Skip to main content

প্রতিবাদ


আসলে খুব খারাপ শব্দ প্রয়োগ করলেই প্রতিবাদ করা হয় না
কিম্বা গগনভেদী চীৎকার করলেও প্রতিবাদ জানানো হয়, 

তা না
       বড় জোর কয়েকটা কাল-চিল উড়তে পারে
            অজ্ঞতা বা ভণ্ডামি না

এতটা অস্বস্তি ছিল তবে


এতটা অস্বস্তি ছিল তবে
এতগুলো দীর্ঘশ্বাস
একলা ছন্দে তাল কাটছিল বারবার
যেন সমর্পিত অপেক্ষার রুদ্ধশ্বাস

শবরীমালা

        শবরীমালাতে রজঃস্বলা নারীদের প্রবেশাধিকার নিয়ে যিনি একমাত্র বিরোধীতা করলেন সুপ্রিম কোর্টে রায়দানের সময়, তিনি একজন মহিলা বিচারপতি। তার বক্তব্য - ধর্ম আর প্রথার সাথে যুক্তির কোনো সম্পর্ক থাকা উচিৎ নয়। 

বাংলার সবরীমালা

        তো সুপ্রীম কোর্ট বলল মেয়েরাও মন্দিরে ঢুকতে পারবে। আহা, আমাদের কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বরের কথা হচ্ছে না, সে দক্ষিণভারতের কি এক সবরীমালা মন্দিরের কথা। আমাদের বাপু অমন ধারা শক্ত নিয়ম কোনো বড় মন্দিরে দেখি নাই। বাঙালী মাত্রেই মা অন্তঃপ্রাণ জাত। এই শুরু হচ্ছে দেবীপক্ষ, দেখুন না সপরিবার দূর্গা, তাতে দুইজন মা, লক্ষী-সরস্বতী, আবার লক্ষ্মী, তারপর কালী

একজন অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল বাচ্চা মেয়ে আমাদের কলকাতার বুকে মৃত্যুর সাথে লড়ছে

        একজন অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল বাচ্চা মেয়ে আমাদের কলকাতার বুকে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। বাবা মা তার গলার নলি কেটে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে নিজেরাও সরে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু নিজেরা এখন বিপদসীমার বাইরে। বাচ্চাটা ঘোর সংকটে। সে সংকটে তো তার শরীরটা। তার যদি চিন্তা করার ক্ষমতা থাকত

ভাবছি দেশে আর না জানি কি বিটকেল সব আইন আছে

ভাবছি দেশে আর না জানি কি বিটকেল সব আইন আছে। এ অনেকটা মহালয়ার আগে ঘর ঝাড়ার মত হচ্ছে। তা বেশ, আচ্ছা ইয়ে করে হাতমাটি না করা নিয়েও কি আইন বানিয়েছিল ওই লালমুখো গুলোন? কিম্বা তরকারিতে নুন কম হলে? কিম্বা যীশুর নামে রোববার করে নৈবেদ্যে না দিলে ইত্যাদি ইত্যাদি...

সুপ্রিমকোর্ট পরকীয়াকে বৈধ ঘোষণা করেনি

        সুপ্রিমকোর্ট পরকীয়াকে বৈধ ঘোষণা করেনি। শুধু শাস্তির আইনি ব্যবস্থাটা তুলে নিয়েছে। তা বাপু আর কদ্দিন পুলিশের ভয়ে নীতিবান থাকবে? নীতিগতভাবেও তো সাবালক হতে হবে নাকি?

ভাষা কথা

আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করলে মানুষ নিজের সাথে সাথে নিজের বলতে যা কিছু তার উপর জোরও হারাতে থাকে। আমাদের ভাষার জোর যে কাজের ক্ষেত্রে অনেক কমে এসেছে তার কারণ এই নয় যে আমাদের পরিভাষা নেই, কারণ এই যে আমাদের পরিভাষা বানানোর তাগিদ নেই। তার ব্যবহারের দরকার নেই।

আকাশ তুমি দাঁড়িয়ে থেকো


আকাশ তুমি দাঁড়িয়ে থেকো
বাতাস তুমি ফিরে যেও না
মাটি তুমি ধৈর্য ধরো
আগুন তুমি নিভে যেও না
জল তুমি মিলিয়ে যেও না

মানুষ আবার ফিরবে
   এদিকেই ফিরবে

ভালোবাসা তুমি হলুদ হোয়ো না

আমার অধিকার আছে

আমার অধিকার আছে, 
  বাড়ানো হাত ফিরিয়ে দিয়ে
             না ভালোবাসার

আমার অধিকার আছে,
  উঠোনটায় একটাও ফুলগাছ না লাগিয়ে
       সম্পূর্ণ ন্যাড়া করে রাখার

বিদ্যাসাগরের কয়েকটি তির্যক গল্প ও উদ্ধৃতি – শেষ পর্ব

এক গ্রামে দুই বিদ্যাবাগীশ খুড়ো ছিলেন। ইহারা দুই সহোদর। জ্যেষ্ঠ নৈয়ায়িক, কনিষ্ঠ স্মার্ত (দুই ভিন্ন দর্শন অবলম্বী শাস্ত্রবিশেষ)। একদিন এক ব্যক্তি ব্যবস্থা জানিতে গিয়াছিলেন। স্মার্ত বিদ্যাবাগীশ বাটিতে নাই শুনিয়া তিনি চলিয়া যাইতেছেন দেখিয়া, নৈয়ায়িক বিদ্যাবাগীশ জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি জন্যে আসিয়াছ।

তোমরা কারা?

       অবশেষে প্যাডে মাসিকের রক্তের দাগে শারদীয়া উৎসবের অভিবাদন জানাতে হচ্ছে! 
       আমার ভয় হচ্ছে, নারীরা কি ভুলতে চলেছে তাদের জননতন্ত্র ছাড়া একটা মস্তিষ্ক নামক অঙ্গও আছে। এ দেশে আশাপূর্ণাদেবী থেকে মাতঙ্গিনী নামক অনেক শ্রদ্ধেয়া মস্তিষ্ক জন্মেছিলেন। আজও কান পাতলে তাদের কণ্ঠস্বর কানে শুনি। তোমরা কারা?
 

বিদ্যাসাগরের কয়েকটি তীর্যক গল্প ও উদ্ধৃতি - প্রথম পর্ব

হৃদয়ের সাড়া এলে আর শাস্ত্রের দোহাই লাগে না। সে ঠিক, কিন্তু সে নিজের কাছে লাগে না, কিন্তু সমাজের কাছে? যে সমাজ দেশাচারের অন্ধশৃঙ্খলে মানুষকে মানুষ পর্যন্ত জ্ঞান করতে ভুলেছে? তার বেলা? তখন ঝুড়ি ঝুড়ি প্রমাণ জোগাড় করতে হয়, বলতে হয়, তোমরা যা করছ তা ভুল, তা বর্বরোচিত, এখনই বন্ধ করো, নইলে সভ্যতার ইতিহাসে মুখ দেখানোর যোগ্য থাকবে না।

এক বিন্দু জল

এক বিন্দু জল
না হয় হারালোই
হয় মিশল সাগরে
  নয় মিলালো শূন্যে

  না হয় তাই হলই

আজকের ভারতবর্ষের মেয়েদের অবস্থান

আজকের ভারতবর্ষের মেয়েদের অবস্থান, আর বিদ্যাসাগরের সময়ের মেয়েদের অবস্থানের নিশ্চয় পার্থক্য ছিল। তিনি বিধবাবিবাহ প্রচলনের প্রস্তাবনায় দুটো বই লিখেছিলেন। অত শত শত শাস্ত্র থেকে বেছে বেছে অত অত শ্লোক উদ্ধার করা গুগুলহীন যুগে যে কঠিন বিষয়, কি অমানুষিক কাজ ভাবলে হতবাক হতে হয়!

মনের ওই ঢেউ

 অনুভব, আবেগ প্রকাশ করা যাবে না। বললে তা নিয়ে লোকে হয়ত হাসাহাসি করবে। অনুভব, আবেগ অনেক কোমল জিনিস, আপনি ওকে নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারেন না, হয় শোনেন নইলে আমারে যেতে দেন, আমার নিজের কথা, নিজের অনুভবের ভাষা আপনি বুদ্ধি দিয়ে বুঝবেন কি করে? বুদ্ধি হৃদয়ের কথা বোঝে?

মঙ্গল হোক


ঈশ্বরের জন্য ভাত বেড়ে বসেছিলাম
ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে দেখে
দরজার বাইরে অপেক্ষা করা কুকুরটার মুখের সামনে দিলাম, 
    কয়েকটা কাকও উড়ে এলো

কে বলল, মঙ্গল হোক

লুকোচুরি

চাদরেও ঠাণ্ডা মানাচ্ছে না। ঠকালো? অথচ বলল, আসল কাশ্মীরি শাল নাকি। আমার এই প্রথম এইদিকে আসা। ছাপরা স্টেশান থেকে বারো কিলোমিটার দূরে একটা জঙ্গল ঘেরা স্টেশান। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা।

Sadguru and JNU

        JNU has invited Sadguru for a lecture in one of its prestigious ceremony. The first question struck in my mind is – why Sadguru who calls himself a mystic? mysticism and rationality can't go together, though I know in India it is possible that we can have a religious ceremony even before launching a satellite. I am little bit shocked obviously.

তুমি অন্য কথা বলো

যে কথা বলোনি কোনোদিন
আজ নতুন করে বলতে চেয়ো না
স্রোতে ভাসানো কাগজের নৌকা
    কোন বাঁকে অদৃশ্য হয়েছে
                    মনে নেই আর

তুমি অন্য কথা বলো

একটা লাগাতার আন্দোলন চলছে


একটা লাগাতার আন্দোলন চলছে
    পক্ষ বোঝা যাচ্ছে না
তবু জানা যাচ্ছে, 
    একটা লাগাতার আন্দোলন চলছে

গণ্ডূষ


তবে কি যাওনি?
মনে হয়েছিল
       ফিরে গেছ,
এখন শ্রাবণ না
  আশ্বিন,
    এলে আবার এসো
        হয় তো কথা হবে না
    তবু কাশ তো ফুটেছে

 বারো বছরের মেয়েটা

বারো বছরের মেয়েটা গর্ভবতীই হয়ে গেল। রাম রহিম খ্রাইষ্ট, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য কালচার, নানা ইজম, কি নেই আমাদের দেশে। কত বড় বড় রথীমহারথী, কিচ্ছুটির অভাব নেই গো। ব্রত উপবাস, মহরম, বড়দিন, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, কত উৎসব।

অভয়

        ভয় আমার আত্মীয় না। ভয় আমার প্রতিবেশী না। ভয় আমার পরিচিতও না। ভয় আমার কে?

ধুলো

        উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে রোজই বড় রাস্তায় চলে আসে বাড়ির বউটা। ঝাঁট দিতে দিতে কখন ঘোমটাটা খুলে যায় তাও খেয়াল থাকে না। এই নিয়ে নিত্য গঞ্জনা শুনতে হয় তাকে। 
        সেদিন রাতে সে বরকে জিজ্ঞাসা করল, বড় রাস্তায় গেলে কি হয়? 
        বর বলল, বেশ্যা।

প্রতিযোগিত মানিনে


"আমারও চাই" 
"আমিও হব"
এই "ও" কারটিকে বড় ভয়
যাহা ঈর্ষার শানিত কণ্ঠ হয়
প্রতিযোগিত মানিনে
সৃষ্টিসুখেই আত্মমগ্ন 
    পাওনা-গণ্ডা বুঝিনে

শান্তি

        হাতটা ঠাণ্ডা বস্তুতে লাগলে ঠাণ্ডা অনুভব হয়, গরম বস্তুতে লাগলে অবশ্যই গরম অনুভব হয়। আবার দুঃখ অনুভব হয়, আনন্দ অনুভব হয়, ফ্রেশ অনুভব হয়, কুল অনুভব হয়। কথা হচ্ছে, এই অনুভবটা কি তবে? অনুভব কি অভিজ্ঞতা, না কোনো অভিজ্ঞতার দরজা?

ভক্ত তালা দিয়ে বাইরে গেল


ভক্ত তালা দিয়ে বাইরে গেল।
ফিরে এসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিল 
      যে চুরি হয়নি।
ভক্তের ‘সততায়’ ঈশ্বর খুশি হলেন 
কিনা জানি না, তালা রুষ্ট হল।

You can believe in any -ism


You can believe in any -ism, from communism to feminism... anything. But if you cling to it when it goes even wired, then you are actually in fanaticism. That's the irony of the history but only religious fanaticism is discussed by overlooking those rationality borne fanaticism, because it's the trend.

A real hope is like to have constipation


A real hope is like to have constipation, to store it or to deliver it, both are painful, an act of serious commitment. So people talks about religion - a hope no one dares to have it, but wish to preach it. A hope without responsibility, but with fantasy ability.

God is the supreme judge

God is the supreme judge, I agree. But the Court is in a country of Anarchists. God is the supreme judge, I agree. But the Court is in a country of Anarchists.

আসলে সব কিছু এখন চন্দ্রিল জানে


আসলে সব কিছু এখন চন্দ্রিল জানে
ভালো-খারাপ মিশেল লেখা চালাতেন যে কবিগুরু, 
সে কথাটাও সে-ই জানে
মস্তিষ্কহীন রাক্ষুসে জনতার হাততালি -
কাকে যে কখন কোন তালে নাচায়
সেই কথাটা কে-ই বা জানে!

ওদিকে যেমন হয়

        আর সামাজিক চিন্তা করবেন না। তাই মহেশ্বরবাবু ঠিক করেছেন কয়েকটা দিন কোনো ভূতুড়ে বাড়িতেই কাটিয়ে আসবেন। অনেক খোঁজপাতি করে শেষে রাণাঘাটের থেকে চোদ্দো মাইল দূরে হাড়জোড়া গ্রামের কোনায় একটা ভূতুড়ে বাড়ির সন্ধান পেলেন। একদিন বেলায় চাট্টি ডালভাত খেয়ে, একটা ট্রল

বয়স না, কাম না


বয়স না, কাম না,
মাড়িয়ে যাওয়াই আসল কথা,
বড্ড বাড় বাড়ছিস তোরা
তাই মাঝে মাঝে উচিৎ শিক্ষা..
বীর্য্য পিচকারিই দেখিয়ে দিচ্ছে
পুরুষ সাজার কি হয় সাজা!

দাগ

        সাবির আলি চেয়ারের হাতলে ভর দিয়ে বাঁদিকে ঝুঁকে বসে আছে। মাথার উপর স্বচ্ছ টাকে পিছনের জানলার পর্দাটার ছায়া দুলছে। নীল সাদা চেক চেক শার্টে এখনও ঘামের দাগ শুকায়নি। রিডিং গ্লাসটা নাকের কাছে নেমে এসেছে। ডান হাতটা চেয়ারের বাইরে ঝুলে আছে। সাবির আলি পনেরো মিনিট হল মারা

আমি কারোর কথা বলছি না, নিজের কথা বলছি


        মেয়েটার মুখে হাঁটুর গুঁতো, চড়, কিল, লাথি। দেখলাম। তাজা খবর, লাইভের মত, দেখতেই হয়। 
        এখনও ধর্ষণগুলো লাইভ হয়ে ওঠেনি সামাজিক মাধ্যমে। হয়ত আগামী দিনে তাও দেখব। 

কেউ একবারও তো


সময় পিছলে গেল তোমার উপর
তোমায় ভাসালো না

আমি এগিয়ে এলাম 
  সময়ের সাথে কথা বলতে বলতে অনেকটা

অথচ 
   তুমিও না, সময়ও না
    কেউ একবারও তো -
       আমায় দাঁড়িয়ে যেতে বললে না

নিত্য শিব সুন্দর

ভক্ত শুনিয়াছে
  মহাকাল, দিয়া আপন মন্দিরে দ্বার
        বসিয়াছেন তপস্যায়

ভক্ত চিত্ত ধৈরয না মানে
   উৎসুক নয়নে চাহি দ্বার পানে
           প্রভুর করুণ দৃষ্টিভিক্ষা অপেক্ষায়

বাঘাদা, গান কই?

"আসিবে ফাল্গুন পুন,   তখন আবার শুনো
     নব পথিকেরই গানে নূতনের বাণী।।"

প্যাটেল - বসু উপাখ্যান

হার্দিক প্যাটেল মধ্যপথে অনশন ভাঙিল। কোন সুজাতা পরমান্ন লইয়া আসিয়া ছিল জানা নাই। ইনি আবার 'মধ্যপথে'ও আস্থা রাখেন না। রাজনীতির কেহই রাখে না অবশ্য। নানাপ্রকার ছল-কৌশলই পাথেয় রূপে যথেষ্ট। নিন্দুক আবার কহিয়াছে ইনি গোপনে ক্ষুধাসুরকে নৈবেদ্যও অর্পণ করিয়েছেন। সে নিন্দুকের কথা থাক। কথা হইল, পথের অভিমুখ কি জন-উদ্দেশ্য-সিদ্ধিতে না আত্মসিদ্ধিতে?

ঈর্ষা


ঘুড়ির উপর আলপনা আঁকলে না
   মাঞ্জা চাইলে তীক্ষ্ম
আকাশকে উপেক্ষা করে
     সারাদিন শুধু গুনলে 
          এক দুই তিন...

রুটি বেগুনভাজা

        দু'দিন আগেও বাগানে ঘুরে গেছেন, সবাই বলল। পুকুুনের মা জানত, মাথাটা গরম হলেই বাগানে ঘোরেন। একা একা ঘোরেন। একা একা কথা বলেন। একা একা আকাশের দিকে তাকিয়ে মাটিতে শুয়ে থাকেন। সাদা পায়জামা আর পাঞ্জাবী গায়ে রোগা মানু

১১ই সেপ্টেম্বর

        অসম্ভব ভিড়, বারাকপুর স্টেশান। ধাক্কা দিয়ে এগোনোই যায়। কিন্তু এগোলেন না। পিঠে, বুকে, মুখে ধাক্কা খেতে খেতে একবার ছাদের দিকে তাকালেন। পায়রাগুলো গিজগিজ করছে। সন্ধ্যের সময় প্রতিদিন হয়। তবে আজ অন্যরকম। কেন অন্যরকম তা জানেন না। আজ সারাদিন না ভাবতে চেষ্টা করেছেন। এখন

ব্যস


ব্যস, এতটুকুই তো 
কতটা হাত বাড়িয়েছিলে?

ব্যস, আর না, থামো
কতটা পথ ভেবেছিলে?

"অবকাশ আমার আর নেই"

        বন্যার ভয়াবহতার সদ্য সাক্ষী আমরা। নানা স্তরের মানুষের সাহায্যের সাক্ষীও আমাদের চিত্ত। আবার নীরবতা বা উদাসীনতার সাক্ষীও। 
        ১৯৩১ সাল, বাংলা বন্যায় ভাসছে। রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে লিখছেন, ২৩ অগস্ট,

যেখানে দেখিবে ব্রিজ


যেখানে দেখিবে ব্রিজ, 
নাড়াইয়া দেখো ভিত
পড়িলে পড়িতে পারে 
    যখন তখন

"বাংলাদেশে আর নয়"

বাইশে শ্রাবণে কবির অন্তিমযাত্রার যে ভিডিওটা দেখি, তাতে কতটা উন্মাদনা আর কতটা আন্তরিক শূন্যতার হাহাকার --- সংশয় জাগে। রবীন্দ্রনাথকে ভারতবাসী সেদিন কতটা নিজের ভিতরে নিয়েছিল, সন্দেহ হয়। আজও কতটা নিতে পেরেছে জানি না। কয়েকটা কবিতা আর গানেই যেন মানুষটার সব প্রতিভা শেষ হয়ে গেল।

তুমি হয় তো আমিষে সৎ


I have experienced two types of hypocrisy - civilized and uncivilized. 
I have seen some non hypocrites, who are in asylum now, as an example of failure of medical science to treat their non hypocrisy.

কথা, ইচ্ছা-অমৃত

আয়না কথা বলে না। সময় কথা বলে না। সকালের আলো, রাতের অন্ধকার কথা বলে না। আশেপাশের পশুপাখিরা শব্দ করে, কিন্তু কথা বলে না। মানুষের সব কথা মানুষকে নিয়ে। কত কথা। নিজেকে নিয়ে কথা, প্রতিবেশীকে নিয়ে কথা। মানুষের আত্মীয় - প্রতিবেশী থেকে ঈশ্বর সবাই, এমনকি মাঝে মাঝে সে নিজেও নিজের প্রতিবেশী, সে নিজেই দূরের আত্মীয়।

ওটা কিসের লোগো,

        গুগুলের পেজটায় দেখেছেন? ওটা কিসের লোগো, অসভ্য! ওই যে গো ওদের, হোমো না কি যেন বলে না? ম্যাগো! 

When you appreciate past

When you appreciate past - you are in museum. When you stick to past - you are in religion.

আমার সর্বোত্তম শিক্ষক

        যখন খুব পিঠ চুলকায়, চুলকানোর উৎসমুখটা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়, তখন তাকে হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে পেলে ভীষণ আনন্দ, আরাম। 

রাধাকৃষ্ণানের নব্যভারত

কথাটা ছিল আগামী দিনের ভারতবর্ষের। রাধাকৃষ্ণান যা ভাবতে চেয়েছিলেন তা হল আগামী ভারতের চিন্তাধারা কেমন হবে তা নিয়ে। তিনি দুই ধরণের ভারতীয়দের কথা বলেছিলেন। এক, যারা গোঁড়া, যারা মনে করেন ভারতীয় ষড়দর্শনে যা লেখা হয়ে গেছে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করলেই ভারতীয় সংস্কৃতি বেঁচে যাবে;

কারাগারটা দাড়ি না, কমা


কারাগারটা দাড়ি না, কমা
বোঝো না, বুদ্ধু কোথাকার 
কিছু কুঁড়ি কারাগারেও ফোটে,
কিছু কবিতা গারদের ভিতরেও জন্মায় 
   ফুল মুচড়ালে গন্ধ ছড়ায় আরো বেশি
       জানো না, বুদ্ধু কোথাকার!

স্থবিরত্ব


ক্রমশ তুমি প্রস্তরীভূত হচ্ছ
তোমার নাক, চোখ, কান, হৃদয়, মস্তিষ্ক
      ক্রমশ পাথর হয়ে উঠছে

তুমি হাওয়ায় নড়ো না
আগুনে পোড়ো না
জলে ভেজো না অন্তঃস্থল অবধি

তুমি অনড়
তুমি অচল
বোধি পাওনি, 
    পেয়েছ স্থবিরত্ব

তুমি আকাশকে বর্ষা বলো

তুমি আকাশকে বর্ষা বলো
আমি আকাশকে বলি শরৎ

আকাশ তো রেগে যায় না
তুমি রেগে যাও কেন?

চুনের দাগ

অশান্তির হাত থেকে বাঁচার জন্যেই হোক কি নিজের জন্য একটু আলাদা শ্বাস নেওয়ার জায়গা খোঁজার জন্যেই হোক, বলাই সামন্ত যখন শ্যামবাজার ছেড়ে রাণাঘাটের ওদিকে একটা গ্রামে বাড়ি করল, সবাই আশ্চর্যই হয়েছিল। বলাই সামন্ত ব্যবসায়ী।

আমি এলাম

আমি এলাম
- এসো
- তুমি কি ব্যস্ত?
- আমি ব্যস্ত থাকি না
- আমি নাস্তিক
...

অমর্ত্যবাবুর অবাঙালী জীবনীকার হলে ভালো?

আজকের 'দ্য টেলিগ্রাফ'র এডিটোরিয়ালে একটা প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক, বুদ্ধিজীবী রামচন্দ্র গুহার মন্তব্য। শেষ কথাটায় ঠেক খেলাম, কেন একজন বাঙালি অমর্ত্য সেনের জীবনীকার হতে পারবেন না? পক্ষপাত, আবেগ আর স্বজনজনিত দুর্বলতা দুষ্ট হয়ে যাবে বলে? কথাটা কোথাও একটা খারাপ লাগা আনল।