Skip to main content

শিখা

নদীটা যতটা সম্ভব বুকটা চওড়া করে জেগে

সারাটা বুক দিয়ে জ্যোৎস্নায় ভিজবে বলে
   চাঁদের সাথে একা
তার বুকে জল থাকুক
        না থাকুক
 সে পরোয়া করে না
পরোয়া করে না চাঁদও

প্রয়োজন

সাম্যবাদ কি পুঁজিবাদ না, অবশেষে প্রয়োজনবাদ। আদর্শ, নীতি ইত্যাদির যুগ কোথাও একটা শেষের দিকে। এখন দেখতে হয় আদর্শ বা নীতি কতটা উচ্চ বা মহান না, কতটা ফলপ্রসূ। কারণ, চাই সুখ। আমার প্রয়োজন সুখ। শীতকালে লেপ, রুম হিটার। গরমকালে এসি, কুলার। সকালের চা থেকে রাতের ঘুম – সব আমার প্রয়োজন, আমার সুখ। মাঝে যা আসে সবের মূল সূত্র – সুখের আস্বাদ অথবা ভবিষ্যতের সুখের প্রতিশ্রুতি। আমার স্বপ্ন, আমার ইনভেস্টমেন্ট। আমা

নেশা

তোমার নেশা - ভালোবাসার আগুন।
     তুমি জ্বালানী খোঁজো এ বন, সে বন।

কাঠুরের মত বাগানে ঢোকো সন্তর্পণে
     শিকারীর লালসায়
          জ্বালানী কাঠের জন্য।

আমি ডালে ফোটা ফুল দিতে গেলাম।
নিলে না। ফুল মাটিতে পড়ল লুটিয়ে।
বললে, ডালটা দাও, শুকিয়ে।
আগুন জ্বালব।

পূর্ণ ও অংশ

একটা হাঙর সেদিন সমুদ্রের তলায় ভাসতে ভাসতে বলছিল, আমি সমুদ্র মানি না। আমি ডাঁয়ে বাঁয়ে উপরে নীচে সর্বত্র ঘুরে এসেছি ভায়া। সমুদ্র বলে কিছু নাই।
একটা মাছ সেদিন সমুদ্রের তলায় একটা মরা ঝিনুকের খোলে সমুদ্রের জলে সমুদ্রের জল রেখে বলছিল, এই আমার সমুদ্র। বাকি সবটা মিথ্যা!

একজন কিশোর সেদিন সমুদ্রের পাড়ে বসে একটা আধখানা ডাবের খোলায় সমুদ্রের জল ভরে খেলছিল।

বিধানচন্দ্র মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল ২০১৬

কল্যাণীর বিধানচন্দ্র মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক পত্রিকায় আমার দুটো লেখাকে ওরা স্থান দিয়েছেন। আমি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই নন্দিতাকে এবং প্রধান শিক্ষিকা শ্রদ্ধেয়া শুক্লাদিকে।

শেষ বগি

 

রেল লাইনের বুক
থরথর ঝনঝন করে কেঁপে উঠল
বুকের পাঁজরের কেন্দ্রে বিঁধল সুক্ষ্ম সুতীব্র যন্ত্রণা

 সে চুপ করে শুয়ে থাকল
    জানে তো
   সব ট্রেনেরই একটা শেষ বগি থাকে

তার বুকে ওঠে শব্দ
   আমার কানে বাজে সংগীত

তৃষার্ত

ওরা শুকনো ডালপালাগুলো
মেঘলা আকাশে মেলে দাঁড়িয়ে
ওদের বুকে মিঞা মল্লারের ব্যাথা
ওরা জানে
মেঘের করুণা ঢালা ধাঁরা
ডালে ডালে জাগিয়ে যাবে
আশার সবুজ কথা

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

রবীন্দ্রপ্রসঙ্গে সুগত বসু

গতকাল সুগত বসুর ভাষণে রবীন্দ্রপ্রসঙ্গ আসল। বলা হল - সেভাবে দেখলে nationalism নামক গ্রন্থে তিনি যা বলেছেন তাতে নাকি বর্তমান অবস্থায় তাঁকেও anti-nationalist বলা চলত।

কেমোফ্লেজ

আমি কেমোফ্লেজ শিখব
    তোমাতে মিশে থাকলেও
        যাতে কেউ চিনতেই না পারে
বারবার ফেরে ভুল ঠিকানায়
     ভুল দরজায় কড়া নেড়ে

 

সমীরণদা

জানতাম না তুমি -
   দৃষ্টির সাথে
     হাসির সাথে
       স্পর্শের সাথে
         যাদুকাঠি নিয়ে ফেরো

Subscribe to