ডাক
যদি
কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে
সব ধুয়ে যদি যেত
সব রক্ত ধুইয়ে নিয়ে
মিথ্যা করে দিত!
হাত ছুঁয়েছিল যে মহানগর
বুক ছুঁয়েছিল যারা
ফিরিয়ে দিত বৃষ্টি একাই
যেন কেউ না স্বজনহারা
জানি এ সব ছাই কল্পনা
গল্পের মত সব
কাল থেকে চোখ মাড়িয়ে চলেছে
আচমকা হওয়া শব
আমার কবিতা
আমার কবিতার পায়ে কাদা লাগে
পুরোনো ঘরে মাথা নীচু করে ঢুকতে গিয়ে
আমার কবিতার মাথায় ঝুলও লাগে
আমার কবিতার জ্বর হয়
মন খারাপ হয়
আমার কবিতা শুধু ভাসে না, হাঁটেও
হাঁটতে না পেলে হামাগুড়িও দেয়
তোমায় একটু ছুঁয়ে দেখে আসে
তোমার কি জ্বর? না মন খারাপ?
ভাল আছো কি?
দোহাই
আমার দুর্বলতা
আমার ভয়
আমার ব্যাকুলতা
আমার নিরাপত্তাহীনতা
এ সব নিয়ে
আমি তোমার দরজায় আসব
যে তুমি ভগবান নও,
যে তুমি মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব
তার কাছে
ভুলে যাও
কেউ দেওয়াল নোংরা করে যেতেই পারে
অপেক্ষায় থেকো না যে -
সে-ই আবার জল ন্যাতা নিয়ে আসবে
দাগ মুছতে
অপেক্ষায় দাগটাই পাকা হয় শুধু
নিজেই মুছে ফেলো
অন্তত দেওয়ালটার কথা ভেবে
তুঁহুঁ মম মাধব
ক্ষ্যাপা তুই কি রাস্তা গুলিয়েছিস?
এদিক ওদিক ঝোপঝাড়ের মধ্যে
কি মাতাল করা ফুল ফুটিয়েছিস?
জানিস না, আমার বাঁধানো পথ?
জানিস না, আমার পাকা দেওয়াল?
জানিস না, আমি কাজের মানুষ?
বদভ্যেস
কারোর কারোর মিথ্যা বলতে
তেমন কোনো কারণ লাগে না
সন্তর্পণে খোঁজে চোরাগোপ্তা গলি
সোজা রাস্তায় হাঁটার অসুবিধা না থাকলেও
কারোর কারোর দু'দিক সামলানো গোঁজামিলে
পুলটিস দিতে দিতে চুল পেকে যায়
কোন্ নৌকায় যে বেশি সুখ অথবা ফুটো
না বুঝে দু'নৌকায় দেয় বেসামাল লোভী পা
এসো
তুমি ডুবসাঁতার জানো?
পানকৌড়ির মত ডুব দাও
যেন গাছের ছায়াগুলোও জানতে না পারে
জলের বুকে ঢেউ না ওঠে দেখো
এ পাড়া ও পাড়া খবর যাবে
এ পারে এসো আমার বুকে মিশে
আমি গাছের ছায়ায় লুকিয়ে আছি
কালোর সাথে মিশে
আলোতে চোখ রেখে
কবে?
কানায় কানায় পাত্রটা উঠেছে ভরে
উপুড় করে নেবে কবে?
বৃষ্টি শেষে বাড়ি ফিরে গেছে ছেঁড়া মেঘ
নীলাকাশে ডুবিয়ে নেবে কবে?
সব খেলাঘর ছেড়ে এসেছি
কোণের প্রদীপ নিভিয়ে নেবে কবে?
সব পোড়ে না
কালের আগুনে পুড়ছি সবাই
আমি তুমি সে
পুড়তে পুড়তে হচ্ছি ক্ষয়
প্রতিদিন একটু করে রোজ