সৌরভ ভট্টাচার্য
1 May 2018
দুপুরে এখানে পাতপেড়ে খাওয়া হয়। শ্রমিকেরা খায়। শ্রমিক মানে কালো গা, ধুলো জামা, ফসিল চোখ, হাড়ের আত্মশ্লাঘাহীন পরিচয়। যারা বাতাসের মতো পাশাপাশি বাঁচে, অদৃশ্য অস্ত্বিত্বে।
কুকুরটা জানে না আজ মে'ডে। কুকুরটার সকাল থেকে খাওয়া জোটেনি আজ। কুকুরটা রবিবারের হিসেব রাখে। কিন্তু আজ কিসের ছুটি? অন্য দিন হলে এতক্ষণে কয়েক টুকরো কাঁটা, থালার কোণে ট্যালটেলে ডালের সাথে মিশে কয়েক টুকরো চাল তার পেটে সিঁধোতো। আজ সকাল থেকে আধখানা বিস্কুটও জোটেনি। আজ মে'ডে।
কুকুরটা মুখ তুলে রাস্তার ওপাশে সবুজ মাঠটার দিকে তাকালো। কয়েকটা গরু ঘাস খাচ্ছে। সবুজ ঘাসগুলোর দিকে তাকাতে তাকাতে ঝিমধরা চোখে কুকুরটার তন্দ্রা মতো এলো। দেখলো সারা মাঠ ডালভাত সাজানো। কয়েকটা ধানের ঢিবিকে মনে হল মাছের কাঁটার পাহাড়। তন্দ্রার ঘোরেই কুকুরটা উঠে দাঁড়ালো। মাথাটা ঘুরে গেলো। তন্দ্রাটা কেটে গেল। সবুজ মাঠে লেজ দিয়ে পোকা উড়িয়ে উড়িয়ে ঘাস খাচ্ছে গরুরা। বকগুলো ইতস্তত ঘুরতে ঘুরতে গরুগুলোর গায়ে পোকা খুঁটে খাচ্ছে। ওদের কারোর আজ মে'ডে নয়।
কুকুরটা তিনবারের চেষ্টায় উঠে দঁড়ালো। বেঞ্চের কোণাগুলো শুঁকে দেখলো, বাসন মাজার জায়গাটা ঘুরে দেখলো কোথাও এক টুকরোও ভাত ফেলে যায়নি কেউ। সামনের ফ্ল্যাটে ব্যালকনিতে দুপুরের খাওয়া খেয়ে দাঁত খোচাচ্ছে যে লোকটা, ওর অফিস ছুটি আজ। ওর একটা কারখানা আছে। কুকুরটা জানে। ওর নীচের ফ্ল্যাটে যে লোকটা থাকে তার জনা পঞ্চাশেক জন মজুর আছে। মালিকদের খাওয়া মে'ডেতেও হয়ে যায়। কুকুরটা দোকান থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বস্তির দিকে এগলো। এগোতে এগোতে দেখলো আরো অনেক কুকুর সার দিয়ে বস্তির দিকে এগোচ্ছে। ওদিকে নাকি আজ মে'ডে নেই।
সেখানে পৌঁছে, অনেক কুকুর আগের থেকে এসেই অপেক্ষা করছে দেখল। অনেক বস্তিবাসী নাকি আজ কাজে যেতে পারে নি। কাজ হবে না। মে'ডে এর ছুটি। অনেক বাচ্চাকাচ্চার শুকনো মুখ, শুকনো থালা শুঁকতে শুঁকতে কিছু কুকুর স্টেশানের দিকে গেলো, কিছু হাসপাতালে, আর কিছু কুকুর বস্তির ধারে বসে রইল। মে'ডে ফুরোনোর অপেক্ষায়।
কুকুরটা জানে না আজ মে'ডে। কুকুরটার সকাল থেকে খাওয়া জোটেনি আজ। কুকুরটা রবিবারের হিসেব রাখে। কিন্তু আজ কিসের ছুটি? অন্য দিন হলে এতক্ষণে কয়েক টুকরো কাঁটা, থালার কোণে ট্যালটেলে ডালের সাথে মিশে কয়েক টুকরো চাল তার পেটে সিঁধোতো। আজ সকাল থেকে আধখানা বিস্কুটও জোটেনি। আজ মে'ডে।
কুকুরটা মুখ তুলে রাস্তার ওপাশে সবুজ মাঠটার দিকে তাকালো। কয়েকটা গরু ঘাস খাচ্ছে। সবুজ ঘাসগুলোর দিকে তাকাতে তাকাতে ঝিমধরা চোখে কুকুরটার তন্দ্রা মতো এলো। দেখলো সারা মাঠ ডালভাত সাজানো। কয়েকটা ধানের ঢিবিকে মনে হল মাছের কাঁটার পাহাড়। তন্দ্রার ঘোরেই কুকুরটা উঠে দাঁড়ালো। মাথাটা ঘুরে গেলো। তন্দ্রাটা কেটে গেল। সবুজ মাঠে লেজ দিয়ে পোকা উড়িয়ে উড়িয়ে ঘাস খাচ্ছে গরুরা। বকগুলো ইতস্তত ঘুরতে ঘুরতে গরুগুলোর গায়ে পোকা খুঁটে খাচ্ছে। ওদের কারোর আজ মে'ডে নয়।
কুকুরটা তিনবারের চেষ্টায় উঠে দঁড়ালো। বেঞ্চের কোণাগুলো শুঁকে দেখলো, বাসন মাজার জায়গাটা ঘুরে দেখলো কোথাও এক টুকরোও ভাত ফেলে যায়নি কেউ। সামনের ফ্ল্যাটে ব্যালকনিতে দুপুরের খাওয়া খেয়ে দাঁত খোচাচ্ছে যে লোকটা, ওর অফিস ছুটি আজ। ওর একটা কারখানা আছে। কুকুরটা জানে। ওর নীচের ফ্ল্যাটে যে লোকটা থাকে তার জনা পঞ্চাশেক জন মজুর আছে। মালিকদের খাওয়া মে'ডেতেও হয়ে যায়। কুকুরটা দোকান থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বস্তির দিকে এগলো। এগোতে এগোতে দেখলো আরো অনেক কুকুর সার দিয়ে বস্তির দিকে এগোচ্ছে। ওদিকে নাকি আজ মে'ডে নেই।
সেখানে পৌঁছে, অনেক কুকুর আগের থেকে এসেই অপেক্ষা করছে দেখল। অনেক বস্তিবাসী নাকি আজ কাজে যেতে পারে নি। কাজ হবে না। মে'ডে এর ছুটি। অনেক বাচ্চাকাচ্চার শুকনো মুখ, শুকনো থালা শুঁকতে শুঁকতে কিছু কুকুর স্টেশানের দিকে গেলো, কিছু হাসপাতালে, আর কিছু কুকুর বস্তির ধারে বসে রইল। মে'ডে ফুরোনোর অপেক্ষায়।