Skip to main content

লাগাম ছাড়া


কিছুটা সময় পাশে থাকো অনর্থক,
বাইরে না হয় ঝরুক বর্ষা, লাগাম ছাড়া।

কিছুটা সময় আঙুলের সাথে আঙুল গড়ুক সোপান ,
বাইরে না হয় বাজ পড়ুক, 
তছনছ হোক সাজিয়ে রাখা বাগান।

কিছুটা সময় ডুবিয়ে দাও,
ঠোঁটের নির্বাক বিন্যাস ঠোঁট আঁকুক
বাইরে না হয় বন্যা নামুক 
মাঠ ঘাট সব ভাসুক।

জেনেও


দেওয়ার পর 
দুটো হাত গুটিয়ে নিও অলক্ষ্যে
না হলে শূন্য হাতদুটোর
না মেলা হিসাব জাগাবে অনেক রাত

দেওয়ার সাথে পাওয়ার হিসাব
মেলেনি অনেকেরই

এটাই হয়
এমনই হয়

তবু দিতেও হয়
আবার হাত গুটাতে হবে জেনেও

সন্ধ্যের আকাশ


সন্ধ্যের আকাশ ম্লান হয়
ভোরের আকাশ তার ঠিকানা জানে বলে
সন্ধ্যাতারা বার্তা নিয়ে শুকতারার কানেতে যায় বলে

ঘটনা সামান্য অতি

"এতটুকু কৃতজ্ঞতা বোধ নেই!" - বাবা-মা, শিক্ষক, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, প্রায় সকলের মুখেই এই কথাটা, আকারে ইঙ্গিতে প্রকাশ্যে গোপনে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে।

জীবন


চোখে লেগেছিল সুন্দর
খুঁত ছিল, ছিল অপূর্ণতা
তবু চোখে লেগেছিল সুন্দর

মনে এসেছিল ভালবাসা
বিষ ছিল, ছিল ঈর্ষা
তবু মনে এসেছিল ভালাবাসা

চেতনায় এসেছিল আলো
সংশয় ছিল, ছিল ভয়
তবু চেতনায় এসেছিল আলো

জীবনে এসেছিল জীবন
মৃত্যু ছিল, ছিল বিচ্ছেদ
তবু জীবনে এসেছিল জীবন

হঠাৎ বৃষ্টি

অনেকদিন পর রোদ উঠেছে দেখে, বউটা কাচা কাপড় জামা মেলবে বলে ছাদে উঠল। ছাদে কাপড়গুলো মেলতে মেলতেই কোথা থেকে আকাশ জুড়ে এল ঘন কালো মেঘ করে।
       সে অবাক হল। তার হাসিও পেলো। ভাগ্য বদলায়নি একটুও! সেই রাতটা মনে পড়ল। যার সাথে পালাবে বলে এক কাপড়ে বেরিয়ে পড়েছিল, তার সেই প্রেম, স্বপ্ন- সে আসার আগেই, আগের ট্রেনে হয়েছিল দেশান্তর। 

মায়া


আমি যদি
কিছু একটা হই
অমনি দেখি আলোকে ঢেকে
বানিয়ে ফেলেছি এত্তবড় ছায়া!

নিজেকে বলি, সরে আয় ভাই
আমি তো আর তেমন কিছু নই
নিজের সাথে তাও থাকা যায়
ছায়ার যে ভাই বড্ড বেশি মায়া!

শান্ত হাওয়া


শান্ত হাওয়া চাঁদের সাথে ফিরে
নিঝুম রাতে জোনাকির ব্যাথা
শ্বেত চন্দনে ঢাকে।

প্রতিচ্ছবি


যা দেখলাম, তা সহজ
যা হল অনুভব, তা সহজ
যা বললাম, তা সহজ।
শুনল না কেউ।
বোঝাতে গেলাম
হল কঠিন।
সবাই বলল, বাহ্।

মাঝপথে


একটা বৃত্ত পূর্ণ হতে কতটা জায়গা লাগে?
জানি না
একটা কেন্দ্রে কতগুলো বৃত্তের কেন্দ্র থাকে?
জানি না
আমি পরিধি বরাবর ঘুরে এসেছি।
কেন্দ্রে শুনেছি -
   ঢেউয়ের গর্জন
        ঝড়ের হুংকার

শূন্যপাত্র

একটা লোক তৃষ্ণার্ত। গ্লাস হাতে কলের কাছে গেল। কল খুলল। হাতের গ্লাসটা কলের নীচে না ধরে, উপরে ধরল।
      হাসির কথা না? 
      হ্যাঁ, অনেককেই দেখেছি শূন্যপাত্র নিয়ে ফিরছে। সঠিক স্থানে পৌঁছাচ্ছেও হয় তো বা। কিন্তু নিজেকে নীচুতে না রেখে, রাখছে ওপরে। পরিণাম? সেই শূন্যপাত্র!

বলে যাও


আমি সব ভুলে যাই
ওই চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে

সরিয়ে নেবে?
নাও

তবে,
কোনদিকে তাকিয়ে 
    তোমার চোখ দুটো ভুলি,
                   বলতে পারো?

পারলে, বলে যাও

দিক


অনেক দিন
      এ দিক
ও দিক 
         করার পর বুঝলাম

সব দিকই
এদিক
         ওদিক

এখন তাই 
         দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে
বেশ আছি

মিথ্যা


যেদিন তোমার ভয় বাস্তবের মুখোমুখি হবে,
দেখবে বাস্তবের হাত তোমার ডান হাতে ধরা
ভয় মিলিয়ে যাচ্ছে ধোঁয়ার মত, একা।

যেদিন তোমার কল্পনা প্রেমের মুখোমুখি হবে,
দেখবে প্রেমের পাদুটো তোমার দাঁড়ানো মাটিতেই রাখা
কল্পনা মিলিয়ে যাচ্ছে কুয়াশার মত, একা।

কুহক


অনুতাপ তোমার দরজায় আনে
অহংকার দরজার সামনে এসেও
                        ফেলে গুলিয়ে
কুতর্ক পথের ধুলো উড়িয়ে করে অন্ধকার
দু'চোখ ভরা মোহাঞ্জনের 

বিষ


যখন তাকিয়েছিলে
বলেছিলাম, সুন্দর
তুমি বিষাক্ত কপটতায় 
চুমু খেয়েছিলে

সে বিষ নামল ধীরে ধীরে
আমার সর্বাঙ্গ ছেয়ে,
বাধা দিইনি
বিষে আমার অধিকার 
    না তোমার আদরের মোহ
না বুঝেই ভালোবেসেছি তোমায়

মাতৃভাষা ও প্রাথমিক শিক্ষা

বহুদিন আগে কোনো এক নিকটাত্মীয়া আমায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর সন্তানকে তিনি কোন মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা দেবেন?

সংকট

তুমি অচেনা হলে বলে
আমি নিজেকে গুলিয়ে ফেললাম

তোমার বাঁদিকে না ডানদিকে ছিলাম আমি?
মনে পড়ছে না তো,
তুমি আমার কোন হাতে হাত রেখেছিলে,
বাঁ হাতে কাটা দাগ, ডান হাতে আঁশটে গন্ধ
কোন হাতটা ধরেছিলে?

অবসর


সেদিন সকালে ঝুল বারান্দায় বসে আছি। মনটা পদের না। কেন পদের না, বুঝছি না, বোঝার চেষ্টাও করছি না। পাত্তা দিলে পেয়ে বসে। খুব আদুরে বেড়ালের মত মন এক্কেবারে পছন্দ না আমার। সে যা হোক সামনের বাড়ির বাঁধানো উঠানে কটা ঝরা পাতা এলোমেলো বাতাসে উড়ছে, দেখছি, বেশ লাগছে।

নীল অনন্ত সুখে


রাস্তায় খানিক বৃষ্টির জল জমে
চলতে গিয়ে থমকালাম আনমনে

সোজা পথ


লোকটা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস দেওয়ালটায় ঘুঁষি মেরে চলেছে। সে জানে দরজা আছে, তবু দরজার ছিটকিনি খুলে বাইরে যাবে না। সোজা পথে, সহজে যেতে তার নাকি লজ্জা লাগে, অহংকারে লাগে।

অবশেষে লোকটা দেওয়াল ভেঙে, হাত গুঁড়ো করে বাইরে এলো। 
 
এসে এবার সে পড়ল বিপদে। পথ কই? পথ তো ছিল দরজার সামনে। 

পরা টিপ


তোমাকে বলিনি
বলব কেন?
তোমার কথা কেউ শুনেছে
              আজ অবধি?
যত কান্না তোমার স্নানঘর জানে
তত কান্না তুমি ভেবেছিলে আছে তোমার বুকে?

বোঝার আগে


পথ হারালাম?
না তো!

বুঝলে কি করে?

বুঝতে চাওয়ার আগেই
ফেললাম ভালোবেসে

বুঝেছি তখন
এ পথ আমারই পথ
পেয়েছি অবশেষে

বেয়াড়া মন


তোমার দু'চোখের কোল ঘেঁষে
দুটো ছোট্ট নদী।
তাতে জোয়ার-ভাটা খেলে
পলকগুলো দু'ধারে সার সার
তরুর মত দাঁড়িয়ে,
মাঝে ভেসে আমার মন
ছোট্ট পানসিতে।

তোমার নাকের নীচে 
ঠোঁটের উপর ঘেঁষে আল পথ
আমার মনের অবাধ বিচরণ সে পথে
কখনো কখনো উপরের ঠোঁটে 
হুমড়ি খেয়ে গড়ায়
তাকে রাখতে গিয়েও
রাখি না জোর করে।

আশ্বাস


প্রতিটা গাছ
সারাটা রাত
স্থির আশ্বাস
দাঁড়িয়ে একা

হবেই ভোর
কাটবে ঘোর
তরুণ অরুণ
দেবে দেখা

হিকিকোমরি

'হিকিকোমরি' নামটা শোনা? কারোর কারোর শোনা শোনা লাগতে পারে। একটা বাংলা সংবাদপত্রে খবরটা বেরিয়েছিল।

ডাক


শুধু কি আমিই তাকে চাই?
সেও চায় আমায়
তাই আমি ডাকতে ভুলে গেলে
নিজেই ডাক পাঠায়

যেখানে


বাবা ছেলেকে বললেন
"ভগবানের কাছে সঁপে দে এবার নিজেকে, ঠিক হ"

ছেলে বাবাকে বলল,
"খোকাদার কাছ এসো, কেস সাল্টে যাবে"
(খোকাদা পাড়ার মস্তান)

সন্ধ্যেবেলা বাবা গেলেন মন্দিরেতে
মস্তানের খোঁজে

ছেলে রাতে গেল ঠেকে
ভগবানের খোঁজে

কেন?


তোমার সাজানো সংসারে
খুব সন্তর্পণে চলি
আমার হাতে পায়ে লেগে
এটা ওটা ছিটকে পড়ে
                   এধার ওধার
 
কিছু জিনিস
বে-আব্রু হয়ে পড়ে, 
         আমার গায়ের বাতাস লেগে।

আবছায়া

(কঠোরভাবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)

প্রার্থনা


তোমায় চাই,
কোনো কৌশলে না
চাই প্রেমে
সহজ সরল ব্যকুলতায়
ভাষা যেখানে 
নিজের দৈন্যে থেমে
চালাকি চাতুরী ঘুচে যাক গো
অহং আমার
আপনি আসুক নেমে

স্বাধীনতা দিবস


স্বাধীনতা দিবস। উৎসব? কত বন্ধু ট্যাগ করছেন এখানে। কত বন্ধু ভারতীয় পতাকা পাঠাচ্ছেন ওয়াটস অ্যাপে। খুব ভাল থাকতে চাইছি। মহান মানুষদের কত ত্যাগ, বীরত্ব, ইত্যাদি শুনছি টিভিতে। সত্যি কথা বলতে, ভালো লাগে না এগুলো আর।

ভাষা ও চিন্তা

শব্দ ছাড়া আমরা চিন্তা করতে পারি না। হক কথা। খুব বড় দার্শনিক Wittgenstein এই নিয়ে বহু গবেষণা করে নানাবিধ তত্ত্বের আলোক দিয়েছেন।
 
কথা হল, এ খুব খাঁটি কথা, বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বামীজি জ্ঞানযোগ বইতে বলছেন, 'চিন্তা বাঙনির্ভর'। উপনিষদের ঋষিরা প্রার্থনা জানাচ্ছেন, তাঁদের মন ও বাক্য যেন একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে। রবি ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, 'বাক্য যেথা হৃদয়ের উৎসমুখ হতে'।

যা দেখছি


(বলা যাক প্রাক্- স্বাধীনতা দিবসের খেদ। উচ্ছ্বাস, আবেগটা সরালে যাকে কালো প্রশ্ন চিহ্নের মত বুকের কোণে বিঁধে থাকতে দেখি......)

দেখার সাথে


কোন দিকেতে তাকাই তোমার?

নাক-চোখ-ঠোঁট-হাত-পা?

না তো না
না গো না

তুমি আসলে দেখার সাথে
কি আসে আর?

আসে আসে আসে
জানি জানি জানি,
আসে জন্মান্তরের ব্যাথা!

তোমায় যেন পেয়েছি হাজারবার
তবু যেন হারিয়েছি তার বেশি
স্মৃতির আঁচড়ে চিনচিনে সে কথা।

বিষাদ


 
বিষাদ ততটাই গভীর হবে
যতটা তুমি চাও

বিষাদ ততটাই দীর্ঘ হবে
যতটা তুমি চাও

খুব গভীরে নেমো না
খুব দূর পথ হেঁটো না

বিষাদের মোহ
বিষাদের চেয়েও ভয়ংকর


(ছবিঃ সুমন দাস)

সবার শেষে


সবার শেষে একজন মানুষই দাঁড়িয়ে থাকে,
বিধ্বস্ত, শ্রান্ত,
তবু সামনের দিকে তাকিয়ে।

সবার শেষে কিছু বিশ্বাসের আত্মা আবার দেহ খোঁজে,
নতুন ধর্মে, নতুন মতে।

সবার শেষে কিছু নিহত ভালোবাসা তুষারপাত হয়ে ঝরে
নিঃসঙ্গতার অরণ্যে।

সবার শেষে কিছু কান্নার আওয়াজ সঙ্গীতের মূর্ছনা হয়ে ফেরে
কাল থেকে মহাকালে।

শিক্ষা


অধ্যাপক মহাশয়
তাঁর সম্ভাবনাময় ছাত্র-ছাত্রীদের
যখন গাছটার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন

অশিক্ষিত মালীটা
দাঁড়িয়ে ছিল একটু তফাতে
ওনারা চলে গেলেই
গাছটায় জল দেবে বলে

অপেক্ষা


ছেলেটা অঙ্কের খাতার শেষ পাতা খুঁজে চলেছে
                                             সকাল থেকে

আবর্ত


শত্রুপক্ষ কেউ নেই
যাঁরা আছেন তাঁরা
               বিপরীতপক্ষ

আর আছেন কেউ কেউ মাঝে
               নিরপেক্ষ

এরই মধ্যে!


এই মাত্র যে গুছিয়ে গেলাম!
কি হল সব?
এরই মধ্যে ছড়িয়ে গেল?

এমনই হয়
রোজই হয়
রোজই ভাবি, আর না
থাক যা কিছু
যেমন আছে পড়ে।

হয় না যে,
আবার আসি
অহংকারে
গুছিয়ে নিতে 
সব কিছু ফের
নিজের মত করে।

অসময়ে


বাতাস আগুন জ্বালে না
দু'হাত আলোর মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে
আলো হাতে ধরা দেয় না
চোখদুটোতে কালো কাজল
চোখের জলে ধুয়েও ধুলে না
ভিজে পায়ে ধুলো পথে হেঁটে
পথের ধুলো আনলে ঘরে
সারাটা দিন আগলটাকে
আঁচলে বেঁধে বেড়ালে
সরালেও না, রাখলেও না
ভোরের আকাশে শুকতারা,
সন্ধ্যাতারাকে চিনবে বলে
সারাটা দিন সূর্য্যকে গায়ে মাখলে না

আসল উৎসব

এই প্রথম শান্তিনিকেতনের কোনো উৎসবে থাকার সুযোগ ঘটল, বা সৌভাগ্য হল বলা যায়। বৃক্ষরোপণ উৎসব। সার দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা 'মরু বিজয়ের কেতন উড়াও' গানের সাথে সাথে নাচের মাঝে বৃক্ষকে মহাসমারোহে আহ্বান করে নিয়ে আসল। 

না, আমি কোনো উৎসবের বর্ণনা দেব বলে লিখছিনা। উৎসব অনেক দেখেছি। অংশ নিয়েছি, হই হুল্লোড় করেছি। 

প্রেম?

অনেককে দেখেছি, প্রেমটাকে বিয়েবাড়ির মেনু কার্ডের মত বানিয়ে ফেলেছে। এটার পর ওটা আসবে, সেটার ওটা হবে। এইসব ভেবে লালা চুকচুক জিভে পাত পেড়ে বসে থাকে। একটু এদিক ওদিক হল কি, অমনি গোঁসা। যা দিয়েছে তার হিসাব কষে মনে মনে অভিমানের লুচি ভাজবে- "ইস্, এত দামী গিফট আনাটা কি ঠিক হল! এতো সেরকম কিছুই আয়োজন নেই দেখছি!"

হ্যাঁ-না


জেনেছি
জানি না

বুঝেছি
বুঝি না

মেনেছি
নেইও, আছেও

হারিয়েছি
ছায়াতে ছায়া

যা আছে
তাই আছে

যা নেই
তা নেই

আমি নেই
আমি আছি

ভালো আছি



----
তবু ভাল আছি তো

জানি কেউ কেউ বিশ্বাস করে না

আয়না, মাথার বালিশ, আর নির্জন সন্ধ্যে


----
জানি তুমিও ভাল আছ

তবু কেউ কেউ বিশ্বাস করে না

আমার হৃদয়, তোমার চোখ, আর রাতের আকাশ

কি?


সত্য কি?
কে জানে?
কে বোঝে?

নিশ্চুপ সব

সত্য কি ভিতরে?
অনুভবে?
সত্যি কি বাইরে?
যুক্তিতে?

যে খোঁজে
সে বোঝে
যে বোঝে
সে কই?

সে মিলিয়ে গেছে
রোদে জলে বাতাসে আকাশে

কে?


জল পড়ল
টুপ

মন বলল
চুপ

জল বলল
কিসের ঢেউ?

মন বলল
এল কি কেউ?

চলেছি


উড়ে চলেছি
ভেসে চলেছি

খুঁড়িয়ে চলেছি
হেঁচড়ে চলেছি

জেগে চলেছি
ঘুমিয়ে চলেছি

পিছনে চলেছি
সামনে চলেছি
উপরে চলেছি
নীচে চলেছি

ভুলে চলেছি
ঠিকে চলেছি
পাপে চলেছি
পূণ্যে চলেছি
আলোতে চলেছি
আঁধারে চলেছি

একা চলেছি
দোকা চলেছি
অনেকে চলেছি

আশঙ্কা


গোলাপকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি
গোলাপ বোঝেনি কোনোদিন।

রামধনুর রঙ চোখ জুড়িয়েছে
মনে মনে বলেছি, বাহ্।
সে শোনেনি কখনো সেভাবে।

নীলাকাশের বুকে চাঁদের শোভা-
এও তো যুগান্তরের মাধুর্য্য
আত্মভোলা আবেগে বলেছি, উফ্
চাঁদ, আকাশ ফিরেও তাকায়নি।

তুমিও কি ওদের মতই হবে?

অবিশ্বাসী


মড়া হাড়ে মালা পরাতে গেলে
মালার ফুলগুলো আর্তনাদ করে ওঠে-
আমরা মরিনি...মরিনি..মরিনি..

তবু পরাতেই হয় মালা
জোর করে মড়ার হাড়ে
সতেজ ফুলের মালা

এটাই তো কৃষ্টি
সতেজকে মারো
মৃতকে করো হিমালয়
যাতে কেউ চড়তে না পারে
উঠতে গেলে, নামাও পা-ধরে
"যত্তসব অবিশ্বাসীর দল"!

রহস্য

ইতিহাসে পড়েছিলাম, সেই আদিম যুগে, মানুষ - বিদ্যুৎ, ঝড়, বন্যা এইসব ঘটনায় ভাবত দেবতারা রুষ্ট হয়েছেন। তাই নানা রকম আচার অনুষ্ঠান করে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করত। সেই থেকে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী দেব-দেবীদের নামকরণ ও দায়িত্ব নির্ধারণের একটা কল্প-গল্প মানুষের মনে তৈরী হয়েছিল। বলা বাহুল্য বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সে ধারণা পাল্টাল।
 

তোমার চোখ


তোমার চোখ
আমার সব আনন্দের খনি
তোমার আশ্বাস
আমার প্রতি হৃদয়ধ্বনি

সে

সে, একটা ছোট বালির কণা হতে পারে
কিম্বা হিমালয়ের চূড়া
একটা গোলাপ
কিম্বা একজন কাছের মানুষ।

সে ইঙ্গিত হতে পারে
অথবা নির্দেশ
পথ হতে পারে বা সাগর
দুঃখ হতে পারে সুখও
আনন্দের জ্যোতিতে আলো।

সে আরো অনেক কিছু হতে পারে
শুধু আমি চাইলেই
আমি চাইব কবে?

ফিরব

তোমার হাত ছাড়িয়ে ছুটলাম
                             কৌশলে।

সেকি ছুট!
সেকি দৌড়!
সেকি উদভ্রান্ততা!

বন্ধুত্

আজ বন্ধুত্ব দিবস। জানতাম না। অনেকে বললেন বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু লিখতে। ভাবলাম কি লিখব? বন্ধুত্ব নিয়ে কি লেখা যায়! এ তো বিশাল বড় কথা - বন্ধুত্ব।