Skip to main content

ভালোবাসা একদেশি না

তোমায় ছাড়া বাঁচব না

বলেছিলেন তো
একচোখ জলে
বুকের মধ্যে হাপর সামলে

তবু চলে গেছে
জল শুকিয়েছে
হাপর থেমেছে

'হম তেরে বিন অব রহে নহি সকতে'

গানটা শুনলেও
চায়ে চিনি দিতে ভোলেন না
হিসাবের ফর্দে কাটাকুটি হয় না
রাতে ঘুমে বিচ্ছেদ ঘটে না

সুখ

পারিজাতের রেণু লাগা সুখ
                  চাইনি তো
তুলোয় ভাসা বাসন্তী সুখ
               তাও চাইনি
মোমের মত নরম সুখের আস্তরণ
চাইনি   চাইনি   চাইনি

যা থাকবে

ওদের বুদ্ধি জিতবে
   থাকবে, যতটা তার আয়ুষ্কাল

ওদের মতলবও সার্থক হবে
    টিকে থাকবে সেও
      যতটা তার আয়ুষ্কাল

প্রতিদিন

প্রতিদিন সকালের গালে
   একটা সুরের টিপ এঁকো
              কাজলের মত
যেন সারাটা দিন
কোনো ভ্রুকুটির নজর না লাগে

তোমার চোখের দিব্যি

দেখেছি চামচের জল অল্পেতেই কাঁপে, পড়ো পড়ো হয়।
ঘড়ার জল কাঁপাতে আরেকটু জোর লাগে,
ছলকে ওঠাতে তারও চেয়ে বেশি জোর লাগে।
দীঘির জল?
তাতে কাঁপন ধরাতে লাগে মাতাল বাতাস
আর ছলকে ওঠাতে লাগে একটা পুরোদস্তুর ভূমিকম্প।

কাকে বলব?

কোনোদিন কাউকে কখনও
রাস্তার এদিকে হাঁটতে বলিনি, আমার জন্য
না তো রাস্তার ওই দিকে হেঁটেছি,
                        কারোর জন্য

আচ্ছন্ন আকাশ

ভোর নয়, ভোর নয়
সন্ধ্যে
স্থির জলে অস্তরবির সাক্ষর
কিছুটা দ্বিধান্বিত
আকাশ ঢাকছে ধোঁয়ায়
আচ্ছন্ন আকাশ
পাখিগুলো অন্যপথে ফিরে গেছে

সকালের মুখ চেয়ে তবু কোনো প্রাণ
এরই মধ্যে সবুজ স্বপ্ন বুনবে
আকাশে হবে স্বচ্ছ
ভোর হবে, ভোর হবে
সন্ধ্যে প্রসন্ন আকাশে নামবে
পথ না পাল্টে
পাখি এ পথেই নীড়ে ফিরবে


(ছবিঃ দেবাশীষ)

সীমানা ছাড়িয়ে

এ কোন দরজা খুলে গেল!
সারাটা আকাশ তীর্থরেণু মেখে
            আমার সামনে দাঁড়াল
মেঘের আঁচল ঢাকা কার কোমল স্নেহ
আমার বুকে এসে আলতো ছুঁয়ে
                     চুমু দিয়ে গেল
আমি কার গোপন চরণধ্বনিতে বিহ্বল

সময়

যা মুঠোর মধ্যে ছিল
  আশা ছিল তাতে থাকবে
     আমার হাতের ছাপ

নেই

কিছুটা মিলিয়েছে সময়
কিছুটা মিলিয়েছে
      নতুন হাতের ছাপ

অনর্থক

অনর্থক মাটি খুঁড়ো না
   মাটি খুঁড়লেই জল আসে না

জলের জন্য তৃষ্ণা থাকা চাই

অনর্থক ঘর বেঁধো না
   দেওয়াল তুললেই ঘর বাঁধা হয় না

ঘরের জন্য ভিত থাকা চাই

অনর্থক স্বপ্ন দেখো না
   ঘুমের রাজ্যে সবকিছুই স্বপ্ন হয় না

স্বপ্নের জন্য ঘুম বাজি রাখা চাই

Subscribe to কবিতা