মে দিবস
ফাটা মাটি। অবাধ্য পাহাড়। শুষ্ক মরুভূমি। যন্ত্রের রক্তচক্ষু।
যারা মুখোমুখি, পাশাপাশি, হাতেতে হাত রেখে
যারা যেন বেহিসাবী, প্রাক-মঞ্জুরিত প্রাণ
তারা বুঝুক আবার আজ, তাদের টানেই জীবনের জয়গান।
তুমি জন্মেছো
তুমি জন্মেছো
তোমার বুকে জগৎ জন্মেছে
তুমি জন্মেছো
তোমার বুকে প্রেম জন্মেছে
তুমি জন্মেছো
তোমার বুকে দুঃখ জন্মেছে
ওরা আছে, কারণ তুমি আছো
এটাই সত্যি, বাকিটা গল্প
তারা বানিয়েছে, যারা নেই
সে গল্পও আছে, কারণ তুমি আছো
একক সুর
অন্দরমহলে কটা চেয়ার পাতা
এদিক ওদিক ছড়ানো ছেটানো
(হয়তো বা সাজানো)
কয়েকটা সোফা
মাটিতে মাদুর পাতা
ধুলো পড়েছে স্তরে স্তরে
সোফাতে, চেয়ারে, মাদুরে
কেউ বসেনা আজকাল
বারুদ
নিজে জ্বলেই জ্বালানো যায়
শুধুমুধু বারুদের দোকান সাজিয়ে কি হবে?
যে আসবে কিনতে,
সে চারদিকের অন্ধকারে বিভ্রান্ত হবে
আলোকে করবে অবিশ্বাস
দুর্ভাগ্য এই, আজ বারুদ বিক্রেতাই চারিদিকে
কেউই পুড়তে চায় না
চায় অন্যকে জ্বালিয়ে সে আগুনে তাপ পোয়াতে
আর ডেকো না
নিজের মানুষ
কাছের মানুষ আছে ক'জন
নিজের মানুষ নেই
নিজের মানুষ খুঁজতে গিয়ে
তোমায় পেলাম সেই
মনের মানুষ হয়ে এলে
নিজের মানুষ যে গো
ও মন ছাড় রে এবার দুনিয়াদারি
ভিতর ঘরটা গোছা না গো
দুই
ভাব যেখানে রাজী
শরীর সেখানে নয়
শরীর যে পথে রাজী
ভাব সেখানে নয়
এ দ্বন্দ্ব সব দ্বন্দ্বের মূল রে মন
হাওয়া যেখানে ভাসে
পাথর সেখানে নয়
পাথরের বুকে বাতাস কোথায়?
তবু দুই অস্তিত্বই কালের স্রোতে বয়
যেদিন মিটবে ঘূর্ণিপাক
প্রতিদিন যদি একবার ডাকো
যদি একবারই যাও ছুঁয়ে
যদি একবার চাও তৃপ্ত নয়নে
যদি এক পা-ই হাঁটো -
সাথে নিয়ে
প্রতিদিন তবে তোমারই হোক
প্রতিদিন শুধু তুমি
তোমার বাইরে আর কি বা খোঁজা
তোমার আড়ালে আমি
কাছে দূরে
প্রেম করবেই ঠিক করেছিল
কাছে আসলেই থমকে গিয়ে বলত
না না না, এখন না।
মনে বলত, এ সে না, এ সে না।
এখন সে থাকে, কার যেন একটা সাথে
প্রেমের কথা বললেই বলে, ও সব মিছেকথা,
ছেলে ধরানো কথা, মেয়ে বোকানো কথা।