Skip to main content

আব্বাজান

        একটা গোলাপী শাড়ি। মাথায় দুটো ক্লিপ। অনেক দিন হেলায় পড়ে থাকা, ঝড়ে ভাঙা গাছের ডালের মত শরীর। জোর বলতে --- গলা আর চোখ। বিরক্তিকর ফ্যাসফ্যাসে গলা, দৃষ্টি তীক্ষ্ণ জ্বালা ধরানো দৃষ্টি।

থামবে কি?

তানপুরাটার শব্দ থেমে গেল
একটা মৌমাছি গুনগুন করতে করতে
  তানপুরার খোলের উপর বসল 
তখন সব আলো নিভে গেছে 
  ঝাড়বাতিটা মাকড়সার মত দেওয়ালে ঝুলে 
             বোবার মত

পেট ঠুসে খাওয়ার পর

        পেট ঠুসে খাওয়ার পর শরীরটা আইঢাই করছে। অনেকক্ষণ এ ঘর সে ঘর বারান্দা উঠান পায়চারি করার পরও না উঠছে ঢেকুর আর না তো....পেটটা দম মেরে আছে।

একটা কাজের কথা


        একটা কাজের কথা। একবার ভেবে দেখবেন তো, যতগুলো অনুতাপ, অপরাধীভাব কিম্বা দোষীভাব নিজের ভিতরে, নিজের অজান্তে পুষে রেখেছেন, তার কতগুলোর সত্যিই কোনো মানে হয়?

বন্ধুহস্ত


দক্ষিণস্কন্ধ মোর পাইল আঘাত
  আপন কক্ষচ্যুত হইয়া
চিকিৎসক রুধিলেন দক্ষিণের কাজ
    বেড়িলেন বিচলন রোধক দিয়া

বাজারের থলে


        লোকটা মাসকাবারি বাজারের থলেটার নীচের দিকটা দিল কেটে। এদিকে হাত দিলে ওদিক থেকে হাত যাচ্ছে বেরিয়ে।
        সবাই হো হো করে হাসল।

এত সাজসজ্জা

এত সাজসজ্জা
এত নির্ভুল উচ্চারণ
এত নিখুঁত পদক্ষেপ
হাসি পায়
কবরের উপর এত নক্সা কেন?

মেঘ ভাঙা বৃষ্টি

        সারা গায়ে কাদা ছোপ ছোপ, ভূষণ এসে দাওয়ায় বসল। ভূষণ নাপিতের কাজ করত। এখন চলে না। গ্রামে নতুন সাজসরঞ্জামের সেলুন খুলেছে, আর না হোক চারটে। এখন আর রাস্তার ধারে বসে কে চুল কাটাবে। তার ঠাকুরদার পিঁড়ে, কাঁচি, কলপের বাটি, ব্রাশ --- সব খাটের নীচে ট্রাঙ্কে জমা। 

নাম রাখল - পুষ্প

        মনসার থানে পূজো দিতে গিয়ে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ল পুষ্প। সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি। পায়ুদ্বারে ক্যান্সার। সারা শরীর ছড়িয়েছে। চিকিৎসক জবাব দিয়েছে। বরের অবশ্য হাল ছাড়ার প্রশ্ন নেই, সে হাল ধরলই বা কবে। দুটো মেয়ে, ক্লাস এইটে আর সিক্সে পড়ে।

বকেয়া


জীবনের কিছুটা বকেয়া 
    দুর্যোগের কাছে ছিল

জানতাম না। 
  জানলাম সেদিন
  যেদিন ঝড় বকেয়া হিসাবের খাতা নিয়ে এলো

বলল, সই করো

নকল সই করলাম

ঝড় হেসে বলল, 
  "আবার আসব"

Subscribe to