Skip to main content

আপনার জন্য লজেন্স নিয়ে আসি

মাঝে মাঝে নিজের জন্য মায়া হয়। নিজের উপর তৃতীয় ব্যক্তির মত মায়া লাগে। মনে হয় নিজের গালে নিজে একটা চুমু খাই। নিজে যখন ঘুমাই তখন মনে হয় নিজের মাথার কাছে জেগে বসে থাকি। নিজের মাথায় নিজেই হাত বুলিয়ে দিই। আপনার এরকম হয়?

জানি না, ভেবে দেখিনি। হয়, হয় তো।

ঝুড়ি ও আমি

চেতনার আশেপাশে এত যে কিছু ঘটে চলে, সে সবের মধ্যে ছিপ ফেলে বসে আছে, একা 'আমি' এক। যা পায় তাই তুলে দেখে তার 'আমি' ঝুড়িতে রাখার মত কিনা। কিছু রাখে, বাকি অনেকটাই করে অপচয়। মাঝে মাঝে নিজেকেই প্রশ্ন করে, এত অপচয়? সত্যিই কি কাজে লাগানো যায় না ওগুলো? ওগুলো মানে কোনগুলো? হিসাব করতে পারে না। 

ঝড়

তখন বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যখানে, 
যখন ঝড় উঠল
যা কিছু স্পষ্ট 
   মুহূর্তে হল অস্পষ্ট 
ধুলো ধুলোয় ঢাকল 
      এমন আত্মবিশ্বাসে
          যেন ওরই এখন আসার কথা ছিল

  আমার এখানে থাকার কথা ছিল কি?

ক্যানভাসের নিস্তব্ধতা

হয় তো নিঃসঙ্গ ছিলে
নিস্তব্ধ ছিলে কি? 

যদি থাকতে 
জানতে তবে
একটা পাতা ঝরানোর জন্যও 
   কত আয়োজন লাগে,

একটা সবুজ ঘাসও হলুদ হয়ে যায় না রাতারাতি 

আসলে ক্যানভাসের নিস্তব্ধতাকে বুকে জড়িয়ে নাওনি কোনোদিন
        কোনো ছবিই সম্পূর্ণ হল না তাই

নিরভিমান রোদ

বিকেলের নিরভিমান রোদ
তোমার চোখে এসে বসেছিল
আমার এক মুহূর্তে মনে হল
ও যেন আমায় ঘরের ঠিকানা জানিয়ে গেল

ভয়টুকু তো বোঝো

আমার ভয়টুকু তো বোঝো

ওটুকুই সব

ভালোবাসা তো
   না-মানুষেও বোঝে

(Samiran-দা এভাবে ভাষাকে মূর্ত করে তুলতে অনায়াসে পারেন। প্রণাম দাদা।)

ভ্যাক্সিন পর্ব

আমি যখন ভ্যাক্সিন নিচ্ছি তখন জানলার বাইরে বসন্ত ফাইল হ্যাণ্ডওভার করছে গ্রীষ্মের কাছে। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় পর্বের দামামা বেজে গেছে। রবীন্দ্রনাথ গ্রীষ্মকে মৌনতাপস বলেছেন, মানে বৈশাখকে। আমাদেরও তপস্যার সময় এসেছে। গতকালই একটা তিরিশ বছরের ছেলে হাস্পাতালে বেড না পেয়ে মুম্বাইতে মারা গেছে, অবশেষে কয়েক ঘন্টার জন্য পেয়েছিল যদিও। আমাদের আরো সাবধান হতে হবে। এই যুদ্ধে যার যতট

কেউ বলবে না

"ন্যাকামি করবেন না"।

    মজার কথা হচ্ছে, কেউ কিন্তু উঠে গেলেন না। কেউ বললেন না, আপনি এই শব্দটার জন্য ক্ষমা না চাইলে অনুষ্ঠানটা আর একরত্তিও এগোবে না। একজন জিভ কেটে পাশে বসে হাসলেন। বাকিদের অভিব্যক্তি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।

সব গোল্লা

গ্রীষ্মকাল। প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। হাওড়ার সালকিয়ায় থাকি তখন। ঘিঞ্জি শহর। ছাদে সবাই শুয়েছি। গরমকালে তখন তেমনই শোয়া হত। অনেক রাত। আমার ঘুম আসছে না। পাশে সবাই ঘুমাচ্ছে। মাঝে মাঝে হাওয়া দিচ্ছে আর সামনের অশ্বত্থ গাছের পাতাগুলো হাততালি দেওয়ার মত আওয়াজ করে উঠছে। আকাশে চাঁদ। ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের দল ভেসে যাচ্ছে। অল্পক্ষণের জ

মামু

আমাকে সব চাইতে মজার বোকা বানিয়েছিল আমার ছোটো মামু। মানে কয়েকদিন আগে যার ভূতের সিনেমা পোস্ট করেছিলাম।

    আমি, সে আর আমার বোন পাশাপাশি শুয়েছি। আমরা এটা সেটা গল্প করছি, হঠাৎ ছোটো মামু, মানে অদ্রিজা বলল, মা ওই মিষ্টিটা অনেকদিন খাইনি আমরা।

Subscribe to