উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে রোজই বড় রাস্তায় চলে আসে বাড়ির বউটা। ঝাঁট দিতে দিতে কখন ঘোমটাটা খুলে যায় তাও খেয়াল থাকে না। এই নিয়ে নিত্য গঞ্জনা শুনতে হয় তাকে।
সেদিন রাতে সে বরকে জিজ্ঞাসা করল, বড় রাস্তায় গেলে কি হয়?
বর বলল, বেশ্যা।
বউ বলল, তবে তোমরা যারা রোজ, মানে তুমি বাবা, তোমরা সব বড় রাস্তায় যাও, তবে কি তোমরা...
বর রাগে চড় মারল।
পরেরদিন দেখা গেল, বউটা বাড়ি নেই। সে তার পোষাপাখিটাকে শিখিয়ে গেছে, সে বাড়ির বেশ্যা হওয়ার চাইতে, বড় রাস্তার বেশ্যা হবে।
বর পুলিশে খবর দিল। পুলিশ খোঁজ পেল না। গুণিন খোঁজ পেলো না। গ্রামের মোড়ল খোঁজ পেলো না। পাবে কি করে, ওরা তো শুধু বেশ্যাপট্টিগুলো খুঁজে বেড়িয়েছে। সেখানে কি সে আছে? নেই তো।
সে বাড়ির বউ অনেকদিন বাদে গ্রামের বাড়ি এলো, বড় রাস্তার ধুলো তার প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির উঠোনে নিয়ে। সে যেন কি হয়েছে। কেউ চিনল না। কেউ বলল শিক্ষিকা, কেউ বলল ডাক্তার, কেউ বলল রাঁধুনি, কেউ বলল উকিল এরকম নানা কত কি। কিন্তু তাদের চোখ কি যেন একটা খুঁজছিল, আর মুখ কি যেন একটা বলতে যাচ্ছিল, সেটা বুঝল শুধু উঠোনের ধুলো।