Skip to main content

থেকেই যা

শুভ একাই থাকে, অন্তত আমি তো তাই জানি। যখন টেক্সট করল 'চাবিটা নিয়ে নিস', আমার একটু অবাকই লাগল। আমি আসব জেনেও কেন থাকবে না?

          যা হোক, বাড়ির চাবি কোথায় রাখে আমি জানি। সেইমত দরজাটা খুলে ঢুকলাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘর। কেমন একটা বোঁটকা গন্ধ। কদ্দিন নেই বাড়িতে? ফোন করলাম। সুইচ অফ্।

রেনকোট

রেনকোটটা সুদীপ নিজেই বার করে সুশান্তকে দিয়েছিল। সুশান্ত বেরোতে যাবে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নামল। সন্ধ্যে থেকে বোঝাই যায়নি যে আকাশে এমন মেঘের জট পাকিয়েছে। তখন কটা হবে, দশটা, সাড়ে দশটা হবে। সুশান্ত বাইক নিয়ে সুদীপের রেনকোট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল। ওর আজ নাইটশিফট, যেতেই হবে। নইলে থেকেই যেত। ও রেনকোটটা নিতে একটু ইতস্ততও

টিনের কৌটো

পাখিটা উড়ে গিয়ে পুকুরপাড়ের গাছটায় বসল। সন্ধ্যে হব হব। বকের সারি ধানক্ষেতের উপর দিয়ে উড়ে গেল। একটু একটু শীত শীত করছে। এদিকটা এত ফাঁকা ফাঁকা। শেয়াল ডাকতে শুরু করল। এ সব শুনব বলেই তো গ্রামে আসা। তবে এবারের অ্যাডভেঞ্চারটা অন্য। আমার পিসেমশায়ের বন্ধুর ছেলে তারকদার সঙ্গে এসেছি। তারকদা কলেজ অবধি পড়েছে। অ্যাকাউন্টেন্সি অনার্স ছিল। খুব মিশুকে। আহেরিটোলায় আমাদের বাড়িও গিয়ে থেকে

লাল সোয়েটার

অনিকেতের লাল সোয়েটারটার দিকে চোখ পড়ল। কাছে গিয়ে প্রাইস ট্যাগটা দেখল। বাজেটের মধ্যে। একটা মেয়ে এগিয়ে এসে সোয়েটারটা অনিকেতের হাতে দিয়ে বলল, ট্রায়াল দেবেন তো?

অনিকেত মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। কিন্তু মেয়েটাকে দেখে খটকা লাগল। কোথায় যেন দেখেছে।

যা হোক, ট্রায়াল রুমে ঢুকে গায়ের জ্যাকেটটা খুলে হুকে লাগিয়ে একবার আয়নায় নিজেকে দেখল।
...

রাতের ট্রেন

পিসি ট্রেনে তুলে দিয়ে বললেন, আজকের দিনটা থেকে গেলেই পারতিস, এত রাতে কেউ যায়?

   কিন্তু আমায় ফিরতেই হবে, কাল ভোরে স্কাউটের একটা জরুরি প্রোগ্রাম আছে। না যেতে পারলে এবারে মধুপুর যাওয়া ক্যান্সেল।

   বেশ জাঁকিয়ে শীত পড়েছে, উইন্ডচিটারের চেনটা গলা অবধি টেনে একটা সিটে বসলাম৷ পৌঁছাতে আধঘন্টা লাগবে।
...

এদিক ওদিক

কোনো এক গ্রামে একটা নেড়া ভূত থাকত। সে মৃত্যুর পর থেকেই নেড়া। সেই নিয়ে তার মনের মধ্যে একটু আধটু দুঃখ ছিল না যে তা নয়, তবে কি করবে বলো? কত ডাক্তার-বদ্যি, ওঝা-তান্ত্রিক সব দেখিয়েছে
...

আমার ধৈর্য ভীষণ কম

আমি যখন মাসির বাড়ি পৌঁছালাম, তখন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার আশেপাশে হবে। মিনতিদি, মাসির মেয়েটার যিনি দেখাশোনা করেন, তিনি জানতেন আমি আসব, আগেই ফোন করে বলা ছিল। আমি ঢুকতেই বললেন, তুমি স্নান করে এসো, আমি ম্যাগী বানিয়ে রেখেছি, আজ দিদির ফিরতে দেরি হবে, অফিসে একটা কাজে আটকে গেছে।   মাসির বাড়ি ডানলপে।
...

সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা

মন্দিরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আবার আর্তনাদটা শুনল। একই আওয়াজ। সময়টাও একই, সাড়ে সাতটা বেজে কয়েক সেকেণ্ড। দাঁড়িয়ে পড়ল ভবেশ। পিছিয়ে এল কয়েক পা। মন্দিরের বন্ধ দরজাটার দিকে তাকালো। কিছুক্ষণ আগেই বেশ বৃষ্টি হয়ে গেছে। মাটিটা ভিজে। পা দেবে আছে মাটির মধ্যে।
...

ঝাপসা

হাস্পাতালের দোতলায় বসে আছি। ফাঁকা বেঞ্চ। রাত আড়াইটে হবে। আমার পাড়ার একজন বয়স্ক মানুষের জন্য এসেছি। ওনার ছেলে নীচে গেছে ওষুধ কিনতে। একাই বসে মোবাইল ঘাঁটছি, হঠাৎ পাশে এসে মনে হল কেউ দাঁড়াল।
...

ভূতচতুর্দশী

পেটে অসহ্য ব্যথা, পাড়ার ছেলে, ছুটলাম নিয়ে হাস্পাতাল। রাত দুটো। জওহরলাল হাস্পাতালের ইমারজেন্সী। ওকে ভর্তি করে নিল। গরমকাল, আমরা ঠিক করলাম একটু দেখে নিয়ে ফিরব। সবার বাইক আছে প্রবলেম হবে না।
...
Subscribe to ভুতুড়ে গল্প