Skip to main content

ভাঙা খেলায়

ছলছল চোখ
   কিছুটা আগুনের তাপে
   কিছুটা আগুনের ধোঁয়ায়

বুক ভাঙা শোক
   কিছুটা অপূর্ণ প্রেমে
   কিছুটা ভাঙা পাত্রের মায়ায়

এক মুঠো সান্ত্বনা
   কিছুটা সামনের মেঠো পথে
   কিছুটা ছুঁয়ে আসা বৃত্তের সীমানায়

প্রার্থনা

যতগুলো শ্বাস নিলাম বুক ভরে
   ফিরিয়ে দিয়েছি কিছু কি তার?
জমিয়ে রাখিনি কি বুকের খাঁচায়
কিছু তার লুকিয়ে এখানে ওখানে?

যতগুলো মুহুর্ত পেলাম
  ফিরিয়ে দিয়েছি কি সব তার?
লুকিয়ে রাখিনি কি কিছু তার
 বুকের কোঁচড়ে অলস শ্যাওলা জড়িয়ে?

রাজনন্দিনী

কে ভুল বলল?
আমি?
উঁহু, কক্ষণো না, কদাপি না
তুমি তুমি তুমি

মিথ্যার ঢেঁকি
ফলে কি আর গাছে?
কি প্রমাণ?
আছে আছে আছে

সেদিন তুমি যাচ্ছ পাহাড়পথে
চারদিক নাকি সবুজ সবুজ সবুজ
শীতের ছিল সকাল সেটা
কুয়াশা নাকি অবুঝ অবুঝ অবুঝ

কান পাতো

তোমার প্রতিটা শ্বাসে আমার চুম্বন
ওরা ফাঁকি দেবে এমন সাধ্য কি?

তোমার না বলা কথার গঙ্গোত্রী
      এখনো অযুত বরফে ঢাকা
আমার মর্মের মোহনা পথ চেয়ে ওদের

তোমার বুকের ভিতর যে প্রেমের ভুলভুলাইয়া
তার সব কটা চোরাপথ কে চেনাবে আমায়?

জয়ন্তী

ভেবেছিলাম হয় তো-
পায়ের পাতাও ডুববে না,
এতই কৃপণা নদী!
তুমি বললে, আমার সাথে এসো
একি! এ যে এক বুক জল!

শীর্ণ সে নদী
চিরঋণী হয়ে রইল তোমার কাছে
তোমার বুকে যে সহস্রধারা
নদী ফিরে পেল তার হৃতযৌবন
তোমার দৃষ্টির মুক্তধারায়


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

পঞ্চভূত

কেউ আগুনকে ভালোবাসে
              পোড়ায় বলে
কেউ আগুনকে ভালোবাসে
              উজ্বল বলে

তুমি কেন ভালোবেসেছো?
আদৌ বেসেছো কি?

ঘ্রাণ

তবু তো বসন্ত এসেছে
তবু তো ভাঙা রাস্তায় পড়েছে
                    কুর্চি, পলাশ
তবু তো একটা চিঠি জন্মেছে
  প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে, তীব্র অপেক্ষার গর্ভ থেকে

মাটির অভিশাপ

"মেয়েদের সম্মান করতে শেখো"
কেন বললে এরকম একটা কথা?
কেন বললে? বলো বলো, কেন বললে?
বলোনি তো চোখ দিয়ে দেখতে শেখো
পা দিয়ে হাঁটতে শেখো, জিভ দিয়ে বলতে শেখো
তবে কেন কেন কেন?
কেন এরকম অসভ্য, ইতর একটা কথা
ভদ্রতার মোড়কে সাজিয়ে রেখেছ বসার ঘরে
তবে কি তোমার মনে অসম্মানের বীজ আছে?
টের পেয়েছ?
কেউ তা জানার আগেই ঢেকে ফেলতে চাও স্লোগানে -

তুমি এসো

তুমি রোজ একবার করে
   আমার দরজায় আসবে?
যখন তোমার সময় হবে
 আমি কোনোদিন একটা ফুল
  কোনোদিন একটা কবিতা
    দরজার কাছে রেখে দেব
 অথবা যেদিন কিছুই না থাকবে
  একটা গোটা সাদা পাতা –
 তুমি এসো না গো
   প্রতিদিন দরজার কাছে আমার
      এসো সময় করে

ড্যানিশ গার্ল

তোমার পাশের বাড়িতে আমি থাকতাম
তুমি চিনতে না আমায়
রোজ যখন তুমি বাইরে বেরোতে
তোমার গায়ের গন্ধ আমার বাড়ির বাগানে আসত
আমি চুলগুলো বিছিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম
তুমি টের পেতে না

যখন সন্ধ্যেবেলা এক আকাশ তারা
বিকালের গরম হাওয়া, বনফুলের গন্ধ-
সবাই থাকত পড়শীর মত
চাপা গলায় কথা বলত তোমার সিলিং ফ্যান
তুমি জানতে না, আমি শুনতে পাচ্ছি

Subscribe to কবিতা