(বলা যাক প্রাক্- স্বাধীনতা দিবসের খেদ। উচ্ছ্বাস, আবেগটা সরালে যাকে কালো প্রশ্ন চিহ্নের মত বুকের কোণে বিঁধে থাকতে দেখি......)
যা দেখছি
--------------
এমন কি খোঁজার ছিল
যার জন্য এত উগ্র তুমি আজ?
তোমার সমস্ত দৃষ্টি চোখের থেকে ছিটকে
মাটিতে গড়াচ্ছে
পুড়ে যাচ্ছে মাটি, ভিটে, গাছের পাতা
তোমার সারাটা শরীর কুঁকড়ে আছে আতঙ্কে
তাও কুকুরের মত মাটি শুঁকে শুঁকে বেড়াচ্ছ
পশুর মত নখ গজিয়েছে তোমার
তা দিয়ে যা পাচ্ছ চিরছ
কেন বলো না!
বলো.... বলো......বলো....
কানে তোমার অহঙ্কারের তুলো
সব বাক্য ফিরে আসছে ধাক্কা লেগে
ব্যঙ্গ প্রতিধ্বনির মত
এখন মনে হয়
কিছুই খোঁজার নেই তোমার,
নেই নেই, কিছুই নেই তোমার!
শুধু মাত্র খোঁজার ভাণ ছাড়া
যা চেয়েছিলাম
-----------------
আমি স্বরবর্ণ, ব্যাঞ্জনবর্ণ,
যুক্তাক্ষর, অমিতাক্ষর
কিচ্ছু চাই না
রক্তে মাংসে গড়া মানুষকে চাই
শ্বাস প্রশ্বাসে বুক ভরে তাকেই
পাশে চাই
আছে পাশে?
না তো
কিছু কঙ্কাল এদিক ওদিক ছিটকে
বুকের কাছে পোড়া গন্ধ
ছুটে পালাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ি মাটিতে
আমার পায়ে আটকে খুলির মালা
ওদের চোখের কোটোরে আমার মত কিছু মুখ
ওরা কি আমি?
না... না......না.....
আর্তনাদে আমার গলা চেরে
তবু এক মুঠো শব্দও বেরোয় না গলা থেকে
গলা চিরে রক্তের নোনতা স্বাদে ভরে মুখ
আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম
শ্মশানে না, স্মৃতিসৌধে না, বক্তৃতায় না
মানুষের সাথে খোলা মাঠে
কিছু ল্যাংটা শিশুর সাথে ধূলোগায়ে