Skip to main content

একটা ঘটনা ও দুটো প্রশ্ন


---
মা হাসপাতালের বেডে শুয়ে, অর্ধ-চৈতন্য,
মহাপ্রস্থানের পথে, চিকিৎসা শাস্ত্রের বাইরে।
আমি বেডের ধারে গার্ড দেওয়া রেলিং-এ
কনুই রেখে, গালে হাত দিয়ে মায়ের দিকে
স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে,
আগুন নেওয়ার আগে, দু'চোখ ভরে শুষে নিচ্ছি
মায়ের মুখ, হাত, পা।
হঠাৎ স্লিপ করে গেল কনুই,
মা অর্ধ-চেতনায় চমকে উঠলেন,
আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

ভাঙা ঘুম

মা, যে দিন স্বপ্নে তুমি আসো
মনে হয় সে ঘুম হোক দীর্ঘজীবি
ভাঙা ঘুমকে জোড়া লাগাতে
আপ্রাণ করি চেষ্টা
বিছানায় নিজের সাথে করি যুদ্ধ-
যদি আরেকটু থাকতে পাই তোমার সাথে থাকতে।

হয় কই?
পাখির ডাক, হাল্কা রোদ, নানান কাজ-
আমার অলস বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে,
ক্লান্ত আমি ওদের বলি, উঠছি।

সেদিন

ছোটবেলায় পড়েছিলাম
বাচ্চাটা বলেছিল, "যেতে নাহি দিব"।

আজ ছোট্ট ভাগ্নে বলল, "যেতে তো হবেই"
এটা প্রজন্মের পার্থক্য নাকি বোধের অকাল বোধন?

সেটা সত্যিই দুর্দিন হবে
যেদিন একটা বাচ্চার বায়না হবে যুক্তিসম্মত।

মাটি

লাফিয়ে লাফিয়ে আকাশ ছোঁয়ার চেষ্টায় আছি
একবারও ফিরে দেখছি না,
প্রতিটা লাফে মাটির বুকে কি বাজছে!

মাটি যদি কাদা হয়ে আটকাতো?
আটকাবে না, সেটা জানি
সে তো সর্বংসহা!
তাই লাফাইও মাটিতে
মুখ থুবড়িয়ে পড়িও মাটিতেই

আলোর গন্ধ

  প্রাণানন্দবাবু রিট্যায়ারের পর পরই পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফিরে ইস্তক ওনার মধ্যে উনি একটা বিশেষ পরিবর্তন খেয়াল করছেন। উনি এখন আলোর গন্ধ পান। প্রথম প্রথম ভাবতেন বুঝি অন্য কিছুর গন্ধের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। এখন দেখছেন, তা না। সকালবেলা সূর্য্যের আলো জানলা দিয়ে ওনার বিছানায় এসে পড়লেই উনি সারা ঘর শিউলির গন্ধ পান। জ্যোৎস্নারাতে ছাদে বসে থাকতে থাকতে জুঁই-এর গন্ধে বিভোর হয়ে ওঠে ওনার মন। সব গন

পাথেয়


যার মাথা রাখবার একটা কাঁধ আছে
সে ভাল আছে
যার হাসি দেখবার একটা মুখ আছে
সে বেঁচে আছে
যার ঘুম থেকে উঠবার আনন্দ আছে
সে সুখে আছে
যার দৃষ্টি ডোবানো দুটো চোখ আছে
সে মজে আছে
যার প্রণাম করবার দুখানা পা আছে
তার সব আছে


[শুভ নববর্ষ। অনেক শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা রইল সবার জন্য। সাথে থাকি, সাথে চলি - এইটুকুই প্রার্থনা।]

ঋণ

কোনো দেবালয় না, কোনো মন্ত্র না
আমাকে শুদ্ধ করেছে তোমার ভালবাসা
...

নইলে

সব মেলে না তো!
তাতে কি?
...

মা

আমার বারবার মনে হয়েছে
'মা' কখনো ব্যক্তিগত হন না
...
Subscribe to