Skip to main content

ভারত তুমি কার?

        বিহারের ভূমিকম্পের জন্যে একবার গান্ধীজী বিহারের মানুষের অস্পৃশ্যতা প্রথাকে দায়ী করেন। বলেন অস্পৃশ্যতার মত এক অমানবিক প্রথাকে মেনে চলায় ঈশ্বর ক্রুদ্ধ, তাই এই ভূমিকম্প। 

সত্য


যে চলতে চলতে দাঁড়িয়ে পড়ে
দাঁড়িয়ে পড়ে পিছন ঘুরে
    সবার চলা আড়াল করে, 
       বলে ওঠে গম্ভীর স্বরে -
               'ইহাই সত্য'

তাকে আমি এড়িয়ে চলি

কোফি আন্নান

        এই মানুষটাও চলে গেলেন। খুব ক্ষুদ্র একটা জায়গা থেকে পথ চলা শুরু করে UN এর সর্বোচ্চ পদ, বিশাল গল্প। একবার ওনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ওনার জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে। উনি একটা গল্প বলেন। আমার স্কুল জীবনে পেপারে পড়েছিলাম। গল্পটা এরকম - 

কোনো কবিতাই


আসলে তো একটাও কবিতা পুরো লেখা হয়নি আজ অবধি
একটা স্লেট হাতে 
  জঙ্গলে, গাছের ডালে, গুহায় যে মানুষটা নগ্ন হয়ে
          বা কখনও ছাল-বাকলা গায়ে 

বাদামগুলোর মত


মন্দিরের গায়ে গায়ে অনেক গর্ত
পায়রা, মাকড়সা, পিঁপড়ের জমায়েত
মানত করা লাল কাপড়, সিঁদুরের খালি ডিব্বা, ভাঙা চিরুনি 
এরকম অনেক কিছু থেকে যায়
ভাঙা, ফেলে দেওয়া, অবহেলার সংসার গড়ে ওঠে অলক্ষ্যে
একদিন কারোর শুচিবায়ু চোখে পড়ে 
অবহেলার সংসার আবর্জনা হয়ে যায় নিমেষেই

আমি যেখানে


আমি যেখানে নির্ভাষ 
আমি যেখানে অন্তরিন নগ্ন
আমি যেখানে মহাকাশের কালহীন আবর্ত
আমি যেখানে গভীর জঙ্গলে ফোটা কোনো অখ্যাত ফুলের সহচর 
আমি যেখানে বিস্তীর্ণ মরুভূমির একটি নির্বিশেষ বালুকণা

অটো ইম্যুউন

        রুচির বৈষম্যতা আর রুচির মান এক কথা কি? খাদ্যে রুচির পার্থক্য হয়েই থাকে। টক, ঝাল, মিষ্টি, অম্ল ইত্যাদি নানা স্বাদের বৈষম্য থাকে। তাতে কারো কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে কোনো তথ্য কোথাও লিপিবদ্ধও নেই। কিন্তু খাদ্য-অখাদ্যের বিচার যখন আসে তখন যদি কেউ সেই বিচারের ক্ষেত্রকে রুচির বিচারের ক্ষেত্রর মধ্যে নিয়ে আসে? অখাদ্যকে রুচির তারতম্য বলে চালাতে চায়?

অকারণ


আজ পূর্ণিমা না
তবু আধফালি চাঁদই যেন সারা আকাশ জুড়ে

ঢেউয়ের পাড় ভাঙার শব্দ শুনেছি
     গভীর রাতে পুরীর বিচে বসে

প্রবঞ্চক

প্রতিটা শব্দের অর্থ অভিধান দেখে আলাদা করে বুঝে নিই। যাতে সে শব্দের সোজাসুজি অনুভবকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়ে বলতে পারি, তুমি ভুল শুধু নও, প্রবঞ্চক!
...

আজ অন্তত

তোমার ঝুড়িতে সাজানো
শেষ গোলাপি কুঁড়িটা আমায় দিয়ো
ওরা শিশিরে ভেজা নয়, জানি
 চাঁপাকলের জলে ভেজানো।
ভূগর্ভস্থ জলে সিক্ত
   ওদের কোমল শেষ শরীরটা বেচো না,
          আমায় দিয়ো
আমি ফুল ফুটিয়ে তোমার হাতে দেব।

Subscribe to