ভেলভেট পোকা
হলুদ ঘাসগুলো সারাগায়ে ধুলো মেখে
একা
অন্যজনের কথা কেন বলবে?
এসো। একা বসে কটা কথা একা একা বলো।
ওরা পাগল বলবে? বলুক।
ওরাও একা একাই বলবে তুমি না শুনলে।
কৌশল
যবনিকা
আজ না হয় কাল
মাটিতে পা রাখা, আলোতে চোখ মেলা
পুষ্পপুরাণ
ঝরণার জল
ঝরণার জল। জলতরঙ্গ অবিরাম। নির্বিকার পাথর।
বছরের পর পর বছর। শুধু পিচ্ছিল। আরো পিচ্ছিল।
দেবদাসী
ফাঁকা মন্দির। বেশ বড় মন্দির। বিগ্রহ - শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার। সন্ধ্যা হয়েছে ঘন্টাখানেক হল। শীতের সন্ধ্যা তাড়াতাড়ি হয়।
প্রণাম করে উঠতেই খেয়াল করলাম একজন বৃদ্ধা পূজার আয়োজন করছেন মন্দিরের এক কোণের দিকে বসে। সাদা শাড়ি। মাফলার জড়ানো মাথা। দেহটা একটু সামনের দিকে ঝোঁকা।
বললাম, দরজাটা একটু খুলবেন, একটা ছবি তুলব। আমার আর আমার আরো দু'জন বন্ধুরই মুর্তিটা খুব ভাল লেগেছিল।
একাকীত্ব
থমথমে চারদিক
থমথমে চারদিক। ঝড়ের পূর্বাভাস?
নাকি ঝড়ের মৃত্যুশোক, মৌন দীর্ঘশ্বাস।
মিলনাপেক্ষা
অনেকটা রাস্তা সমতলে হাঁটার পর পাহাড় এলো। পথকে বললাম, এবার?
পথ বলল, ওই তো। সে পাহাড়ের দিকে ইশারা করল।
বললাম, পথ কোথায়? এ যে চড়াই শুধু। ঘন জঙ্গল।
খানিক এগোলাম। পথ হারালো জঙ্গলে। ঢুকলাম জঙ্গলে। মানুষ সব হারিয়েও নিজেকে আর হারাতে পারে না, সেই ভয়, সেই ভরসা।
ঘন জঙ্গলের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে বললাম, কোনদিকে যাব কেউ জানো?
আমার কণ্ঠস্বর আমারই কাছে এলো ফিরে - প্রতিধ্বনি হয়ে।