Skip to main content

অন্যমনস্ক

এলোপাথাড়ি ভাবনা। অন্যমনস্ক ভাবনা। এলোমেলো ভাবনা। সব এক কথা। লাগাম নেই। কে পরাবে লাগাম? বলি হাত-পা-মুখ
কিছু আছে প্রাণীটার, যে তাকে লাগাম পরাই? সে যাঁতাকলে পিষছে আমার মাথাটা।
এক-এক সময় মনে হয় মাথা তো না, যেন গ্রাইণ্ডার মেশিন। সব গুঁড়ো করে ঘোঁট পাকিয়ে দিচ্ছে।

মা-ও তাই বলেন

ধ্যান থেকে উঠে, নিত্যকর্ম সেরে মন্দির বন্ধ করে সাইকেলটা নিয়ে যখন রাস্তায় নামে পরমানন্দ, মনটা বিষণ্ণ হয়ে যায়। সমাজ আর তার ধ্যানের জগতে কিছুতেই বনিবনা হয় না। সমাজে এত অসামঞ্জস্য, এত অবিচার, এত দুঃখ, এত পাপ, এত নিষ্ঠুরতা।

এক মুঠো সুখ নিয়ে

পটলা হয় তো ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। নইলে এমন কাণ্ড করবে কেন? পটলা কি করে এত বছর পর এরকম একটা সিদ্ধান্তে এলো, সে বিশ্লেষণ মনোবিদেরা করতে পারবেন, আমি না। আমি বলি পটলা কি করল।

বিন্দু

চিঠি হাতে আসার আগেই বৃষ্টির জলে ভিজে গেল। সব লেখা মুছে গেছে। পোস্টকার্ডের হলুদ রঙটা পর্যন্ত বদলে গেছে। ঠিকানা লিখে পাঠিয়েছিল। যে ঠিকানায় চিঠি পাঠাবার কথা ছিল তার। সে ঠিকানাই গেল হারিয়ে।

সেজে এলো আমের পল্লব

বামুনদের বাগানে কাকভোরে যখন নাপিতদের নধর ছাগলটা ঢুকলো, কেউ খেয়াল করেনি। প্রমাদ গুনেছিল লতাগাছটা, যে কয়েক মাস হল আমগাছটাকে জড়িয়ে সদ্য ডালপালা ছড়িয়ে সুখের মুখ দেখেছিল

এসি

মেয়েটার ঘমার্ক্ত শরীর  ভিজে জামা বিশ্রীরকম    অসভ্যের মত  কিভাবে বসবে বুঝে উঠতে পারছে না এই রোদে এতটা সাইকেল চালিয়ে আসা তো!

তুমিও কি ছিলে?

ভেসে এসেছিলে তখন অবেলা, ভেজানো দরজা অস্পৃশ্য তালা ঠোঁটে লেগেছিল সুখ আমার মত তুমিও কি ছিলে উন্মুখ?

ক্ষুব্ধ ভালোবাসা

ডাক্তার না নিন্দা করল, বিদ্রুপ করল, ঠাট্টা করল আত্মীয়স্বজনেরাই যখন মেয়েটার কলেজে পড়ার বয়স হল, অথচ সে স্কুলছুট, সমাজছুট হয়ে একলা হল তার অসংলগ্ন জগতের গুহাঘরে ডাক্তার না। বিজ্ঞান না। ভালোবাসা না। সহানুভূতি না। এক মুঠো অন্ধবিশ্বাস টিকটিকির মত মেয়েটার ছবিটা পাহারা দেয় ...

অ-স্থির

পাহাড়ের চূড়ায় একটা প্রজাপতি বসেছিল। কেউ জানত না। তার ডানায় সূর্যের আলো ঠিকরে জ্যোতি বেরোচ্ছিল। কেউ দেখল না। 
   মেঘ করল। খুব বৃষ্টি হল। প্রজাপতি জলের তোড়ে ভাসতে ভাসতে নেমে এলো রাস্তায়। বৃষ্টির জলে ভেসে ভেসে এলো গ্রামে। 
   উঠল গা ঝাড়া দিয়ে একজনের বারান্দায়। বসল চুপ করে বাঁশের গায়ে। যে বাঁশের আগায় দাঁড়িয়ে বাড়ির ছাদ। 

ঘোড়ার ডিম

কারণ সমাজটা প্রিভিলেজডদের। প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে চাকরি পরীক্ষায় ট্রেনিং দেওয়ার প্রতিষ্ঠান অবধি,
স্বাস্থ্য থেকে ধর্মীয় গুরুদের প্রতিষ্ঠান অবধি সব অতি অর্থবানদের দখলে। তুমি লড়বে তো কত লড়বে?
Subscribe to