সৌরভ ভট্টাচার্য
 14 September 2015              
    
  
যদি মনন, চেতনার হাত ছেড়ে ছোটে? 
যদি অনুকম্পার কণ্ঠ, প্রকাশ ভঙ্গীর অলঙ্করণে পড়ে চাপা?
যদি স্থির জলাশয়ের স্বচ্ছ তলদেশ দেখাটা হয় অতিসরলীকরণ,
দেখতে হয় তাকে - গুলিয়ে, নেড়ে, ঘেঁটে..তারপর আন্দাজে তলদেশে ছুঁয়ে?
যদি বলতে চাওয়ার তাগিদের চেয়ে, বলতে চাওয়ার ভঙ্গীতে করতে হয় মুগ্ধ?
তবে দোহাই, আমি পালাই।
উদার আকাশের নীচে দিগন্ত ছোঁয়া মাঠে, 
যেখানে মেঠো সুরে রাগ-রাগিণীর ধাঁদা নেই
সোজা কথা সোজা ভাবেই আসে
প্রাণের দরদ তথ্যজ্ঞানের মদিরা পানে নয় উন্মত্ত-
সেখানে যাই।
যদি তুমি আসো
আটপৌরে সাজেই এসো
চিনে নেব তোমায়,
তোমার সুখ-দুঃখের কথা লিখব নিশ্চই
প্রাণের সুর যতটা চড়া, যতটা গভীর হয়
তার সাথে তাল মিলিয়েই।
হাততালি না পাই, ক্ষতি নাই
অন্তরাত্মার তুষ্টিতেই হবে প্রাণের তৃপ্তি
সেই পরম আমার, 
যোগ্য মান যেন যোগ্য ভাষাতেই পায় প্রকাশ,
ঠিক-ভুল
মহাকালের হাতেই পাক বিচার।