কম হাঁটা পথ
---
আমি একটা নির্লিঙ্গ প্রেম খুঁজছি
বিছানায় আলকুশি ছড়িয়ে
এত অহংকার আমার
জল ভরতে গিয়েছিলাম একা
কাজের জল, স্নানের জল, পানের জল
তুমি আলাদা করোনি
আমি করেছি
যেমন সপ্তর্ষিমণ্ডল নাম দিয়ে
ওদের অন্য তারাদের থেকে আলাদা করেছি
এত অহংকার আমার
জয় হোক
ভাষার জঙ্গলে বিভ্রান্ত বুদ্ধি
বসল চিরবহমান হৃদি-নদীর তীরে
শ্রান্ত মন শান্ত হল
ভিতরে কে গায়?
সমস্ত প্রাণ উজাড় করে নামল জলে
তখন সান্ধ্যসূর্য সদ্য নেমেছে ঝোঁপের আড়ালে
তিরতির করে কাঁপছে ঝাউপাতার ঝালর
সুরের আলো
সকাল থেকে সুরের আলো
শুদ্ধ গন্ধে গা ভাসানো
গঙ্গার স্রোতে দু'পারের ডাক
জলের স্রোতে কাল গলানো
বুকের মধ্যে ছলছল জল
সবই কেমন আপন যেন
ফুচকার মত বুক ফাটিয়ে
সর্বগ্রাসী প্রেম ঢোকানো
চিন্তা
সুতোর পরে সুতো জোড়া
তাতে হরেক রকম রঙ করা
একটু এদিক ওদিক হলে
সুতোর বাঁধন যাবে খুলে
সেই সুতোতেই ঘর বানানো
রঙ মিলিয়ে রঙ সাজানো
সুতোর ভাষায় সুতোর টান
লক্ষ সুতোয় বাঁধছে প্রাণ
সুতোর খেই যেই হারালে
চেনা জগৎ সেই খোয়ালে
সুতোর মালিক যদি চান
সব সুতোরই নাগাল পান
দহন
I am here in ageless flowing of time
শামুকের খোলা
আজ বহুদিন পর পুকুরের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম
কয়েকটা ধাপ নামতেই পা ডুবে গেল জলে
চেনা সুর শুনলাম অচেনা গলায়
চেনা ছবি অচেনা ফ্রেমে বাঁধা পড়ল
কোমর জলে দাঁড়িয়ে তাকালাম আকাশের দিকে
ছেঁড়া ছেঁড়া ছন্দ নিয়ে কয়েক টুকরো মেঘ বুকে আকাশ
আমায় বলল, আসব?
আমার সারা পুকুরের জল আকাশের ছায়ায় ঢেকে গেল
মেঘমালা
পলি
১
----
অভ্যাসের পর অভ্যাস পলি পড়ে গেছে
মেয়েটার বিয়ের ষোলো বছর পর মনে হয়
শূন্য খাঁচায় দুটো মৃত শরীর বাসা বেঁধে আছে
তবু পলি সরিয়ে, পলি সরিয়ে যখন জাগে কারোর চোখ
মেয়েটা বাজার থেকে পলি কিনে আনে,
ভাঙা ডানাকে বলে - চোপ