Skip to main content

জানোয়ার

হস্টেল রুমে ঢুকে বাঁদিকের দেওয়াল হাতড়ে স্যুইচটা জ্বালতেই পরমা চীৎকার করে উঠল। বাইরে প্রচণ্ড জোর বৃষ্টি হচ্ছে। জানে কেউ শুনতে পাবে না। তবু রিফ্লেক্সে চীৎকারটা বেরিয়ে এলো গলা থেকে। তার মেরুদণ্ড দিয়ে একটা হিমেল স্রোত নেমে গেল। সে বুঝতে পারছে তার নীচের ঠোঁটটা থরথর করে কাঁপছে। তার পা-দুটোও যেন তাকে ধরে দাঁড়াতে দিচ্ছে না, এমন দুর্বল অবশ হয়ে আসছে তার শরীর। মনে মনে বলল, 'জানোয়ারটা ঢুকল কখন?

পরিচয়

তীর্থযাত্রী ফিরে এসেছিল
    পথ হারায়নি
দিক ভুলেছিলো

বয়েই চলো

হিসাব মেলেনি?
যার সময়ে দাঁড়ানোর কথা ছিল সে দাঁড়ায়নি?
(তাকে অন্য কারোর সাথে অন্য কোনো গলিতে দেখেছো?)
সময়ে কে আসে বলো জীবনে?
    পেপারওয়ালা আর দুধওয়ালা ছাড়া
  (তাও খুব বর্ষায়, খুব শীতে তারাও তো দেরি করে!)
 মনের ভিতর মনকে আটকিয়ো না
   আটকানো মনের অভিমান বেশি
     বইতে দাও, নিষেধ করবে? কেন?

কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়

---

তো হল কি, অনেকে বলছেন কাল কেমন বেড়ালুম সে বিষয়ে কিছু লিখতে। প্রথমে ভাবলাম লিখব না, কারণ গন্তব্য (কামারপুকুর-জয়রামবাটি) কিছু নতুন জায়গা নয়, আগেও গেছি, আর যাঁদের উদ্দেশ্যে যাওয়া তাঁরাও ঘরের মানুষ। তবে আর লেখার কি থাকতে পারে?

অসহ্য



---
রত্না সিমেন্ট বাঁধানো বেঞ্চে বসে। বিকাল পাঁচটা। সদ্য দূর্গাপূজো গেল। লক্ষীপূজোও। রত্নার ছেলে বউ নাতি নাতনি কেউ আসেনি। ওরা আসবে না, বউমা বলেছে (নিজেও চায় না)। “কনকা” বৃদ্ধাশ্রমটা তাদের বাড়ি থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার হবে। রত্না আশা করে না আর।

সরে দাঁড়াও

অবশেষে না হয় শূন্য আঙিনা হবে
   শূন্য আঙিনাও কাড়বে?

দুদিক

তুমি তোমার ছুরিটাকে দুদিকেই ধার দিয়েছ
এখন যা খুশি তাই কাটছ কচ কচ করে
   বারণ করতে গেলেই বলছ

শিখণ্ডী

কথাগুলো মিলিয়ে গেছে
     কাঁটার মত বিঁধে আছে
Subscribe to