তাহার উপর নয়
ছোটোবেলা থেকে জানতুম, শ্রাদ্ধশান্তি, জন্মদিন, মুখেভাত, বিয়ে ইত্যাদি তিথিনক্ষত্র, দিনক্ষণ দেখে করতে হয়ে।
কোথাও পৌঁছানোর কি দরকার?
কাকে ক্ষুদ্রতা বলি?
সুহৃদং সর্বভূতেষু
স্রোত
শুনেছি নদী তার সমস্ত পথের সঞ্চয় নুড়ি-পাথর-মাটিকণা শেষ পথে নিয়ে এসে নিজের স্রোতকে নিজেই দুর্বল করে তোলে। মোহনায় নিজের চলার পথ নিজের সঞ্চয়ের ভারেই রোধ করে ফেলে প্রায়।
ভাবনা হয়, মনের মধ্যে যা সঞ্চিত হচ্ছে প্রতিদিন, তা যদি মনের স্রোতকেই কোনোদিন ক্ষীণ করে তোলে?
একা একা
খুব নিষ্ঠুর মানুষেরাই একা একা বাঁচতে পারে। আমি পারি না। আমার একা বাঁচতে কষ্ট হয়। খালি দেওয়াল দেখতে ভালো লাগে না আমার। মন খারাপ লাগে। দেওয়ালের একটা পিঁপড়ে অন্তত খুঁজি।
কেমন আছি
কেমন আছি, ততক্ষণ বুঝতে পারি না যতক্ষণ না কেউ জিজ্ঞাসা করে - কেমন আছেন?
হেসে বলি, ভালো আছি। আপনি?
উনিও হেসে বলেন, চলছে।
তারপর? দুজনেই কিছুক্ষণের জন্য বিশ্বাস করি, ভালো আছি। তারপর আবার ভুলে যাই কেমন আছি। আবার হাঁটি পরেরবারের প্রশ্নের দিকে - কেমন আছেন?
অবুঝ
তোমার সময়
তোমার সময় তোমার জন্মসূত্রেপ্রাপ্ত সম্পদ। উত্তরাধিকারে পেয়েছো মহাকালের থেকে। কারোর থেকে ধার করে পাওয়া না। তাই তা কখন কিভাবে তা ব্যবহার করবে, তা সম্পূর্ণ তোমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
কেউ সে সম্পদের ভাগ চাইতে পারে, দাবী করতে পারে না। আর তুমি তা দিতে না চাইলে, সে যদি কৈফিয়েৎ চায়, সে তো নিতান্তই জুলুম!