টর্চ
টর্চটার একদিন খেয়াল হল। কি খেয়াল হল? না সে তার ব্যাটারীগুলোকে দেখবে। এদিকে ঘরে আর অন্য আলোও নেই। তো তা সে মানবে কেন? জোর করে সব ব্যাটারী বার করে টেবিলে রাখল। তারপর সে ব্যাটারীগুলো দেখবে বলে আলো জ্বালার চেষ্টা করতে লাগল, মানে নিজেকে জ্বালানোর আর কি! এখনো চেষ্টা করে চলেছে।
যেমন কেউ কেউ তাঁকে ভিতরে ছেড়ে বাইরে দেখার গোঁ ধরেছে।
হৃদয়াবেগ
বড়দিন
ছেলেটা ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল সকালবেলা। গ্রামের নাম বিলালপুর। শীত পড়েছে বেশ। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি।
আচমকা ঘুড়িটা সোঁ সোঁ করে আকাশে উঠতে লাগল। ছেলেটা প্রথমটা ঘাবড়ে গেল। ভাবল ঝড় শুরু হল? না তো, আশেপাশে গাছগুলোর মাথা তো দুলছে না। সে যখন খুব ছোট তখন একবার ঝড়ে তাদের বাড়ির টিনের ছাদ উড়ে গিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিল। সে কি কান্না তার! মনে হচ্ছিল তার বাবা মা সক্কলকে বুঝি উড়িয়ে নিয়ে যায়।
বেয়াদব ভালোবাসা
ক্রিসমাস ইভ
তোমার শুধু ঘরের কোণ নেই
তোমার আছে এক মহাকাশ সাগর
তোমার শুধু মাটির প্রদীপ নেই
তোমার আছে এক নীহারিকা আলো
বুকে তোমার, শুধু হিংসা রক্তচক্ষু নেই
আছে দেখো, করূণামাখা ক্ষমা
প্রেম কি শুধু পানাপুকুরের ডোবা?
সে ত্যাগে সেবায় ঝরণা উছল ধারা
পূজা, শুধু আচার-বিচার-নিয়মে নয়
সে নিজের মধ্যে বিশ্বকে খুঁজে পাওয়া
৭ই পৌষ
বদ্তমিজ দিল
সাদা শাড়ী পরা পৃথুলা মহিলা সন্ধ্যের অন্ধকারে ধীরে ধীরে হাঁটছেন। কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে দাঁড়ালেন। মাথা নীচু করে হাতজোড় করে আঁচলটা বুকের কাছে এনে প্রণাম করলেন। চাবির গোছা ঝনঝন করে উঠল।
একটু দাঁড়াও
তুমি হাতের রেখা গুনো না
তুমি আশেপাশের কথা শুনো না
তুমি উনুনে আঁচ ধরিয়ে একটু আড়ালে যাও
তুমি ভ্যানটা গাছের ছাওয়ায় রেখে একটু দাঁড়াও
তোলপাড়
রাজ্যসভা লোকসভা তোলপাড়
তোলপাড় আলোচক বুদ্ধিজীবী মহল
সেই ভয়াবহ ডিসেম্বরের রাত
আতঙ্ক আক্রোশ ঘিরে আইনি টহল
মাথা ঘিলু চটকাচ্ছে বিবেক বিচার
কত বয়সের অপরাধে দাগী অপরাধী হয়?
আমি ভাবি -
বলো দেখি, কতটা উদাসীন হলে সমাজ
এ ঘৃণ্য প্রবৃত্তিরও কিশোর মস্তিস্কে জন্ম হয়?
আমি
এক আমি পিছন ফিরে
আরেক আমি সামনে তাকিয়ে
তোমার 'আমি' মাঝখানেতে
আসন বিছিয়ে
একখানে তার ছায়া, আরেকখানে কায়া
(লেখাটা আগেই দেওয়া। Samiranদার হাতের ছোঁয়ায় তা আরেক মাত্রায় উন্নীত হল। ধন্যবাদ দাদা।)