Skip to main content

এই তো... এই তো..

গাছ থেকে নেমেই বদনের যেটা খেতে ইচ্ছা করল, সেটা হল সুজি। মা করত। গুড়ের সুজি। লাল। মাখা মাখা। 

     প্রচণ্ড গরম। গাছে উঠেছিল কেন মনে পড়ছে না। একটাও আম নেই। খানিক কাঠ পিঁপড়ের কামড় জুটেছে। খিদে পেয়েছে প্রচণ্ড। খাবে কি? 

শিকার

সে বাগানের গেটেই অপেক্ষা করছিল। তার জন্য। শুধু তার জন্য। 

     অটো থেকে নামার সময় তার বুকটা ধক করে উঠল। কেউ এভাবে অপেক্ষা করেনি তার জন্য। সে যে ফুল ভালোবাসে, এ কথাই বা ক'টা মানুষ জানে? কেউ ডাকেনি বাগান দেখতে কোনোদিন। সে নিজে থেকে গেছে। অযাচিতের মত। অনাকাঙ্ক্ষিতের মত। আজ কেউ তাকে ডেকেছে। 

বিছানার চাদর

".. মৃত্যুর জন্য তো পথ" ~ রবীন্দ্রনাথ

 

     এমনকি বিছানার চাদরেও তোমার না থাকার গন্ধ লেগেছিল, তুমি কি মেখে এসেছিলে? 

অভিমান

পুড়তে রাজী আছি
যদি ছাই হয়ে গেলে আর ফিরে না তাকাও

শূন্য হয়েও যেতে পারি অনায়াসে
যদি আর কোনোদিন ডাক না পাঠাও

 

(ছবি Aniket Ghosh)

অদেয় ভালোবাসা

দু’জন মানুষ ঠিক করল, তারা ঘর বাঁধবে। যারা নিজেদের ঘরে তো জন্মেছিল, কিন্তু ঘর তাদের নিজেদের ভাবেনি। ছেলেটাকে তার বাড়ির লোক বলেছিল, দূর হ! মেয়েটাকে তার বাড়ির লোকে বলেছিল, দুচ্ছাই!

নিরুদ্দেশ

গোবিন্দের এই নিয়ে তিনটে রাত ঘুম হল না। ক্ষেতে যায়। গরুকে জাব দেয়। সন্ধ্যেবেলা তাস খেলতে বসে চণ্ডীমণ্ডপে। সব ঠিক আছে। কিন্তু মেয়েটাকে নিয়ে চিন্তা। বাঁ হাতের কব্জীর উপর এমন একটা ফুলো উঠছে। টিউমার। এই মাস গেলে বিয়ে। শাঁখা গলবে? কি যে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। 

ঘাসফুল

স্মৃতি। 
সব রাস্তায় হেঁটো না।
কয়েকটা রাস্তা নির্ভার হয়ে হাঁটি,
  সব ঘাসে বাসি ফুল রেখে যেও না
    কিছু ঘাসে তাজা ঘাসফুল নিয়ে বাঁচি!

নীলকন্ঠ যখন নটরাজ হয়

বরং জনগণকেই বলো নীলকণ্ঠ
কৈলাসে নয়
বরং তাকিয়ে দেখো
আশেপাশে 
দুর্নীতিতে, ভ্রষ্টাচারে
 ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে
    যে ছেলেটা মেয়েটা
       তবু রাস্তায় নামছে
         ছুটছে,
         স্বপ্নগুলোকে

কুয়ো

ছোটোবেলায় একটা স্বভাব ছিল দু পায়ের বুড়ো আঙুলে ভর দিয়ে কুয়োর মধ্যে ঝুঁকে দেখা। কুয়োটা নিয়ে আমার মনে যে কি রহস্য ছিল সে বলার নয়। মাথা ঝোঁকালেই জলে আমার মাথার ছায়া। একটা ঢিল ফেলে দিলেই মাথা দুলে উঠল। মাথার পিছনে কখনও নীল আকাশ, কখনও সাদা-কালো মেঘের আকাশ। রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবতাম, কুয়োর নীচটা কত অবধি গেছে?

কানে না, প্রাণে

গোঁসাই বলল, হৃদিযন্ত্র ধুলায় রেখেছো, হাটের মাঝে। যে পারে এসে তারে দেয় টোকা, দেয় টান। ওঠে শব্দ। সুর কই? রাতদিন যে যন্ত্র নিয়ে তত্ত্ব করো, সে যন্ত্র বাজবে কবে হে? 

     বললাম, সুর শিখিয়ে দাও। বাজাই। 

সিট ভেজানো লোকটা

প্রচণ্ড বৃষ্টি। রাস্তায় আটকে গাড়ি। জ্যাম। 

দরজায় ধাক্কা দিল। দাদা, একটু খুলবেন? প্লিজ!

কাকভেজা মধ্যবয়েসী লোক একটা। গাড়িতে এসে বসল। সারা গা চুঁইয়ে জলে ভিজছে সিট। 

সরি স্যার। আমায় হাস্পাতালে নাবিয়ে দেবেন একটু! আমার মেয়েটার অপারেশান! প্লিজ! 

ন্যাকা

নেক ইনশান। মানে কি বুঝি? না, সাদামাটা ভালো মানুষ। এখন সেই 'নেক' শব্দ থেকে বাংলায় কি শব্দ জন্মালো? না, ন্যাকা, বা নেকা। কোনো মানে হয়? বলি ভালো মানুষ আর ন্যাকা মানুষ এক হল? 

ভবিতব্য

আগুন আলো দেবে বলে জ্বলে না। তার না জ্বলে উপায় নেই বলেই জ্বলে। সে জ্বলনে যদি আমি তাপ পেয়ে থাকি, আলো পেয়ে থাকি, সে নেহাতই একটা বাড়তি ঘটনা মাত্র। মূল ঘটনা না। মূল ঘটনাটা ওই জ্বলন। আগুন নিভলে তাই যতই অভিমান করি না কেন, আগুনের কাছে তা মূল্যহীন। সে জানেই না তার জ্বলে থাকার মূল্য আমার কাছে অন্যরকম ছিল। আমার ব্যবহারের ছিল সে। 

ছায়া আর স্ট্রিট লাইট

নুন-চিনি-জল খেয়ে চেয়ারে বসেই বুঝলেন, আবার যাওয়া লাগবে। 

     গেলেন। এলেন। ক্লান্ত। ডাক্তার বলেছে, এরকম হবে। কোভিডের নতুন লক্ষণ। আগে পেটে এরকম হলে একটা অনুশোচনা থাকত, আহা, ওটা বেশি খাওয়া হল, কি সেটা খাওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু এতো আশ্চর্য কাণ্ড! কোথা থেকে কি হল! 

তিনটে মৃতদেহ

মাথায় ব্যাণ্ডেজ করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়ল ঠানদাদু। আশির উপর বয়েস। দোতলা বাড়ি। দিদা পাশের ঘরে শুয়ে। প্যারালাইজড। 

     উদিত চুপ করে বসে টুলে। বিছানার পাশে। এই ঘরের গন্ধ ভীষণ চেনা। ছোটোবেলা থেকে এ বাড়ি যাতায়াত। বুবুনদার কাছে অঙ্ক করতে আসত। বুবুনদা নেই। আত্মহত্যা করেছিল। ডিপ্রেশন। 

উভমুখী

কারাগার কি শুধু শিকলের হয়? মন নিজে যখন নিজেই নিজের কারাগার হয়ে ওঠে? কিছুতেই নিজেকে ঠেলে নিজের বাইরে যাওয়া যায় না? তখন? সেও এক দুঃসহ কারাগার।

নতুন

ভালোবাসো 
তবে সবটুকু মন দিয়ে নয়


কিছুটা থাক
    নিজের জন্য


সে মনেও সে-ও আসুক
বন্ধু হয়ে
    প্রেম হয়ে নয় 


যদি তা পারো
ভালোবাসা কোনোদিন দমবন্ধ ঘর হবে না
খোলামেলা বাতাসে
    পরিচয় হবে নিত্যনতুন 
            নতুন নামে
                   নতুন ডাক নিয়ে

কান্না ধন

গোঁসাই বলল, দেখ, মহাপ্রভু পেয়েছিলেন ডেকে, রামকৃষ্ণদেব পেয়েছেন কেঁদে। উনি তাই বলতেন না, কাঁদতে পারো? লোকে মাগ ছেলের জন্যে ঘটি ঘটি কাঁদছে। ঈশ্বরের জন্য, ভগবানের জন্য আর কে কাঁদছে বলো? 

     গোঁসাই বলে চলল, ঠাকুরকে যে ঠিক ঠিক ডেকেছে, ঠাকুর তাকে কাঁদিয়েছেন। 

     চমকে উঠে বললাম, একি বলো গোঁসাই… এ তো ভয়ের কথা….
...

জিপিএস 

মানুষের সব চাইতে বড় গুরু কে? তার শুভবুদ্ধি। শুভবুদ্ধি, ভালোবাসা, অনুকম্পা, কৃপা, উন্মুক্তমনা, সহজতা… এ সব সমার্থক শব্দ। শুভবুদ্ধি থাকলেই আত্মনিয়ন্ত্রণ আসবে। আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকলেই সুখ শান্তি আসবে। আত্মনিয়ন্ত্রণ মানে কোথায় থামতে হবে জানা। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মেরেছে মানে সে থামতে পারেনি। এই তো! 

দাম

মানুষটাকে ঘরে রাখা গেল না
কারণ প্রায় উপার্জনহীন
অথর্ব, জীর্ণ শরীর

সরকারি হাস্পাতালও রাখতে চাইল না
কারণ বেখেয়ালি মানুষটা
হুস করে 
  একমাত্র সম্বল
    প্রাণবায়ুটা ফেলল হারিয়ে 

আগুন নিল
দাহ করার দাম নিয়ে,
আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব 
    দিল সে মূল্য

নীরবতায়

যেদিন তোমার ভাষায়
   আমার ভাবনাকে পেলাম

সেদিন জেনেছিলাম 
   তুমি আমার আপন 

যেদিন তোমার নীরবতায়
   আমার নীরবতাকে পেলাম

সেদিন বুঝলাম 
    আমি তুমিই

দ্বন্দ্বানন্দ

তুমি বলো ধর্ম তোমায় শান্তি দেয়। তোমার বাইরে ভিতরে এত বিরোধ, এত দ্বন্দ্ব। তোমার ধর্ম তোমায় এত যে দ্বন্দ্ব বুঝতে দেয়? নাকি সব দ্বন্দ্ব-বিরোধে প্রলেপ দেয়? 

     দ্বন্দ্ব নিয়ে শান্তিতে আছো। একি হয়? এও কি হয়? দ্বন্দ্ব নিয়ে ঈশ্বরকে ডাকো। ঈশ্বর যদি শুনে ফেলেন! ধরো তুমি নির্দ্বন্দ্ব হলে, কি হবে? ধরো ধরো সত্যি সত্যিই শান্তি পেলে। পালিয়ে গিয়ে, আড়াল করে, ভুলে গিয়ে খুচরো শান্তি না গো না, সত্যিকারের শান্তি পেলে। কি হবে? বুঝতে পারছো কি সর্বনাশটাই হবে তোমার? দ্বন্দ্ব গেলে সব যাবে। তোমার মুঠো খুলে জমানো যা কিছু "আমি - আমার" গণ্ডী ছাড়িয়ে ভেসে যাবে। সব যাবে সব যাবে। স্বপ্নগুলো ছাইকাদা মেখে ধুলোয় কাদায় গড়াগড়ি খাবে। সব্বনাশ! সইতে পারবে! দ্বন্দ্বহীন জগত তোমার আগুপিছু ঘুরে বেড়াবে। বাইরে ভিতর, তোমার আমার, সব হারিয়ে ঘোল খাওয়াবে! কে গুরু! কে ঈশ্বর! কি শাস্ত্র! কি মত! কি পথ! সব গুলিয়ে ঘেঁটে যাবে। দলাদলি, স্বার্থসুখ, সব ঘেঁটে গিয়ে বেড়া খুলে গিয়ে মাঠ হয়ে যাবে! সব্বনাশ হবে! সব্বনাশ হবে! 
...

তুঁহু মম

যখন হ্যাঁচকা টানে বুকটা আকুপাকু করে, তখন জানলার পাশে দাঁড়িয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। কত কত মেঘ এলো গেলো। আকাশ অনাসক্ত। তার নীল রঙে না সাদা দাগ, না কালো। আকাশ কি মিথ্যুক! কি কপট!

     যখন তার হাসি, চাহনি, কি হাতের স্পর্শ পাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়, তখন সে বাথরুমে গিয়ে কলটা খুলে কান্না গিলতে চায়। জলের আওয়াজ তাকে বলে, বাষ্প হ। মেঘ হ। উড়ে যা। সময়কে ধরে রাখিস না শিকলের মত। হাত কাটবে। রক্তারক্তি হবে। জল বড় চতুর।
...

তুমি জানতে

তোমার হাত পুড়েছে
কারণ তুমি আগুন জ্বালতে গিয়েছিলে

তোমার হাতে কামড় পড়েছে
কারণ তুমি শিকল খুলতে গিয়েছিলে
... 

রথ

স্থির রোদ। গাছের ছায়া লুটোপুটি খাচ্ছে মাটিতে। রোদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা। মাটি কোল পেতে বসে। 

     মাটি জানে খানিকবাদে রোদ থাকবে না, ছায়া থাকবে না। গাছটাও একদিন থাকবে না। সে থেকে যাবে। 

     গোঁসাই বসে গাছের তলায়। চাঁদের আলোয় ছায়ারা খেলছে। গোঁসাই এ ছায়া রোদের আলোতেও দেখেছে। চাঁদের আলোয় মায়া বেশি। সত্যে আর কল্পনায় মেশানো যে! রোদের আলো বড্ড স্পষ্ট। জ্ঞানের অহংকারের মত। জ্ঞানের চেয়ে জ্ঞানী বাজে বেশি। চাঁদের আলো অনুভবীর। সে অনুভবী জ্ঞানী রসের খবর জানে না শুধু, সে জ্ঞানী রসিকও। রসের সমঝদার!
...

গ্লানি

কামনাকে জাগাতে পারো
আমার ভালোবাসাকে বাঁ হাতে দূরে সরিয়ে রেখে

শীতল রাত
যেন ক্লান্ত পথিক তুমি
আগুন জ্বেলেছ
নিজেকে তপ্ত করে নেবে বলে 

তোমার উন্মাদ সুখযাপন দেখছি
নিজের শরীর থেকে কয়েক যোজন দূরে দাঁড়িয়ে 
কি অসীম নিঃসঙ্গতায়
কি অসহায়তায়
নিজের ভালোবাসাকে
চক্রব্যূহে রেখে 

চোখ

যে ডোবে
সে-ই ডোবে

কেউ দোষ দেয় না
দীঘির কালো জলের

আমিও দিইনি
তোমার চোখের

বাকি

কোনো পাখিই গোটা আকাশ জুড়ে উড়তে পারে না

কোনো বসন্তই সব ফুল ফোটাতে পারে না

কোনো শোকই সবটুকু অশ্রুর দাবী জানায় না

জগত জুড়ে উদার সুরে

ধর্মের দুটো অন্ধকার আছে। এক, ধর্মের কিছু কুসংস্কারের দিক, বা অন্ধবিশ্বাসের দিক। রামকৃষ্ণদেবের ভাষায় সব ধর্মেই কিছু না কিছু গোলমাল আছে। আর এক অন্ধকার হল, ধর্মকে না জানার অন্ধকার। 

ভয়

বন্ধ দরজার বাইরে নেই
না তো খোলা দরজার দিয়ে এসেছে
কোনোদিন 

অথচ একঘর আধজাগা মানুষ
বিশ্বাস করেছে
সে বন্ধ দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে
... 

হাজা উপাখ্যান 

গুরুদেব দরজা খুলেই দেখেন শিষ্য বসে, দোরগোড়ায়। 

     গুরুদেব একরাশ বিরক্তি গীতার শ্লোক স্মরণে শান্ত করে বললেন, এত ভোরে বৎস?

স্ব-আরোপিত অজ্ঞতা 

বিষের কাজ শুরু হল। মারা যেতে যেতে সে জিজ্ঞাসা করল, আমায় বললে না কেন তুমি আমায় বিষ দিচ্ছ? 

        ভালোবাসার মানুষ বলল, শুনে যদি কষ্ট পাও, তাই বলতে পারিনি। 

        এটা গপ্পো? গপ্পো বটে, আবার না-ও বটে। 

        মানুষ অ্যাডভ্যান্টেজ নেবেই। যত দেবে তত নেবে। এ স্বাভাবিক। শরীর, মন, সুযোগ-সুবিধা, অর্থ --- যা দেবে বিকিয়ে, তা-ই নিয়ে নেবে। হ্যাঁ, সব বিকিয়ে দিয়ে হাহুতাশ করে তো লাভ নেই। তবে ওই মিষ্টি কথায় বিষই জুটবে ভাগ্যে। 
...

বাসা

পাখি চারদিক থেকে যা পায়, খড়কুটো, একটা প্লাস্টিকের সুতো, একটা দড়ি... সব জমিয়ে সে আবর্জনার স্তূপ বানায় না, বাসা বানায়। সেখানে সে ডিম পাড়ে। বাচ্চাদের বড় করে। তারপর সব ছেড়ে চলে যায়। 

    সেটাই বলছিলাম, মনের মধ্যে আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে লাভ কি? অভিমানের পাহাড় বানিয়েই বা কি লাভ? 
...

অভয়ারণ্য 

যা ভেঙে গেল
    তা মোহ ছিল 

যে চলে গেল
    সে ছলে গেল 

আঘাত বাজলো
...

জেগে থাকে

সব কোলাহলের পাশাপাশি  এক অবিচ্ছিন্ন নিস্তব্ধতা জেগে থাকে
সব অশান্তির পাশাপাশি  এক অবিচ্ছিন্ন শান্তি জেগে থাকে 
...

বুকে চন্দনের গন্ধ

​​​​​​​রথ এগোয়। জগন্নাথ টাল সামলে বসেন। রথ যে টানে সেও টাল সামলে সামলে চলে। থেকে থেকেই বড়রা দৌড়ে আসে, গেল গেল… জগন্নাথ আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ল রে…
সন্ধ্যে হল। জগন্নাথ ভাবলেন, এইবার খানিক বিশ্রাম পাবেন। আর বিশ্রাম। ভক্ত থেকে থেকেই ঠাকুরঘরে ঢোকে। রথের রশি ধরে টান মারে। রথ বাঁ বাঁ করে ঘোরে। সঙ্গে ঘোরে ভাইবোন সহ জগন্নাথদেব। আবার বাড়ির লোক ধেয়ে আসে… ওরে রাখ্ রাখ্…
...

বিদ্যাবধূ

মহাপ্রভু বললেন, কি চাই জানো? প্রেম। ভালোবাসা। অহংকারের মেঘ যদি সরে গেল, অমনি দেখো, ভালোবাসার চাঁদ উঁকি দিল। তোমায় শান্ত করবে, শীতল করে আনন্দিত করবে, পূর্ণ করবে। 
    কিন্তু কাকে ভালোবাসবো?
...