Skip to main content

সারাটা রাত

সারাটা রাত
তুমি এলে না, ঘুমও এলো না

মন তোমার ঘরের দাওয়ায়
        দাবার গুটি সাজিয়ে বসল
নিজের সাথেই নিজের কতবার
           চেকমেট হল

একটা রাতের স্টেশান


গভীর রাত। দূরপাল্লার ট্রেন। স্লিপার কোচের নীচের বার্থে সিট। ঘুম ভেঙে গেল। জানি না কত রাত। ঘড়ি দেখতে ইচ্ছা করল না। থাক। রাত তো রাত। কত রাত জেনে তো দরকার নেই।

লগ্নভ্রষ্টা?

মেয়েটাকে আমি আজও চিনি। সাদা লালপেড়ে শাড়ি জড়িয়ে হেঁটে যাচ্ছে এ পাড়া ও পাড়া। মেয়েটার কপালে বড় লালটিপ। সিঁদুর না, সিঁদুরের মত তবু। সিঁথিতে সিঁদুর নেই। এককালে যে ছিল

এ মানুষে সেই মানুষ আছে

অস্তমিত সূর্যের দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষণ বসে। রাস্তাটা বেঁকে গিয়ে যে গ্রামটাতে গেছে, সে গ্রামের অনেককেই চিনি। তারাও চেনে আমায়। তবু এখন যেন সেই চেনাচিনি থেকে সরে আমি। সামনে অনেক দূর অবধি বিস্তৃত ধানক্ষেত। সবুজে সবুজ চারদিক। গরম তেমন নেই, আবার ঠান্ডার দাপটটাও নেই, বসে থাকতে ভালই লাগছে।

ডাকব না

ডাকব না
    সাড়া দেব। অপেক্ষাতে আছি।
ভাঁটা ফিরেছে বহুক্ষণ
  নোঙর ফেলেছি জোয়ারের কাছাকাছি।

 

কান পাতো

তোমার প্রতিটা শ্বাসে আমার চুম্বন
ওরা ফাঁকি দেবে এমন সাধ্য কি?

তোমার না বলা কথার গঙ্গোত্রী
      এখনো অযুত বরফে ঢাকা
আমার মর্মের মোহনা পথ চেয়ে ওদের

তোমার বুকের ভিতর যে প্রেমের ভুলভুলাইয়া
তার সব কটা চোরাপথ কে চেনাবে আমায়?

জয়ন্তী

ভেবেছিলাম হয় তো-
পায়ের পাতাও ডুববে না,
এতই কৃপণা নদী!
তুমি বললে, আমার সাথে এসো
একি! এ যে এক বুক জল!

শীর্ণ সে নদী
চিরঋণী হয়ে রইল তোমার কাছে
তোমার বুকে যে সহস্রধারা
নদী ফিরে পেল তার হৃতযৌবন
তোমার দৃষ্টির মুক্তধারায়


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

সম্পদ তবে শ্রীপদ

সংশয়রাক্ষস নাশমহাস্ত্রম - স্বামীজি বললেন ঠাকুরকে। যিনি সংশয়কে নাশ করার শুধু অস্ত্র না, মহাস্ত্রস্বরূপ।
কিসের সংশয়? ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে? 'হাঁ'ও বটে, 'না'ও বটে। 'হাঁ'- কারণ, ঠাকুরের ঈশ্বরের 'ইতি' করা যায় না।

একটা দিব্যস্বপ্ন

একটা খুব বড় পাতকুয়া। বেশ উঁচু পাড় বাঁধানো। চারিদিকে ধু ধু করছে মাঠ।  তার একদিকে খুব লম্বা একটা লাইন।  মানুষের সারি। লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি মানুষ। সবার হাতে একটা করে ঘটি।

সেদিন ছিল শিবরাত্রি

সেদিন ছিল শিবরাত্রি। মন্দিরে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ঘন্টা,কাঁসর, ভক্তদের কোলাহলে মুখরিত ছিল দেবালয় প্রাঙ্গণ।
আজ মন্দিরে কয়েকটা টিকটিকি আর পোকাদের ভিড় - মন্দিরে দেওয়ালে, বিগ্রহের গায়ে। শূন্য প্রাঙ্গণ। দেবতা একা। তিনি নীরব চোখে আমায় বললেন,
প্রয়োজন ফুরালে সবাই একা হয়। এমনকি দেবতাও।

Subscribe to