Skip to main content

বারবার


বারবার উঠে দাঁড়াতেই তো চাইছি
মাটিতে পড়ে মাটিকেই ভর করে

অন্ধকারে পা ফেলছি, 
        আজ না, প্রতিদিন
এক পা, দু পা করে এগিয়ে এসেছি
তবু আজও ভয়
পরের পাটা পড়বে কোথায়?

স্মৃতি


স্মৃতির গর্তে গর্তে হাজার হাজার লাল কাঁকড়া
অলস সময়ের তীরে তীরে

আমার পায়ের শব্দে ঢুকে পড়ে
আবার বেরিয়ে আসে অলক্ষ্যে
আমার আড়চোখে চোখ রাখে

নির্ভয়া

শুনেছি একটা ইন্দ্রিয় বিকল হলে বাকি ইন্দ্রিয়গুলো নাকি খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

     আচ্ছা মন বিকল হলে কি শরীর শক্তিশালী হয়ে ওঠে আরো বেশি? অনুভব বা বোধশক্তি কমে গেলে কি ভোগ শক্তি আরো তীব্র হয়ে ওঠে? মনে হয় তাই। তা না হলে একজন মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, নিজের মনুষ্যত্ত্বের মৃত্যু ঘটিয়ে, এত পাশবিক হওয়ার আত্ম-অনুমতি পায় কি করে আরেকজন মানুষ? 

ঋণ


চোখের কোল কালো ছিল
                    কাজলে
চোখের কালো মণি
চোখের জলকে বলল, 
ছুঁয়ে আয় ওকে
বেয়ে পড়ুক সে দু-গালে।

দু-গালেতে কালো জলের দাগ
মুখ হল সাজসজ্জাহীন
বুকের ব্যাথা চোখকে বলল
কিসে শুধাব গো এ ঋণ?

মিছিমিছি কথা


তোমার সাথে রোজ কথা বলি
এ কথা, সে কথা, কত কথা

প্রতিদিন তোমার কত কথাই শুনি
এ কথা, সে কথা, কত কথা

এ সব গুলোই মিছিমিছি

আসল কথাটা দু'জনেই যাই এড়িয়ে 
সে কথায় ঢাকি, নানা কথার ঢাকা
এ কথা, সে কথা, কত কথা

বাণী


ঈশ্বরের কাছে ঈশ্বরকে না পেয়ে ফিরেছি অনেকবার
মানুষের মধ্যে পেয়েছি তাঁকে আচমকাই
মুগ্ধ হয়েছি, তৃপ্ত হয়েছি, হয়েছি পবিত্র

পাতি কথা

মনের গলি ঘুরছিলাম। নিজের সাথে, নেটের এ পাড়া ও পাড়া। কত কথা ছড়ানো ছেটানো। কত তথ্য। কত বাদ বিবাদ। মানুষের পরতে কতটা পোশাক লাগে, তার হিসাব আছে। খেতে কতটা চাল লাগে তাও মাপা যায়। কিন্তু বাঁচতে কতটা জ্ঞান লাগে - এ হিসাব করে ওঠা দায়। যদি জ্ঞানকে কাজের বস্তু ভাবি তবেই অবশ্য। কেউ যদি বলেন জানার আনন্দে জানতে চাইছি, তবে তার ক্ষেত্রে হিসাব নিকাশের বালাই নেই। যেমন কেউ যখন খাওয়ার আনন্দে খায়, কিম্বা সাজার আনন

কিনারা


রাস্তার দুটো ধারই রাস্তা বানায়
না হলে তা মাঠ
নদীর দুটো তীরই নদী বানায়
না হলে তা বন্যা
দিগন্তের রেখাই করে আকাশ মাটিকে আলাদা
দুজনের হাতে হাত মিলিয়েই

আমার কিনারা আমায় ঘিরে তুমি
না হলে আমার 'আমি' দিশাহারা

খেপা শ্রাবণ

বাংলা দিনপঞ্জী অনুযায়ী এটা আশ্বিন। কিন্তু প্রকৃতির কি সে খেয়াল আছে? প্রকৃতির ক্যালেন্ডারের সাথে আমাদের ক্যালেন্ডার আর কবে মিলল?
 

সিঁড়ি

সিঁড়ির প্রথম ধাপের সাথে
শেষ ধাপের যে সম্পর্ক
             যদি তুমি বোঝো 
পা পিছলাবে না আর

প্রথম ধাপেই থাকে শেষ ধাপের ইঙ্গিত
সে দিশা যে বোঝে, যে খোঁজে
                     সে তার

জীবন

ভেজা পাথর
শ্যাওলা জমা পাথর
দাঁড়াতে গেলেই, হুমড়ি খেয়ে
       পিছলে ফেলা পাথর

তার উপরেই দাঁড়াতে চাইছি
গোছাতে চাইছি কবে থেকে-
               এরই নাম জীবন

লাগাম

যেমন লোভের একটা চেষ্টা আছে, সেরকম চেষ্টারও একটা লোভ আছে। এই দুই এর মধ্যে সীমারেখা টানা মুশকিল। 

লোভের চেষ্টা সাধ্যের সীমা মানে না, যোগ্যতা বিচার করে না, প্রয়োজনের ধার ধারে না। বলে, "দেখিই না কি হয়"। আরো বেশি জমাতে চাওয়া, আরো সুখী হতে চাওয়ার জোরটাই বেশি তার। তবে সার কথা হল, এর একটা Object আছে। 

টান


আমার বুকের থেকে কিছু রঙ চুঁইয়েছে
দেখো ওরা তোমার আঁচলে লেগে এখনো

ওরা গড়িয়ে তোমার সর্বাঙ্গ ভেজাবে
চুঁইয়ে চুঁইয়ে ঢুকবে তোমার ধমনী শিরায়
      স্নায়ুতে লাগবে পূর্বজন্মের টান 
ভেজা মাটির গন্ধে শিকড় 
            পায় যেমন জলের সন্ধান

আশ্চর্য প্রদীপ

'একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে'- এর থেকে বড় আশ্চর্য প্রদীপ আছে কি? যার থেকে রোজ একটা করে দিন জন্মায়, সেই প্রদীপের দৈত্যের মত। নিত্য তার হাতে নতুন কিছু একটা কাজ দিই। কাজটা হয়তো সম্পূর্ণ হয়, কিন্তু আশাটা পূর্ণ হয় না। রাতে বালিশে মাথা রাখি আর পাশে রাখি সেই প্রদীপটা, সেই আশ্চর্য প্রদীপ - 'একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে!'
 

অত সহজ কি

মানুষটার মৃত্যু/অন্তর্ধান রহস্য যতটা এঁদের ভাবিয়ে তুলেছে, উৎসাহিত করেছে, তার সিকির সিকি ভাগ যদি মানুষটার জীবনের ওপর থাকত! তাঁর আদর্শের প্রতি থাকত!

সমস্যাটা বুঝি। কাদা হাতে কাদা ঘাঁটা যত সহজ, সাদা হাত ধরা অত সহজ কি?

জোনাকি


একাকীত্বের খাঁজে খাঁজে
জমাট বাঁধা বিষাদ
তাতে জোনাকির মত ছোট ছোট সুখ
কখনো জ্বলে, কখনো নেভে।
আমি কুয়াশায় ঢাকা হতাশাকে বলি
"আর কতদিন?"
বিভ্রান্ত হতাশা আকাশ হাতড়ায়
সূর্যের খোঁজে
ক্ষত বিক্ষত হয়ে আসে ফিরে, ক্ষুব্ধ হয়ে
ধূমকেতুর সাথে আঘাত লেগে।

ভালোবেসে

 


তোমার আঙিনায় আছি বসে,
আমার ক্ষুদ্র তনুতে তোমার কিরণ
কি আদরে ভালোবেসে!
 


(ছবিঃ প্রীতম পাল)

কাঁচা বাদাম

এক প্যাকেট বাদাম। চিবোচ্ছেন, ভাবছেন। ভাবছেন, চিবোচ্ছেন। ভাবনাটা বেশ পুডিং-এর মত জমে আসছে। বেশ একটা বুড়ির চুলের মত মিহি সুখ আপনাকে আচ্ছন্ন প্রায় করে ফেলেছে... এমন সময় অকস্মাৎ আপনার মুখে এসে পড়ল - পচা বাদাম! 

গেল না পাকা আম মাটিতে থেঁতলে পড়ার মত, আপনার সুখ!

মায়া


একটা গাছ, তার-

শিকড়কে বিশ্বাস করে না
পাতাকে বিশ্বাস করে না

তার চারপাশের-

মাটিকে বিশ্বাস করে না
জলকে বিশ্বাস করে না
বাতাসকে বিশ্বাস করে না

সে আকাশের দিকে তাকিয়ে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে
হতাশ্বাস ফেলে
বিষাদের জাল ফেলে

হতেও তো পারত!


তোমার আঁচলের খুঁটে কটা শব্দ বাঁধা থাকত, গোপনে।
ওদের কি করলে?
কুটনো কুটতে গিয়ে, কেটে ফেলছো?
শাক ধোয়া জলের সাথে ভাসিয়ে দিয়েছো নর্দমায়?
না বোধহয়।
তোমার চুলের কাঁটার সাথে কিছু শব্দ আটকে আছে, এখনো।
ওরা তোমার দু-একটা পাকাচুল নিয়ে খেলে,
তুমি চাইলে ওরা তোমায় খোলা আকাশে নিয়ে যেতে পারত
গ্যাস বেলুন দেখেছিলে না, ময়দানে?

অমিল


তোমার সাথে আমার 
না মেলে পূবে, না পশ্চিমে
না মেলে ডাঁয়ে, না বাঁয়ে
তবু কিসের এত টান ?

যে এক চাহনিতেই, কলিজায়
চোরাস্রোতে আসে বান?!

ফুলগুলো


পাপড়িগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে
    ফুলদানীতে সাজালে রোজ
ভাবলে প্রজাপতি আসবে 
    তোমার শোয়ার ঘর রঙীন করে

হল না।

তুমি জানতে না
পাপড়ির সাথে বৃন্তের কি সম্পর্ক
বৃন্তের সাথে কি কথা বলে শিকড়

জলের দাগ


জীবনটা খানিকটা জলের দাগ কেটে খেলার মত। তুমি মনের আনন্দে একটা জলের দাগ কাটলে, কল্কা আঁকলে। সেটা কিছুক্ষণ থেকে গেল। আরেকটা কিছু আঁকতে লাগলে, ইতিমধ্যে আগেরটা মিলাতে শুরু করল। তুমি বিদায় নিলে, জলের সব দাগও চিরকালের জন্য মিলিয়ে গেল।

আমার আকাশ


যদি মনন, চেতনার হাত ছেড়ে ছোটে? 
যদি অনুকম্পার কণ্ঠ, প্রকাশ ভঙ্গীর অলঙ্করণে পড়ে চাপা?
যদি স্থির জলাশয়ের স্বচ্ছ তলদেশ দেখাটা হয় অতিসরলীকরণ,
দেখতে হয় তাকে - গুলিয়ে, নেড়ে, ঘেঁটে..তারপর আন্দাজে তলদেশে ছুঁয়ে?
যদি বলতে চাওয়ার তাগিদের চেয়ে, বলতে চাওয়ার ভঙ্গীতে করতে হয় মুগ্ধ?

ছাদ


বাড়ির উপর যে ছাদ, সেখানে আমার প্রতিদিনের ছুটি, প্রতিদিনের মুক্তি। সে শুধু তার উপর অসীম নীল আকাশ আছে বলে। যদি আকাশ না থাকত, সেটা তবে হত - দোতলা, তিনতলা, চারতলা...খুব জোর চিলেকোঠা..তাতে আরাম থাকত হয়তো, ছুটি থাকত না, মুক্তি থাকত না।

এই যা রক্ষে!


কত ভদ্রতা দাঁড়িয়ে আছে 
        দর্জির সাথে দর করে,
কত চরিত্র দাঁড়িয়ে আছে
             (দরজা জানলার) 
        ছিটকিনিতে ভর করে
  
চোখে তো পড়ে কত কিছুই
ভাগ্যে অনেক কিছুই যায় এড়িয়ে

আমার অভিমানের বদলে

 

পূর্বদিগন্তে অরুণোদয়
মেঘ বিদীর্ণ আলো 
আজ শিশিরস্নাত ভুতলে

হৃদাকাশে অরুণোদয়
অভিমান বিদীর্ণ প্রেম
আজ অশ্রুস্নাত চিত্তকমলে

  
(আলোকচিত্রঃ দেবাশিষ বোস) 

ব্যানার্জী বাড়ির বড়বউ


মেয়েটা ভরা সংসারে এসে পড়ল
না চাইল নিজেকে, না চাইল সংসারকে
তবু অনেক চাওয়ার ভাঁড়ার ঘরের দ্বারী সে
ব্যানার্জী বাড়ির বড়বউ।

দিন যত গেল, পা তত দাবল
অভ্যাস যত পোক্ত হতে লাগল
মন হল তার চেয়ে দ্বিগুণ অবাধ্য
সে বুঝল - সে বাধ্য হলেও, পোষ্য নয়
তবু সে ব্যানার্জী বাড়ির বউ।

কিছু হারাওনি


হাতের মুঠোয় কটা কুঁড়ি ধরা ছিল
ভাসিয়ে ছিলাম জলে
ওরা স্বপ্নেতে আসে ফুল হয়ে ফুটে
"কিছু হারাওনি" যায় বলে

শুভদৃষ্টি


যতবারই চাঁদের সাথে চোখাচোখি হয়
কত জন্মের শুভদৃষ্টির কথা মনে পড়ে

সেদিন শ্রাবণের পূর্ণিমা 
মেঘের ঘোমটা টেনে 
   চাঁদ আসল আমার নিকানো উঠানে
অনেক গভীর রাতে।

আদিম ভাষা


অন্য কোনো ভাষায় কথা বলবে?
যে ভাষাতে মিথ্যা বলা যায় না!
সাজানো শব্দরা কর্পূরের মত উড়ে যায়

সে ভাষার ভাষা আমি জানি, 
তুমিও জানো
সে অনুচ্চারিত চিরটাকাল
তবু প্রকাশিত

তার উপরে আমার সৌখিন ভাষার প্রলেপ
মিথ্যার বুনুনিতে প্রাণের স্বাচ্ছন্দ্য মরে দম আটকে
আমি মূক হয়ে বলি কথকতার জাল
বধির হয়ে শুনি মিথ্যার বিষাদাবলী।

Spot 44

Faith
    to realize
Seek
    to know


(Bengali Version: বিন্দু ৪৪)
[Translated By: Subhajit Roy]   

বিপত্তি


মানুষটা খুব কষ্টে সংসার চালিয়েছেন 
এতটুকু অপচয় বরদাস্ত করেননি কোনোখানে

এখন বয়েস হয়েছে,
বুঝছেন, তার বাড়ির লোকও অপচয় পছন্দ করে না একরত্তি।

যত্তসব বাজে খরচ,
অনর্থক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাশুল গোনা-
                   কি বিপত্তি!

ভুল ভালোবাসা


একটা ভুল মানুষকে ভালোবাসার অনেক জ্বালা। সব চেয়ে বড় জ্বালা হল, ভুলটা ভাঙলেও ভালোবাসাটা ভাঙে না। কিন্তু সেই ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করার মত শক্তিও আর থাকে না। কি সংকট। না যায় ভোলা, না যায় মানা। এ যে নিজের ভালোবাসা নিয়ে নিজেই নাজেহাল। না পারা যায় ভাসাতে, না পারা যায় ঘরে নিয়ে গিয়ে কুলুঙ্গীতে তুলে রাখতে। 

মানুষটা


মানুষটার ভিতরটা ছিল সমুদ্রের মত ভর্ত্তি।
লোকে ঢিল ছুড়লে, 
এমনকি থান ইঁট ছুঁড়লেও জল ছলকাতো না,
গর্জে উঠত না সে
যেমন পুকুরে ডোবায় হয়,
কারণ লোকটার ভিতরটা ছিল সমুদ্রের মত পূর্ণ।

না


বুঝত না?

         বলিনি তো!

মানত না।

ডাকত না?

         বলিনি তো!

চাইত না।

খুঁজে দেখো


যদি অনুভুতি চাও
তো বিশ্বাস রাখো
যদি জানতে চাও
তো খুঁজে দেখো

আমার না-বলা বাণীর ঘন যামিনীর মাঝে

"এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যার ওপর রবীন্দ্রনাথের কোনো গান বা কবিতা পাওয়া যায় না।"

     এ কথা আমিও আগে বিশ্বাস করতাম। বিশেষ করে গানের ক্ষেত্রে এ উক্তিটিকে ধ্রুবসত্য বলে জানতাম।

     আজ মনে করি না। আজ সে কথা কেউ বললে ভাবি, হয় আপনি পুরো গীতবিতানের পথ হাঁটেননি, নতুবা মানুষটাকে বোঝেননি। অহংকারীর মত শোনালো?

সুন্দর

যা থাকার না
তা থাকে না।

যে থাকার না
সে থাকে না।

তবু
ফাঁকা ঘরটাতে আলপনা দাও
                   সুন্দর করে।

শূন্যতাকেও ভরিয়ে তোলো নতুন করে।

কয়েক বিন্দু জল

কয়েক বিন্দু জল
সবুজ আঁচলের কোল ঘেঁষে
স্নিগ্ধ স্বচ্ছ হৃদয়খানি তার
অসীম আকাশকে ভালোবেসে


(ছবিঃ দেবাশিষ বোস) 

আছি, আসছি, এসেছি


অভিমানের ঘরের দরজা বন্ধ হোক
সে আসুক, যে জন্মালো এই গভীর রাতে
বাঁশি বাজুক আবার, 
নূপুরের রিনিরিনি শব্দের সাথে বাজুক
                          বনের মর্মর
 
আমি কান পেতে গভীর গহন আলোয়

শিক্ষক দিবস

আজ রাধাকৃষ্ণানজীর জন্মদিন। শিক্ষক দিবস। এ কথা গত বছরও এই দিনটাতে লিখেছিলাম যে, যাঁর জন্মদিনটাকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন হয়, তাঁর লেখা আমাদের সিলেবাসে এত ব্রাত্য কেন?

খুশকি ও ব্যর্থ প্রেম


খুশকি নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। এই শ্যাম্পু, সেই শ্যাম্পু... এই ডাক্তার, সেই ডাক্তার..এই টোটকা, সেই টোটকা। নায়ক নায়িকারা বিজ্ঞাপন দিয়ে দিয়ে ধনী হচ্ছেন, ভুক্তভোগীরা আশাহত হতে হতে হচ্ছেন হতাশ।
 
পরিণাম সেই এক - মাথা ভর্তি খুশকি।

পুরোনো ব্যর্থ প্রেম এই খুশকির মতই। যতই যাই করো, ফলাফল সেই এক - আচমকা, অতর্কিতে ফ্ল্যাশব্যাক! 
 
নাও সামলাও এবার!

তোকে


কিছু কথা বলাই থাকে
বলা হয়নি ভেবে ভুল হয়

কারো হাত ছেড়ে যায় না
ছেড়ে গেছে বলে মনে হয়

তুমি


-------
বলেছিলাম, এ তো মরুভূমি!
তুমি ছায়ার আড়াল করে দাঁড়ালে
বলেছিলাম, এ তো মাঝ সমুদ্র!
তুমি দ্বীপ হয়ে বাঁচালে

বলেছিলাম, এ তো দাবানল!
তুমি বৃষ্টি হয়ে নেভালে



------
তুমি নদী হলে
পাথরও হলে কখনো

তুমি বাতাস হলে
স্থির প্রদীপ শিখাও হলে কখনো

তুমি কান্না হলে
আকাশের মত নীলও হলে কখনো

যা দরকার ছিল


অনেকটা পথ হেঁচড়ে হেঁচড়ে চলার পর 
সে বুঝল

আসলে তার দরকার ছিল
একটা চাবুক
আর একটা গোলাপ।

মিথ্যার ছাই হয় না


হঠাৎ কি হল
পাঁচিলের গায়ে রোদ আটকালো?
তুবড়িতে আগুন দিতে-
ছুটল সাগরের নোনা জল?
চীৎকার করে গলার শিরা ফুলিয়ে কি বলছে ওরা?
ওগুলো মিথ্যা কথা।
কুকুরের পেচ্ছাপের মত তোমার বোধের উপর এক পা তুলে সারছে,
সরে দাঁড়াতে পারছ না?
বোধশোধ সব খুইয়েছ নাকি?
ঘুঁটের পোকা ঘুঁটের সাথেই পোড়ে,
ওরাও পুড়বে। পুড়ে ছাই হবে না।
কারণ মিথ্যার ছাই হয় না।