তাই
ঘন জঙ্গলে না,
তোমায় পেয়েছি
উত্তাল সাগরে
তাই সারা গা
নোনতা আমার
ভাগ্যের জোরে না
তোমায় পেয়েছি
ভাগ্যের সাথে লড়াই করে
তাই সব হাতের রেখা
রক্তাক্ত আমার
গাছটার গুঁড়িটায়
গাছটার গুঁড়িটায় একদিকে রোদ
একদিকে পিঁপড়ের সারি
আরেকদিকে শ্যাওলার ছোপ
ফেরা
ঘরের আলো নিভিয়ে
দরজায় তালা লাগিয়ে
বড় রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম
যেতে যেতে মন ইতঃস্তত
আলোটা জ্বেলে আসাই কি ছিল ভাল
ফেরার পর কেমন হবে -
যদি ঘর-বার দুই-ই থাকে অন্ধকার?
আজ
সেদিন কেউ কেউ কাছে ডেকেছিল,
বেরোনোর দরজা পাইনি।
সেদিন থেকে হাতড়ে হাতড়ে পেলাম
একটা ছোট্ট সুড়ঙ্গ আজ
নিজেকে হেঁচড়ে হেঁচড়ে বাইরে আনলাম
কোথায় গেল ওরা,
যারা ডেকেছিল?
কৃতজ্ঞ
জ্যোৎস্নাকে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে দেখেছি।
জানি না, কে কার কাছে কৃতজ্ঞ থাকে।
জ্যোৎস্না পৃথিবীর কাছে?
সে বুক পেতেছে বলে
না পৃথিবী জ্যোৎস্নার কাছে?
সে বুকে এসেছে বলে।
আমিও জানি না
কে বেশি কৃতজ্ঞ,
আমার 'আমি' না তোমার 'তুমি'?
যে ভাবে তুমি মিশেছ আমাতে।
শুধু জানি আমি ভয় পাই
কালো মেঘ আর গ্রহণের আড়ালকে।
পথ
পথ -
পূবে পশ্চিমে না
উত্তর দক্ষিণে না
পথ -
চলার তাগিদে
চলার দিকেতে না।
প্রভু
রথের দিন,
সাজো সাজো রব চারিদিকে।
কেউ গাঁথছে মালা, কেউ বাঁটছে চন্দন,
কেউ গাইছে ভজন, কেউ করছে নর্তন।
মালীর ছোট মেয়ে,
বছর আটেক হবে
বলে, নিজের গাঁথা মালাখানি
প্রভুর গলায় দেবে।
বাড়ির লোক কত বোঝায়
আরে আমরা যে জাত নীচু
বোঝায় যত বাড়ে জেদ
বলে শুনব না তো কিছু!
একলা আনমনে
একটানা বৃষ্টির আওয়াজ
বাইরের দরজায় খিল দিয়ে
মন মেঝেতে অ্যালবাম ছড়িয়ে বসে,
হাসে, কাঁদে, উদাস হয় আনমনে।
বৃষ্টি তার সব কথাই জানে।
ছাদের উপর
পাতার উপর
টুপ টাপ যেই পড়ে
সে যেন তার ছোটবেলার হাত, আনে
বুড়োবেলায় খেলতে যাওয়ার ডাক,
অবশ্যই মনে মনে।
শুনেছি কি?
মনকে বলেছি, ভেবো না
চোখকে বলেছি, চেয়ো না
হৃদয়কে বলেছি, শান্ত হও
সময়কে বলেছি, বয়ে চলো
বৃষ্টিকে বলেছি, ঝরে চলো
রক্তকে বলেছি, ছুটে চলো
ওরা শুনেছে হয় তো
আমি শুনেছি কি ?
ভিজে পায়ের ছাপ
এখানে খুব বৃষ্টি হচ্ছে জানো
তোমার ওখানে?
তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজেছি
সারা সকাল
তোমায় না বলে।