায়। সে আর কালু, হরেন, ডাবলু। এরা সব ওর নেড়ি কুকুরের দল। তারা কোথায় এখন?

Subscribe to