Skip to main content

প্রতীক্ষা

তোমার কোনো বাস্তব বোধ নেই।"
ঝিলিক কথাটা বলে ঝাঁট দিতে দিতে আড়চোখে একবার শুভায়ুকে দেখে নিল। শুভায়ু খবরের কাগজে ডুবে। মাথাটা না তুলেই বলল, হুঁ।
"কাল মুন্নীর স্কুল থেকে চিঠি দিয়েছে, ওদের এবারের সামার ভ্যাকেশানের ডেটটা কি কারণে যেন এগিয়ে এসেছে। রিজার্ভেশান করেছ?"
শুভায়ু চোখ তুলে বলল, বলোনি তো!
ঝিলিক ঝাঁঝিয়ে উঠল, বলিনি মানে? পরশু থেকে এই নিয়ে তিনবার বললাম।

নির্দিষ্ট গন্তব্য থাকে

সব রাস্তারই একটা নিজস্ব নির্দিষ্ট গন্তব্য থাকে
  তোমার সাথে তা নাও মিলতে পারে
রাস্তার সাথে ঝগড়া বাধিয়ে লাভ নেই
   তুমি চাইলে নিজেকে পাল্টালেও পাল্টাতে পারো
সে চাইলেও কি আর কখনো পাশ ফিরতে পারে?

We are standing side by side in deep silence

We are standing side by side in deep silence
we know each and every breathing of us
we know the the velocity of blood in our vein
nonetheless your hand will melt in infinity before I touch
  oh my insatiable mind, oh traveler forever
come, wait here, let quest for the course of stars
  see keenly, does it resembles with us?

 

গভীর নিস্তব্ধতায়

গভীর নিস্তব্ধতায় দাঁড়িয়ে আমরা দুজন
নিজেদের প্রতিটা শ্বাস চেনা,
জানা প্রতিটা শিরায় রক্তের গতির বেগ
তবু হাতটা ছোঁয়ার আগেই মিলিয়ে যাবে জানি
    আমার অতৃপ্ত মন, আমার চিরযাত্রী মন
এসো খানিক দাঁড়িয়ে খুঁজি তারার গতিপথ
    দেখো তো মেলে কি আমাদের সাথে?

 

চিন্তা

সুতোর পরে সুতো জোড়া
তাতে হরেক রকম রঙ করা
একটু এদিক ওদিক হলে
সুতোর বাঁধন যাবে খুলে

সেই সুতোতেই ঘর বানানো
রঙ মিলিয়ে রঙ সাজানো
সুতোর ভাষায় সুতোর টান
লক্ষ সুতোয় বাঁধছে প্রাণ

সুতোর খেই যেই হারালে
চেনা জগৎ সেই খোয়ালে
সুতোর মালিক যদি চান
সব সুতোরই নাগাল পান

আত্মাশ্রয়ী আর আত্মহননকারী

আত্মাশ্রয়ী আর আত্মহননকারী একসাথেই চলেছিল। প্রথমজন রেখেছিল পা মাটিতে। দ্বিতীয়জন রেখেছিল মাটিতে পা।
মাটি যখন কাঁপল, আত্মাশ্রয়ী পা তুলল মাটি থেকে, নিজেকে রাখল স্থির। আত্মহননকারী মাটির সাথে পড়ল মুখ থুবড়িয়ে, পায়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে।

দহন

জানতাম না জঙ্গল পুড়লে এত লাগে
আমার বাড়ির এত কাছেই কুমায়ুন!
রোজ দেখছি পুড়ছে
   গায়ে তাপ লাগছে
  তবু নিশ্চিন্ত পিঠ ফেরানো সুখ আয়ত্তে।
   এ আগুন - দম্ভ না প্রতিশোধ?
           জানি না। যা জানি তা হল-
 জঙ্গল হারালে মানুষ হারিয়ে যায়

I am here in ageless flowing of time

সহস্র জন্মের তৃষ্ণা নিয়ে দাঁড়িয়ে
এ নিত্য প্রবহমানতার মাঝে
  সব ফিরিয়ে দেব পৃথিবী,
     ফিরিয়ে নাও আমায়
       তোমার চিরস্থির অসীম অনন্তলোকে

শামুকের খোলা

আজ বহুদিন পর পুকুরের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম
কয়েকটা ধাপ নামতেই পা ডুবে গেল জলে
চেনা সুর শুনলাম অচেনা গলায়
   চেনা ছবি অচেনা ফ্রেমে বাঁধা পড়ল
কোমর জলে দাঁড়িয়ে তাকালাম আকাশের দিকে
ছেঁড়া ছেঁড়া ছন্দ নিয়ে কয়েক টুকরো মেঘ বুকে আকাশ
আমায় বলল, আসব?
আমার সারা পুকুরের জল আকাশের ছায়ায় ঢেকে গেল

মেঘমালা

বিস্তর মেঘ জমেছে
  ওরা নীলাকাশকে বলছে,
     আজ তুমি না, আমি

মাঠের বুকে নরম ছায়া পড়েছে মেঘের
সবুজ ঘাসের কানে কানে
          বাতাস বলেছে -
এসো না, আজ লুকোচুরি খেলি


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

Subscribe to