কোম্পানির নামে পোশাকি নাম!
চাঁদ আর প্লেন
চাঁদের পাশ দিয়ে প্লেনটা গেল। বাচ্চাটা দাদুকে জিজ্ঞাসা করল, দাঁড়ালো না যে, দিদু উঠবে না? বেড়াতে যাবে না আজ?
বাঁচতে চাচ্ছে
সোম থেকে শনি
ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে সব
জন্মদিন কবে?
মর্ম
মানুষের যুক্তি-বুদ্ধি আর আবেগ-অনুভবের মধ্যে খুব সুক্ষ্ম একটা জায়গা থাকে। তার কোনো নাম দেওয়া যায় না স্পষ্ট করে। তবু যদি নাম দিতেই হয় সে হল - মর্ম।
যুক্তিবুদ্ধির কথা বলা সোজা, আবেগ-অনুভবের কথাও বলা সোজা। কিন্তু যে কথা মর্ম থেকে উৎসারিত হয়ে আরেকটা মর্মে প্রবেশ করে, সে কথার হদিস পাওয়া ভীষণ কঠিন।
আজীবন
পরাশরবাবু সুখী হতে শিখেছিলেন। আজীবন।
কেউ নতুন ফ্রীজ কিনেছে শুনলে খুশী হতেন।
কেউ নতুন বাড়ি কিনেছে শুনলে খুশী হতেন।
কেউ নতুন চাকরি পেয়েছে শুনলে খুশী হতেন।
পরাশরবাবু খুশী হতে হতে সুখী হতেন। সুখী হতে হতে শান্ত হতেন।
প্রতিদিন একটা করে খুশীর খবরের অপেক্ষা করতেন।
যেদিন ছেলেটা জলে ডুবে মারা গেল
খেলার মাঠ
সাইকেলে ভর দিয়ে হাঁটতেন। সাইকেল চালাতেনও।
রাস্তার পাশে মাঠ। কিছু বাচ্চা ফুটবল খেলছিল। বল এসে লাগল সাইকেলে। টাল সামলাতে না পেরে পড়লেন রাস্তায়। কনুই ছিলে রক্ত বেরোলো। কোমরে চোট পেলেন। ছেলেগুলো ভাবল উঠে যখন বসেছেন তখন নিশ্চয়ই দাঁড়িয়েও পড়বেন। উঠে সাইকেল চালিয়ে চলে যাবেন। তাই তারা হইহই করে "সরি দাদু… সরি সরি" বলতে বলতে মাঠে নেমে গেল।
কেন যাবে?
কোনো কোনো চোখ বড় বিচ্ছিন্ন হয়
খবর
নমস্কার, খবর পড়িতেছি, শ্রদ্ধানবদ্ধ মুখোপাধ্যায়,
জুতো, দর্শন থেকে রসিকতায়
বোধিচর্য্যাবতারে শান্তিদেব লিখছেন,
"সমস্ত ভূমিকে ঢাকিবার জন্য চর্ম নাই। জুতার চর্মমাত্রের দ্বারাই সমস্ত ভূমি আচ্ছাদিত হয়। সেইরূপ প্রতিকূল বাহ্যভাব সকলকে নিবারণ করা আমার সাধ্য নহে। অতএব নিজের চিত্তকেই নিবারণ করিব; অন্যকে নিবারণ করিয়া আমার কার্য কি?" (5/13-14)