ঘটনা সামান্য অতি
"এতটুকু কৃতজ্ঞতা বোধ নেই!" - বাবা-মা, শিক্ষক, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, প্রায় সকলের মুখেই এই কথাটা, আকারে ইঙ্গিতে প্রকাশ্যে গোপনে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে।
জীবন
চোখে লেগেছিল সুন্দর
খুঁত ছিল, ছিল অপূর্ণতা
তবু চোখে লেগেছিল সুন্দর
মনে এসেছিল ভালবাসা
বিষ ছিল, ছিল ঈর্ষা
তবু মনে এসেছিল ভালাবাসা
চেতনায় এসেছিল আলো
সংশয় ছিল, ছিল ভয়
তবু চেতনায় এসেছিল আলো
জীবনে এসেছিল জীবন
মৃত্যু ছিল, ছিল বিচ্ছেদ
তবু জীবনে এসেছিল জীবন
হঠাৎ বৃষ্টি
অনেকদিন পর রোদ উঠেছে দেখে, বউটা কাচা কাপড় জামা মেলবে বলে ছাদে উঠল। ছাদে কাপড়গুলো মেলতে মেলতেই কোথা থেকে আকাশ জুড়ে এল ঘন কালো মেঘ করে।
সে অবাক হল। তার হাসিও পেলো। ভাগ্য বদলায়নি একটুও! সেই রাতটা মনে পড়ল। যার সাথে পালাবে বলে এক কাপড়ে বেরিয়ে পড়েছিল, তার সেই প্রেম, স্বপ্ন- সে আসার আগেই, আগের ট্রেনে হয়েছিল দেশান্তর।
মায়া
আমি যদি
কিছু একটা হই
অমনি দেখি আলোকে ঢেকে
বানিয়ে ফেলেছি এত্তবড় ছায়া!
নিজেকে বলি, সরে আয় ভাই
আমি তো আর তেমন কিছু নই
নিজের সাথে তাও থাকা যায়
ছায়ার যে ভাই বড্ড বেশি মায়া!
শান্ত হাওয়া
শান্ত হাওয়া চাঁদের সাথে ফিরে
নিঝুম রাতে জোনাকির ব্যাথা
শ্বেত চন্দনে ঢাকে।
প্রতিচ্ছবি
যা দেখলাম, তা সহজ
যা হল অনুভব, তা সহজ
যা বললাম, তা সহজ।
শুনল না কেউ।
বোঝাতে গেলাম
হল কঠিন।
সবাই বলল, বাহ্।
মাঝপথে
একটা বৃত্ত পূর্ণ হতে কতটা জায়গা লাগে?
জানি না
একটা কেন্দ্রে কতগুলো বৃত্তের কেন্দ্র থাকে?
জানি না
আমি পরিধি বরাবর ঘুরে এসেছি।
কেন্দ্রে শুনেছি -
ঢেউয়ের গর্জন
ঝড়ের হুংকার
শূন্যপাত্র
একটা লোক তৃষ্ণার্ত। গ্লাস হাতে কলের কাছে গেল। কল খুলল। হাতের গ্লাসটা কলের নীচে না ধরে, উপরে ধরল।
হাসির কথা না?
হ্যাঁ, অনেককেই দেখেছি শূন্যপাত্র নিয়ে ফিরছে। সঠিক স্থানে পৌঁছাচ্ছেও হয় তো বা। কিন্তু নিজেকে নীচুতে না রেখে, রাখছে ওপরে। পরিণাম? সেই শূন্যপাত্র!
বলে যাও
আমি সব ভুলে যাই
ওই চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে
সরিয়ে নেবে?
নাও
তবে,
কোনদিকে তাকিয়ে
তোমার চোখ দুটো ভুলি,
বলতে পারো?
পারলে, বলে যাও
দিক
অনেক দিন
এ দিক
ও দিক
করার পর বুঝলাম
সব দিকই
এদিক
ওদিক
এখন তাই
দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে
বেশ আছি