হনুমান আর দুষ্টু
অপেক্ষা
অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন জন্মালো। স্বপ্নেও অপেক্ষা হল না শেষ। এলো না সে। অথচ আসবার কথা দিয়েছিল যেন, স্পষ্টভাবে নয়, ইঙ্গিতে। এমন কতবার হল!
"অপেক্ষা করার দায় কি শুধু আমার!" - নিজেকে চীৎকার করে বলল সে, নিঃশব্দে। ঠিক করে নিল, আর অপেক্ষা নয়।
মানুষের আত্মদর্শন
ভারতের ঈশ্বর চেতনা নিয়ে আলোচনা নেই সেখানে। থাকার কথাও নয়। তবে লেখকের ঈঙ্গিতটা বেশ স্পষ্ট। উপনিষদকে কেন এতটা গুরুত্ব দিলেন রামমোহন রায়। আমাদের সমাজে সেদিন যত কুসংস্কার ছিল, সেসব যে সে উপনিষদজাত নয় তাও দেখিয়েছিলেন।
সুনিশ্চিত সরকারি চাকরি
যে খবরটা নিয়ে খবরের কাগজগুলো তোলপাড় হচ্ছে তা হল ডোমের চাকরির জন্যে উচ্চশিক্ষিতদের আবেদনপত্র। অনেকেরই বক্তব্য পড়লাম, ডোমের চাকরি মানে সরকারি চাকরি, মানে সুনিশ্চিত নিরাপত্তা।
ভাল্লুকটা আর বন্ধুত্ব দিবস
বাউল সত্যজিৎ
ইন্টেলেকচুয়াল অ্যারিস্ট্রোকেসি আর সোশ্যাল অ্যারিস্ট্রোকেসি - দুই-ই যত গর্জায় তত বর্ষায় না। সত্যজিৎবাবু হয় তো হাঁপিয়ে উঠেই 'আগন্তুক' সিনেমার স্ক্রিপ্টটা লিখে ফেলেছিলেন। সিনেমা মানে তো আদতে স্ক্রিপ্ট। স্ক্রিপ্টটাই তো ভাবনা। সেই ভাবনাটা নিশ্চয়ই কোনো এক যন্ত্রণা থেকেই উঠে এসেছিল। নইলে শেষ দুটো সিনেমায়, 'শাখা-প্রশাখা' আর 'আগন্তুক'-এ এমন দুটো চরিত্রকে দাঁড় করাতে চাইলেন কেন?
থেকেই যা
স্বপ্ন সাগর
ক্লান্তিতেই হবে, নইলে হঠাৎ করে বিদ্যাসাগর মশায় এসে ঘুমের মধ্যে ঢুকবেন কেন? যা হোক, ঢুকেই যখন পড়েছেন, সে ঘুমের মধ্যে হলেও, বসতে বলতে হয়। তা তিনি আমার কথা না শুনে সারা ঘরময় ঘুমের মধ্যেই পায়চারি শুরু করে দিলেন। আমি বললাম, ও মশায়, অমন হাঁটেন কেন, একটু বসেন না, দুটো কথা কই?
খবরের কাগজ
বিচিত্র ছলনাজাল
প্রতিদিন পেপার খুললেই পড়ছি প্রতারণার গল্প। কেউ উচ্চ আধিকারিক সেজে প্রতারণা করছে। কেউ প্রেমিক সেজে। কেউ চিকিৎসক সেজে। কেউ গুরু সেজে। কেউ চলচিত্র পরিচালক সেজে। মানুষের কত সাজ, কত কৌশল। কত কত নকল।