Skip to main content

দেহ ও মন


------
অহংকার আর কোষ্ঠকাঠিন্যের কোথাও একটা মিল আছে। তা বলে এ বলতে চাইছি না যে, অহংকারী লোক মাত্রই কোষ্ঠকাঠিন্য হয় (আর যদি হয়ও বা, সে নেহাতই কাকতালীয়)।

ফুল তার সমস্ত সৌরভ

ফুল তার সমস্ত সৌরভ দশদিকে ছড়িয়ে দেয়। বলে, "তুমি মুক্ত, তুমি ভেসে যাও যেদিকে খুশী। তোমার মুক্তিতেই আমার প্রেমের সার্থকতা, তোমার মাধুর্যই আমার পরিচয়!"

বাউল এই গেল

বাউল এই গেল। বড় কঠিন একটা কথা খুব সহজ করে বলে গেল -
"জানবা, মানুষ মর্মে গভীর আঘাত পেলি কিসু একডা হয়!"
আমার আশেপাশে ডাঁই করা বইগুলোর স্তূপ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস শুনলাম মনে হল।
"এ মানুষে সে মানুষ আছে রে"...
"ওরে বাইরে নয় রে, তোর বাসার ভিতরি বেঁধেছে ভীষণ গোলমাল"......
বেধেছে তো বাউল....দেওয়ালগুলো ধ্বসার অপেক্ষায়....সে ইঁটের হোক আর পাঁজরের...

বিভ্রান্ত কোরো না প্লিজ

ধরো তোমার কাছে একটা নীল কালির পেন আছে। অথচ আমার দরকার একটা কালো কালির পেন।
তুমি কখনো বোলো না, ইস, একটু আগেই আমার কাছে একটা কালো কালির পেন ছিল। কিম্বা বোলো না, তোমার পেনটাতে আগে কালো কালি পড়ত, এখন নীল পড়ে। অথবা, বোলো না, আরে আমার এই পেনটাও তো কালো কালিরই!

প্রিয় বইটা

প্রিয় বইটা হাতের নাগালে থাকলেই শান্তি, না হয় হলই না সারাদিন তার একটাও পাতা ওল্টাবার সময়। তবুও চোখের দেখাতেই মনের পাঠ, নীরব পাঠ।
প্রিয় মানুষটার বেলাতেও...নাই বা হল কথা বলার সময় সারাটা দিন। তবু থাক নীরব ছোঁয়া, চোখের ছোঁয়া....বিনা কথায় লক্ষ কথা বোনা..আকাশটার মত...

বলেছিলাম আলোর দিকে ফেরো

বলেছিলাম আলোর দিকে ফেরো। তুমি আলোর সংজ্ঞা জানতে চাইলে। আমি মুখ্যু, আলোর সংজ্ঞা কি ছাই জানি? না জানি সে কোন পথে আসে, কোন পথে দিয়ে যায়?

ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ

ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ। পর্দাটা টানলাম। ঘরটা অন্ধকার হল। এবার ঘুমাবো আবার। আমার তৈরী করা রাত্রিতে।
ঘুমোতে ঘুমোতেও মনের মধ্যে বিঁধে থাকল একটা কথা, কাঁটার মত - বাইরে আলো ফুটেছে।

আত্মাশ্রয়ী আর আত্মহননকারী

আত্মাশ্রয়ী আর আত্মহননকারী একসাথেই চলেছিল। প্রথমজন রেখেছিল পা মাটিতে। দ্বিতীয়জন রেখেছিল মাটিতে পা।
মাটি যখন কাঁপল, আত্মাশ্রয়ী পা তুলল মাটি থেকে, নিজেকে রাখল স্থির। আত্মহননকারী মাটির সাথে পড়ল মুখ থুবড়িয়ে, পায়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে।

জঙ্গল কেটে সভ্যতা বানালাম

জঙ্গল কেটে সভ্যতা বানালাম। জঙ্গলের পশুত্বটাকে সাথে করেই আনলাম। ওকে কাটবে কে? বাঁধবে কে?

প্রার্থনার মন্ত্র তাঁর

অফিস থেকে ফিরে লোকটা তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগল। মুখে নানা অর্থহীন শব্দমালা। বাচ্চাটা কোলে খিলখিল করে হেসে উঠতে লাগল।
পাশের ঘর থেকে লোকটার বাবা শব্দগুলো শুনছিলেন। চশমাটা খুলে বিছানায় রেখে, খবরের কাগজটা পাশে মুড়ে, বালিশে হেলান দিয়ে আধা শুলেন। চোখ বোজা।

Subscribe to চিন্তন