Skip to main content

নবজাগরণ

সন্ধ্যা আসন্ন। নদীর জলে অস্তমিত সূর্যের শেষ আলোর তরল স্পন্দিত রূপ। মন্দ বাতাস শিরীষ ফুলের গন্ধে প্রমত্ত।

পলাশ

ঠোঁটটা অনেক কাছে আনার পর জানলাম,
সামনে ওটা ঠোঁট ছিল না, ছায়া ছিল

ফেরার পথে কিছু পলাশ কুড়িয়ে ফিরলাম
খেয়াল করিনি কোনোদিন,
     পলাশের বুক এত লাল ছিল


(যিনি অতি সাধারণকে অসাধারণ করতে পারেন - Samiran দার তোলা ছবি)

এসেছি কি হেথা যশের কাঙালি

গতকাল থেকে তিনটে ভাষণ নিয়ে মিডিয়া তথা ফেসবুকে বহু উচ্ছ্বাস, স্তবস্তুতি শুনে আসছি। তিনটি ভাষণই বাগ্মীতায় বহু উচ্ছ্বাসপূর্ণ। বহু করতালি, বহু হাসাহাসি, বহু চিমটাচিমটি পরিপূর্ণ। কেউ আবেগের কথা বলেন, কেউ সবাই সমান হয়ে যাওয়ার সেই স্বপ্নটার কথা বলেন, কেউ মান-সম্মানের কথা বলেন।

    কেউ আগাম ভারতবর্ষ পদ্মময়, কেউ লালময়, কেউ হাতময় দেখছেন।

সংশয়

তুমি আমায় হারিয়েছ প্রতিবার
     আমার সংশয়ের উত্তর দিয়ে নয়
আমার সংশয়কেও অনুমতি দিয়ে
        তোমার রাজসভায় আসার

সে সংশয় ক্ষীণ দুর্বল চিত্তে তোমায় স্পর্শ করতে চায়,
অবিশ্বাস করতে চায়

তুমি দু'হাত সরে দাঁড়াও প্রতিবার
 সংশয় জিতে যায় নাগাল না পেয়ে

তুমি একটু বোসো

তোমার কি এই বসন্তেই আসার কথা ছিল?
আমার অপেক্ষার পালা এত তাড়াতাড়ি কি করে ফুরালো!
বসার ঘরে কিছু অতিথি আমার এখন
তুমি শোয়ার ঘরে একটু বসবে?
কিছু কাজও আছে আধখানা বাকি
তুমি বসবে ছাদে? ছাদের পাশের পলাশ গাছটায় এসেছে কুঁড়ি।
   আমার কিছু লোককে কথা দেওয়া আছে,
তাদের বাড়ি যেতেই হবে, হ্যাঁ গো যেতেই হবে

ওরা

ওর কান্নার পাশে একটুকরো আদর কই?
নেই। শুধু ওই সারমেয়টার নির্লিপ্তি সাথ।
ওকি কিছু কথা বলেছে ওর সাথে?
কিছু বুঝেছে ওরা আত্মীয়তার ভাষা?

মানুষের বড় অসহ্য একাকীত্ব
পশুর রাজ্যেও কি তা?
মনে হয় না,
একা করতে, আর একা হতে যতটা শিক্ষা লাগে
ওরা এখনো আহরণ করেনি তা।


(ছবিঃ শান্তনু ধীবর)

দ্বিধা

মুহুর্তরা সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে
লাভ ক্ষতির হিসাব নিল ঝরাপাতা
দু'হাত ঝেড়ে, সামনে তাকিয়ে আছি
কিছুটা দ্বৈধ। যাওয়ার ছিল?
        না ছিল কারোর আসার কথা?


(ছবিঃ জয়দীপ ঘোষ)

নিম খাওয়ালে চিনি বলে

যে ভয়গুলোকে প্রাণপণে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছি, মনে হয়েছে বারবার যে এই কাল্পনিক ভয়ংকর ঘটনাগুলোর একাংশও যদি বাস্তব জীবনে ঘটে তবে মরে যাব!

জাগা স্বপ্ন

হয় তো ভুল জানতাম
  মোড়ের বাঁকে কোনো শিউলি গাছ ছিল না
হয় তো কোনোদিনই ছিল না
তবু আমার জানলা দিয়ে যে গন্ধটা আসত
  আমার বিছানা বালিশে ঘুমের সাথে মিশত –
আমার কেন জানি মনে হত
  সে গাছটা ওই মোড়ের বাঁকেই আছে

বোঝো

কেউ কথা বলছে?
অনুভব করো কণ্ঠস্বর
কারণ কথার মানে শব্দগুলোয় না,
কণ্ঠস্বরে থাকে

কণ্ঠস্বর নেই?
খোলা চোখের উষ্ণতায় রাখো হাত
বুঝবে কখনো পুড়ছে, কখনো ভিজছে
হয় তো বা কখনো হিম শীতল

বন্ধ চোখ?
মুখের চামড়ার ভাঁজে রাখো চোখ
দেখো গ্রন্থাগারের সামনে দাঁড়িয়ে তুমি

এভাবেই বোঝো
কি বুঝবে?

বলা যায় না
ইঙ্গিত করা যায় হয় তো

Subscribe to