মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
সারা গায়ে কাদা ছোপ ছোপ, ভূষণ এসে দাওয়ায় বসল। ভূষণ নাপিতের কাজ করত। এখন চলে না। গ্রামে নতুন সাজসরঞ্জামের সেলুন খুলেছে, আর না হোক চারটে। এখন আর রাস্তার ধারে বসে কে চুল কাটাবে। তার ঠাকুরদার পিঁড়ে, কাঁচি, কলপের বাটি, ব্রাশ --- সব খাটের নীচে ট্রাঙ্কে জমা।
নাম রাখল - পুষ্প
বকেয়া
জীবনের কিছুটা বকেয়া
দুর্যোগের কাছে ছিল
জানতাম না।
জানলাম সেদিন
যেদিন ঝড় বকেয়া হিসাবের খাতা নিয়ে এলো
বলল, সই করো
নকল সই করলাম
ঝড় হেসে বলল,
"আবার আসব"
জেটি
জেটিকে যদি জিজ্ঞেস করি, "জেটি তুমি কার?" জেটি কি উত্তর দেবে, জানি না।
খড়কুটো
নীড়ের খড়কুটো
তা জোগাড় করতে
হিমালয় যেতে হয় না, সত্য
প্রশান্ত মহাসাগর কিম্বা থর মরভূমিতেও না, সত্য।
তবু, এত দরকারি, মূল্যবানের ভিড়ে
কয়েকটা খড়কুটো জোগাড় করাও
খুব সহজ কাজ কি গো?
মানুষ শুধু শরীরে
মানুষ শুধু শরীরে আহত হয় না
দেশ শুধু আহ্নিকগতিতে অন্ধকার হয় না
মৃত মানুষে শুধু কবর শ্মশান হয় না
সময়ের কয়েকটা ছেঁড়া পাতা
অকারণ হারিয়ে যায় না
একটা দেশ আর একটা মশা
যারা শুনতে পায়নি
‘ঈর্ষারা সুরক্ষিত হোক’
মন্দিরের দরজায় দাঁড়িয়ে
এমন একটা প্রার্থনা করার সময়
লোকটা হঠাৎ করে কেঁদে উঠেছিল
একটা দমকা হাওয়ায়
রোদে পোড়া ঝরে পড়া পাতাগুলো
ডাঁই করা রাস্তার ধারে
দশদিক থেকে বাতাস পোড়া পাতার গন্ধ নিয়ে খেলছে দামাল ছেলের মত
সূর্যাস্তের আয়োজন হচ্ছে পশ্চিম আকাশে
সিঁদুর রঙ লেপে
আমার বোধহয় চোখটা আবার দেখাতে হবে
আমার বোধহয় চোখটা আবার দেখাতে হবে। লেখা আছে 'Marking 10yrs of 26/11', আমি পড়লাম, 'Marketing 10yrs of... "..
কাছের জিনিস বড় অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে..বুঝলে হে বাঙালি সেন্টিনালি...উফ আবার ভুল লিখলাম..বাঙালি সেন্টিমেন্টালি...!!