বলে যাও
পল্টুনামা
বাঁ দিকে, রাস্তা পেরিয়ে যার চায়ের দোকান
ওর নাম পাঁচু
বয়েস কত? বাহাত্তুরে ধরব ধরব করছে
ওর যে নাতি, বয়েস কত?
তা এই আশ্বিনে তেরোর কোল তো ছুঁচ্ছে
চায়ের দোকান, সেই তো চালায়
বুড়ো তো কেবল তামাকই খায়
হাই তোলে আর হরি হরি বলে
নাতি পল্টু কেটলি চাপায়,
তারই ফাঁকে বইটা খোলে
বসন্তের রঙ
বাইরে এসো
কি কথা বলি?
দরজার ধারে আছি সকাল থেকে দাঁড়িয়ে
সবার আসা যাওয়া বসা ওঠা
দেখছি দু'চোখ ভরে
আরতির ঘণ্টা, দীপের আলো, ধূপের ধোঁয়ায়
সবের আবরণে তোমায় দেখছি
তুমি দেখেছ আমায়?
তবু
শিখা
নদীটা যতটা সম্ভব বুকটা চওড়া করে জেগে
সারাটা বুক দিয়ে জ্যোৎস্নায় ভিজবে বলে
চাঁদের সাথে একা
তার বুকে জল থাকুক
না থাকুক
সে পরোয়া করে না
পরোয়া করে না চাঁদও
নেশা
তোমার নেশা - ভালোবাসার আগুন।
তুমি জ্বালানী খোঁজো এ বন, সে বন।
কাঠুরের মত বাগানে ঢোকো সন্তর্পণে
শিকারীর লালসায়
জ্বালানী কাঠের জন্য।
আমি ডালে ফোটা ফুল দিতে গেলাম।
নিলে না। ফুল মাটিতে পড়ল লুটিয়ে।
বললে, ডালটা দাও, শুকিয়ে।
আগুন জ্বালব।