Skip to main content

বলে যাও

চলা থামল কবে?

তোমার মনে নেই
তারও নেই
যে ফেলে গেল তোমায় মাঝপথে

কিছু কাঁটা, কিছু ধূলো
কিছু অসম্পূর্ণ চলা
বুকে বাজে এখনও?

আমায় বলে যাও
সে না বলা কথাগুলো,
         যে ধুলোয় হেঁটেছ
সে ধুলোয় সম্পূর্ণ মিলিয়ে যাবার আগে

পল্টুনামা

বাঁ দিকে, রাস্তা পেরিয়ে যার চায়ের দোকান
  ওর নাম পাঁচু
বয়েস কত? বাহাত্তুরে ধরব ধরব করছে

ওর যে নাতি, বয়েস কত?
  তা এই আশ্বিনে তেরোর কোল তো ছুঁচ্ছে

চায়ের দোকান, সেই তো চালায়
 বুড়ো তো কেবল তামাকই খায়
হাই তোলে আর হরি হরি বলে
  নাতি পল্টু কেটলি চাপায়,
    তারই ফাঁকে বইটা খোলে

বসন্তের রঙ

এক বুক রঙ

হাত পাতো
    দেখো হাতের আঙুলের ফাঁকে রঙ

পা ফেলো
   দেখো পায়ের গোড়ালি ডুবে রঙে

যদি চোখ মেলো
   তোমার মণি চুঁইয়ে সে রঙ
        তোমার বুকের চাতালে

বাইরে এসো

কি কথা বলি?
দরজার ধারে আছি সকাল থেকে দাঁড়িয়ে
সবার আসা যাওয়া বসা ওঠা
    দেখছি দু'চোখ ভরে
আরতির ঘণ্টা, দীপের আলো, ধূপের ধোঁয়ায়
    সবের আবরণে তোমায় দেখছি

তুমি দেখেছ আমায়?

তবু

তবু আশা রাখো
তবু ভালোবাসো
তবু বুক ভরো নতুন বিশ্বাসে

আজও তাকিয়ে দেখো
কিছু কিছু গাছ
আকাশে মুখ তুলে
      গভীর আশ্বাসে

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

শিখা

নদীটা যতটা সম্ভব বুকটা চওড়া করে জেগে

সারাটা বুক দিয়ে জ্যোৎস্নায় ভিজবে বলে
   চাঁদের সাথে একা
তার বুকে জল থাকুক
        না থাকুক
 সে পরোয়া করে না
পরোয়া করে না চাঁদও

নেশা

তোমার নেশা - ভালোবাসার আগুন।
     তুমি জ্বালানী খোঁজো এ বন, সে বন।

কাঠুরের মত বাগানে ঢোকো সন্তর্পণে
     শিকারীর লালসায়
          জ্বালানী কাঠের জন্য।

আমি ডালে ফোটা ফুল দিতে গেলাম।
নিলে না। ফুল মাটিতে পড়ল লুটিয়ে।
বললে, ডালটা দাও, শুকিয়ে।
আগুন জ্বালব।

শেষ বগি

 

রেল লাইনের বুক
থরথর ঝনঝন করে কেঁপে উঠল
বুকের পাঁজরের কেন্দ্রে বিঁধল সুক্ষ্ম সুতীব্র যন্ত্রণা

 সে চুপ করে শুয়ে থাকল
    জানে তো
   সব ট্রেনেরই একটা শেষ বগি থাকে

তার বুকে ওঠে শব্দ
   আমার কানে বাজে সংগীত

সমীরণদা

জানতাম না তুমি -
   দৃষ্টির সাথে
     হাসির সাথে
       স্পর্শের সাথে
         যাদুকাঠি নিয়ে ফেরো

ঝরাপাতা

ঝরাপাতা, ওগো ঝরাপাতা
  কার অভিসারে এলি?
   তবে ব্যর্থ হল কি আসা?
কি অভিমানে ধুলাতে শয়ন পাতিস?
         নাকি, পেলি তাঁর দেখা
    শবরীর মত বহু অপেক্ষা শেষে
         সে চরণেতে মাথা রাখিস?

Subscribe to কবিতা