মুখ্যু ঢেকি
খুঁজবি কেন শূন্যে বসে?
কল্পনারই অঙ্ক কষে!
আছের মধ্যে দেখ দেখি
যে আছে তারে চিনিস নাকি?
তার ফাঁকিতে পড়েছে সবাই
চোখ বেঁধে নাচ ধিতাই ধিতাই
চুরি
তুমি যাওয়ার পর
তন্নতন্ন খুঁজলাম সারা ঘর
কি খুঁজলাম?
কি আবার,
রাতের ঘুম আমার!
নিয়ে গেছো তাতে ক্ষতি নেই
বলে যাবে তো একবার!
সীমা মানে
সীমা মানে লক্ষণরেখা না তো!
সীমা মানে নিজের বুক ভরে
নিজের মত বাতাস নিতে পারা
সীমা মানে পাথর তোলা পাঁচিল না তো!
সীমা মানে দু'চোখ ভরে
আমার মত আকাশ দেখতে পারা
সীমা মানে শিকল না তো!
সীমা মানে জীবনকে আমার
সুখে দুঃখে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটা
ছল
তুমি দূরে থাকলে
নিজের চোখকে এড়িয়ে যাই
ওর সব প্রশ্নের উত্তর আমি কি ছাই জানি!
তাই বুকের উপর ঢাকনা টেনে পাড়া বেড়াতে যাই
কিছু কথা মনে করেই ভুলতে হয়,
তা নিয়ম করে মানি!
অপরাজিতার খোঁজে
আসল যেন উজান ঠেলে
তার পায়ে লাগল বালি
সারা গায়ে মাখল ধুলো
এসে বসল হাটের এক পাশে
সবার মধ্যেই, সবার অলক্ষ্যে
যেই চিনেছ
কাজের সূত্র কাজকে চেনায়
কাজ চেনায় মনকে
মন চিনলে জগৎ সোজা
বেড়া যাবি টপকে
মনের মালিক তুই তো বটেই
তোর মালিক সে সেয়ানা
বাইরে আছিস মোহে মেতে
খুঁজে সুখের বাহানা
সব ভুলে সব আটকে আছে
জালের মধ্যে ঝপাং ঝপ
মন চিনে নে, মন চিনে নে
সত্য শান্তি মিলবে সব
ইঙ্গিত
বাঁধ ভাঙার শব্দ
বিসর্জনের শব্দ
ঝরণার শব্দ
তোমার পায়ের শব্দের মত
ঝরা পাতার সজ্জা
সন্ধ্যের উদাস হাওয়া
তারা খসার মুহুর্ত
তোমার আসার ইঙ্গিতের মত
পদচিহ্ন
চৌকাঠ পেরোলাম
বারান্দা পেরোলাম
উঠান পেরোলাম
রাস্তায় আসলাম
শুধু তোমার জন্য
শুনলাম তুমি ফিরে গেছো
অনেকক্ষণ ওই পাকুড় গাছটার তলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
তুমি শুনতে পাও নি?
আমি চৌকাঠ পেরোচ্ছিলাম
বারান্দা পেরোচ্ছিলাম
উঠান পেরোচ্ছিলাম
বোঝোনি, সে শুধু তোমারই জন্য?
মনসুর
জোছনা
এক মুঠো জোছনা চুরি করে
সিঁড়ি দিয়ে পা টিপে টিপে
তোমার ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ালাম
তুমি বললে -
মোছা মেঝে, একটু দাঁড়াও
জলটা শুকিয়ে যাক আগে