Skip to main content

তাহার উপর নয়


ছোটোবেলা থেকে জানতুম, শ্রাদ্ধশান্তি, জন্মদিন, মুখেভাত, বিয়ে ইত্যাদি তিথিনক্ষত্র, দিনক্ষণ দেখে করতে হয়ে। 

কোথাও পৌঁছানোর কি দরকার?

দম্ভ প্রকাশের। গর্ব অনুভবের। এই দুইয়ের মধ্যে কিঞ্চিৎ ফাঁকা স্থান আছে। পাহাড়ী রাস্তার মত সরু।

কাকে ক্ষুদ্রতা বলি?

মিথ্যাকথা তত কষ্ট দেয় না, যতটা দেয় ক্ষুদ্রতা। কোনো কাজের পিছনে যখন দেখি অত্যন্ত ক্ষুদ্র বুদ্ধি, যাকে রামকৃষ্ণদেব বলতেন হীনবুদ্ধি। 

সুহৃদং সর্বভূতেষু

বসবার জন্য একটা নরম গদি পাতি চেয়ারে। শোয়ার জন্য নরম গদি পাতি খাটে। পোশাক কেনার সময়েও দেখি - soft তো?

স্রোত

শুনেছি নদী তার সমস্ত পথের সঞ্চয় নুড়ি-পাথর-মাটিকণা শেষ পথে নিয়ে এসে নিজের স্রোতকে নিজেই দুর্বল করে তোলে। মোহনায় নিজের চলার পথ নিজের সঞ্চয়ের ভারেই রোধ করে ফেলে প্রায়।
ভাবনা হয়, মনের মধ্যে যা সঞ্চিত হচ্ছে প্রতিদিন, তা যদি মনের স্রোতকেই কোনোদিন ক্ষীণ করে তোলে?

একা একা

খুব নিষ্ঠুর মানুষেরাই একা একা বাঁচতে পারে। আমি পারি না। আমার একা বাঁচতে কষ্ট হয়। খালি দেওয়াল দেখতে ভালো লাগে না আমার। মন খারাপ লাগে। দেওয়ালের একটা পিঁপড়ে অন্তত খুঁজি।

কেমন আছি

কেমন আছি, ততক্ষণ বুঝতে পারি না যতক্ষণ না কেউ জিজ্ঞাসা করে - কেমন আছেন?
  হেসে বলি, ভালো আছি। আপনি?
উনিও হেসে বলেন, চলছে।

 তারপর? দুজনেই কিছুক্ষণের জন্য বিশ্বাস করি, ভালো আছি। তারপর আবার ভুলে যাই কেমন আছি। আবার হাঁটি পরেরবারের প্রশ্নের দিকে - কেমন আছেন?

অবুঝ

সে আলো মানে বুঝত ছায়া তৈরির কারণ। শুধুই ছায়া তৈরির কারণ। আলোর যেন আর কোনো দরকারই ছিল না ওর জীবনে। যদি কিছুতেই ছায়া না পেত কোথাও, নিজেই দাঁড়াতো বুক চিতিয়ে, বলত, ওই দেখ ছায়া, আলোর দর্পনাশী ছায়া।

তোমার সময়

তোমার সময় তোমার জন্মসূত্রেপ্রাপ্ত সম্পদ। উত্তরাধিকারে পেয়েছো মহাকালের থেকে। কারোর থেকে ধার করে পাওয়া না। তাই তা কখন কিভাবে তা ব্যবহার করবে, তা সম্পূর্ণ তোমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
কেউ সে সম্পদের ভাগ চাইতে পারে, দাবী করতে পারে না। আর তুমি তা দিতে না চাইলে, সে যদি কৈফিয়েৎ চায়, সে তো নিতান্তই জুলুম!

কেন এ হিংসা দ্বেষ

সঙ্কীর্ণ বুদ্ধির আর অপরিণত বুদ্ধির মধ্যে পার্থক্য আছে। যেন বদ্ধ জলাশয় আর সদ্য জন্মানো ক্ষীণস্রোতা নদী।
Subscribe to চিন্তন