জুতো
কলিংবেল বাজল। রাত এগারোটা। ছেলেটা দরজা খুলে বাইরে কাউকে দেখতে পেলো না। এদিক ওদিক তাকিয়ে দরজাটা বন্ধ করতে গিয়ে খেয়াল করল, সামনের সিঁড়িতে দু'পাটি জুতো রাখা। ছেলেটা ভ্রু কুঁচকে কিছু মনে করার চেষ্টা করল। পারল না। দরজাটা বন্ধ করে টিভির সামনে এসে বসল। টিভিটা চলছিলই।
ওপার
মেয়েটা বলত, তাকে যে বিয়ে করবে সে কত টাকা যেন মাইনে না পেলে বিয়েই করবে না, বেশ বড় অঙ্কের টাকা থাকবে, চারচাকা থাকবে, বড় বাড়ি থাকবে ইত্যাদি। খবরের কাগজে, ম্যাগাজিনে ক্রিকেটার, অভিনেতাদের ছবি বেরোলে কেটে কেটে বইয়ের ফাঁকে রাখত। তারাই তার জন্য আদর্শ হবু বর।
বাস্তব
বাস্তবে তোমার আমার সাথে কি প্রয়োজন বলো?
তবু কিছুটা সময় বাস্তব না হয় থাকলই আড়ালে
তুমি তোমার সময় হলে ফিরে যেয়ো
আমি ফিরিয়ে নেবো বাস্তবকে আবার আমার মত করে
তুমি ভেবো না
মৃত্যুর ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়া মৃত্যুকে কত সাবলীল করে, ঘরে এনে বালিশ বিছানার উপর রাখছে। কত কত টাটকা মৃত্যুর ভিডিও। কত হত্যার নিপুণ লাইভ রেকর্ডিং। কত আত্মহত্যার স্বচ্ছ, স্পষ্ট, অরিজিনাল ভারসান। কোনো স্টান্ট নয় দেখুন, ভালো করে তাকান। লাইভ ধর্ষণ দেখবেন?
কি করা উচিৎ
"তোমার কি করা উচিৎ
জানতে চাও হৃদয়ের কাছে,
মস্তিষ্ক উপায় বার করে নেবে"
- গুলজার
ভজ গেরুয়া
পুরবেলা চাট্টি ডালভাত খেয়ে, চেয়ারে বসে, বিছানায় দুটো ঠ্যাঙ তুলে, এক ব্রহ্মজ্ঞানীর লেখা বইয়ের সদ্য দুটো লাইন পড়েছি,
"আমি কি, কোথা হইতে আসিলাম, কোথায় যাইব? ভব-বন্ধনই বা কি? কি ভাবে মোচন হইবে? আত্মা কি? জীবাত্মা কি? পরমাত্মা কি?"...
ফোন বেজে উঠল-
- হ্যাঁ রে... কাকু বলছি
- বলো
- আধারের সাথে প্যান লিঙ্ক করেছিস?..
মায়ের চোখ এড়ানো কঠিন
আপনাদের বলছি, সেই সব বাবা-মায়েরা, শিক্ষক-শিক্ষিকা-পাড়া প্রতিবেশীরা...
ঈশ্বর
হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর,
মেয়েটার তো বয়েস ছ' বছর ছিল
ওকে যখন তুলে নিয়ে গেল
আপনারই সামনে
দুর্গন্ধময়
কুলকুচো করেছো?
এবার জলটা ফেলো
শাশ্বত সত্য কিছু ধুয়ে যাক
তোমার জিভ থেকে
ওরা বাসি দুর্গন্ধময় হয়েছে
অকাল বর্ষণ
হেরম্ব বিশ্বাস মহাশয় মস্তকে ছাতা, গায়ে হাফ সোয়েটার নিয়ে গ্রীষ্মের ঘামের ন্যায় স্নাত হইতেছিলেন। রাস্তার চৌমাথায় দাঁড়াইয়া ইতিউতি চাহিয়া যাহা খুঁজিতেছিলেন, তাহা হইল একটি বিশুদ্ধ প্রস্রাবাগার। বৃষ্টি পড়িলে তাহার রেচনাবেগ কিঞ্চিৎ বর্ধিত হয়। লোকমুখে শ্রুত হয় তাহার বাল্যকালে বর্ষাকালে আশেপাশের গ্রাম হইতে গোযান করিয়া কাঁথা আসিত।