নিজের মানুষ
কাছের মানুষ আছে ক'জন
নিজের মানুষ নেই
নিজের মানুষ খুঁজতে গিয়ে
তোমায় পেলাম সেই
মনের মানুষ হয়ে এলে
নিজের মানুষ যে গো
ও মন ছাড় রে এবার দুনিয়াদারি
ভিতর ঘরটা গোছা না গো
তুমি সুন্দর
তুমি সুন্দর
আমি না তো!
তবু তোমার বুকে আমার ঠাঁই
বারণ করলে না তো?
(ছবিঃ প্রীতম পাল)
যে যায়
আজ সকাল থেকেই মনটা খারাপ। আজ বলে না বেশ কিছুদিন ধরেই। Suvajit বদলি হয়ে পোরবন্দর চলে যাচ্ছে। আমার বন্ধু। ছিল ছাত্র। এখন কখনো বন্ধু, কখনো আত্মজ, কখনো অভিভাবক। যা হয়। ভালোবাসার আর কবে স্থির আয়তন হল বা গতিপথ হল!
দুই
ভাব যেখানে রাজী
শরীর সেখানে নয়
শরীর যে পথে রাজী
ভাব সেখানে নয়
এ দ্বন্দ্ব সব দ্বন্দ্বের মূল রে মন
হাওয়া যেখানে ভাসে
পাথর সেখানে নয়
পাথরের বুকে বাতাস কোথায়?
তবু দুই অস্তিত্বই কালের স্রোতে বয়
বে-হিসাবী
নত হয়ে আসি
যেদিন মিটবে ঘূর্ণিপাক
প্রতিদিন যদি একবার ডাকো
যদি একবারই যাও ছুঁয়ে
যদি একবার চাও তৃপ্ত নয়নে
যদি এক পা-ই হাঁটো -
সাথে নিয়ে
প্রতিদিন তবে তোমারই হোক
প্রতিদিন শুধু তুমি
তোমার বাইরে আর কি বা খোঁজা
তোমার আড়ালে আমি
কাছে দূরে
প্রেম করবেই ঠিক করেছিল
কাছে আসলেই থমকে গিয়ে বলত
না না না, এখন না।
মনে বলত, এ সে না, এ সে না।
এখন সে থাকে, কার যেন একটা সাথে
প্রেমের কথা বললেই বলে, ও সব মিছেকথা,
ছেলে ধরানো কথা, মেয়ে বোকানো কথা।
সূর্যাস্তের পথ
মহৎ সমীপে
কাল গভীর রাতে ছাদে এসে দাঁড়ালাম। সারাটা আকাশ জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে। আশেপাশে গাছগুলোর মাথায় চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে দুধ সাদা রঙ। ঠান্ডা বাতাস দুরন্ত বাচ্চার মত শরীরকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে। দেহ শীতল হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, 'এই যে বাতাস দেহে করে অমৃতক্ষরণ'।