ছল চাতুরী ও অভিনয়
ছল চাতুরী শিখতে হয় না। সে মানুষের আদিম প্রবৃত্তিগুলোর মধ্যে একটা। একটি ছেলের আর্থিক অবস্থা খারাপ। সে পড়তে এসেছে। তার মা অনুরোধ করলেন একটু দেখতে। দেখা হল। মাস তিনেক বাদে খোঁজ পাওয়া গেল, সে আরো একজনের কাছে একই বিষয় পড়তে যায়, অর্থের সম্পূর্ণটা দিয়েই। এদিকের ছাড়, ওদিকে ব্যবহার হয়ে গেল। এক ঢিলে দুই পাখি। আরেকটি উদাহরণ, একজন একদিন পড়তে এলো না। তাদের সচ্ছল অবস্থা। মা বাবা বল
তোমায়
রবি ঠাকুর ও লোকনাথ সংবাদ
কহিলেন লোকনাথ
রবি ঠাকুরেরে
তোমাতে আমাতে মিল
বেশ দেখি যে হে
তিরোধান দিবস স্মরি
বাঙালির প্রাণ
কিবা যোগে করে সবে উৎসব মহান
উদাসীন অনুকম্পায়
এইটুকুই তো তাঁকে দেওয়ার
দীর্ঘ আলোচনার পর, বাইকে চড়ে আপিস থেকে ফেরার সময় নন্দলালবাবু ভাবছিলেন, আলোচনাটা কি হল? স্কুলের পরীক্ষায় রবীন্দ্রনাথের সব গান নেওয়া যাবে না। কারণ করোনার অতিমারীতে সব গান শেখানোই যায়নি ঠিক করে। তবে কোন গান রাখা যাবে আর কোন গান রাখা যাবে না এই নিয়ে ভীষণ ঝক্কিতে পড়লেন নন্দলাল।
আদৌ কি চাইছি
একটা বড় মেলা। কত রকম আলো, কতরকম নাগরদোলা, কত রকম সুখ। একটা রিফ্রেশিং স্পট - রবীন্দ্রনাথ।
পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ - মেলায় ভীষণ ভিড়। পঁচিশে বৈশাখ অপেক্ষাকৃত বেশি। সেদিন মেলার ফাউণ্ডেশন ডে। বাইশে শ্রাবণ, ভিড় কিছুটা কম, সেদিন মেলার কর্তৃত্ব হস্তান্তরণের দিন। বাকি দিনগুলো কেউ না কেউ আসেই।
সম্পর্ক
বিয়ে হল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মনে হতে শুরু করল, না, এ মানুষটা ঠিক আমার মনের মত মানুষ না। মানে আমি যেমন চাইছিলাম ঠিক তেমন না।
আবার এমন হতে পারে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মনে হল, আমরা সংসারটা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে হচ্ছে না।
নীচে চলো
প্রচণ্ড রেগে আছে সকাল থেকে। যতবার কাছে গেছে ততবার ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে। আজ তো গায়েও হাত তুলেছে। এখন একটা কেক দিয়েছে যদিও। কিন্তু রাগে খিদেতে স্বাদই পাচ্ছে না কেকের। মাঝে মাঝেই আঁচলটা দিয়ে মুখটা মুছছে। থুথু ছেটাচ্ছে। কেকটা গলায় আটকে যাচ্ছে মাঝে মাঝে। চোখটা যেন বাইরে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। কোনোরকমে গিলে ফেলছে।
হনুমান আর দুষ্টু
অপেক্ষা
অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন জন্মালো। স্বপ্নেও অপেক্ষা হল না শেষ। এলো না সে। অথচ আসবার কথা দিয়েছিল যেন, স্পষ্টভাবে নয়, ইঙ্গিতে। এমন কতবার হল!
"অপেক্ষা করার দায় কি শুধু আমার!" - নিজেকে চীৎকার করে বলল সে, নিঃশব্দে। ঠিক করে নিল, আর অপেক্ষা নয়।