ফুলপথ
এক চিলতে রোদ্দুর
ওর গায়ে মুখে এক চিলতে রোদ্দুর
আলোর বায়না মিটিয়েছে দুচোখের বিস্ময়
অন্ধকারকে শাসিয়ে বলেছে - 'হুস্'
দরজায় দাঁড়িয়ে থমকে গিয়ে
কি ভেবে পিছন ফিরেছে
ইতস্তত করা বাইরের জগৎটাকে
ডেকেছে তার ছোট্টঘরে,
অভয় দিয়ে বলেছে -
'জায়গা হবে না ভাবলি কি করে? - ধুস্'
(ছবিঃ দেবাশিষ বোস)
নিষ্কম্পমান
একটা অদৃশ্য প্রদীপ জ্বলছে
অদৃশ্য অন্ধকারের বুক চিরে
দমকা এক অদৃশ্য হাওয়া
তাকে নেভাতে এলো
অদৃশ্য আতঙ্কে হৃদয় উঠল কেঁপে
নীরব প্রার্থনা রইল ভোরের কুঁড়ির মত
পূবাকাশে চেয়ে
সারা গায়ে তার শিশির অশ্রুজল
দহন দানে
অবশেষে কিছু কাদা গা থেকে ঝরে পড়ল
কাদাগুলো গায়ে লেপটে
আমার শরীরের আকার নিয়েছিল
আমার হাঁটতে চলতে পায়ের ছাপে লাগছিল কাদা
ক'দিন তাই পরিস্কার মেঝে এড়িয়ে চলছিলাম
কে বলল কানে কানে –
বাইরে গিয়ে দাঁড়া
সূর্যের তাপ কাদার প্রাণরস নেয় শুষে
পলাশ
সংশয়
তুমি আমায় হারিয়েছ প্রতিবার
আমার সংশয়ের উত্তর দিয়ে নয়
আমার সংশয়কেও অনুমতি দিয়ে
তোমার রাজসভায় আসার
সে সংশয় ক্ষীণ দুর্বল চিত্তে তোমায় স্পর্শ করতে চায়,
অবিশ্বাস করতে চায়
তুমি দু'হাত সরে দাঁড়াও প্রতিবার
সংশয় জিতে যায় নাগাল না পেয়ে
তুমি একটু বোসো
তোমার কি এই বসন্তেই আসার কথা ছিল?
আমার অপেক্ষার পালা এত তাড়াতাড়ি কি করে ফুরালো!
বসার ঘরে কিছু অতিথি আমার এখন
তুমি শোয়ার ঘরে একটু বসবে?
কিছু কাজও আছে আধখানা বাকি
তুমি বসবে ছাদে? ছাদের পাশের পলাশ গাছটায় এসেছে কুঁড়ি।
আমার কিছু লোককে কথা দেওয়া আছে,
তাদের বাড়ি যেতেই হবে, হ্যাঁ গো যেতেই হবে
ওরা
জাগা স্বপ্ন
হয় তো ভুল জানতাম
মোড়ের বাঁকে কোনো শিউলি গাছ ছিল না
হয় তো কোনোদিনই ছিল না
তবু আমার জানলা দিয়ে যে গন্ধটা আসত
আমার বিছানা বালিশে ঘুমের সাথে মিশত –
আমার কেন জানি মনে হত
সে গাছটা ওই মোড়ের বাঁকেই আছে
বোঝো
কেউ কথা বলছে?
অনুভব করো কণ্ঠস্বর
কারণ কথার মানে শব্দগুলোয় না,
কণ্ঠস্বরে থাকে
কণ্ঠস্বর নেই?
খোলা চোখের উষ্ণতায় রাখো হাত
বুঝবে কখনো পুড়ছে, কখনো ভিজছে
হয় তো বা কখনো হিম শীতল
বন্ধ চোখ?
মুখের চামড়ার ভাঁজে রাখো চোখ
দেখো গ্রন্থাগারের সামনে দাঁড়িয়ে তুমি
এভাবেই বোঝো
কি বুঝবে?
বলা যায় না
ইঙ্গিত করা যায় হয় তো