এই তো... এই তো..
গাছ থেকে নেমেই বদনের যেটা খেতে ইচ্ছা করল, সেটা হল সুজি। মা করত। গুড়ের সুজি। লাল। মাখা মাখা।
প্রচণ্ড গরম। গাছে উঠেছিল কেন মনে পড়ছে না। একটাও আম নেই। খানিক কাঠ পিঁপড়ের কামড় জুটেছে। খিদে পেয়েছে প্রচণ্ড। খাবে কি?
সিট ভেজানো লোকটা
প্রচণ্ড বৃষ্টি। রাস্তায় আটকে গাড়ি। জ্যাম।
দরজায় ধাক্কা দিল। দাদা, একটু খুলবেন? প্লিজ!
কাকভেজা মধ্যবয়েসী লোক একটা। গাড়িতে এসে বসল। সারা গা চুঁইয়ে জলে ভিজছে সিট।
সরি স্যার। আমায় হাস্পাতালে নাবিয়ে দেবেন একটু! আমার মেয়েটার অপারেশান! প্লিজ!
ঘুড়ি.. ঘুড়ি.. ঘুড়ি
দূরত্বে পাশের বাড়ির জানলা। বাচ্চাটা এখনও ঘুমায়নি। দুদিন হল এ বাড়ি এসেছি। রোজই দেখি সন্ধ্যে
হলেই বাচ্চাটা ওর ঘরে জানলার উপর বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকায়, কিন্তু কথা বলে না। ওই
বাড়িটা নাকি এক অধ্যাপকের। স্বামী স্ত্রী দুজনেই অধ্যাপনা করেন।
শুনতে পাচ্ছ?
আড়াইটে বাজতে তিন মিনিট বাকি। এত রাতে টয়লেটে যেতে বিরক্তই লাগে। কিন্তু উপায় কি?
উঠল, টয়লেটের দরজায় ঠেলা দিল। দরজা বন্ধ। ভিতর থেকে।
বোকা কোথাকার!
ঘুঁটেগুলো তুলে নিয়ে ফিরতে যাবে, হঠাৎ গাছের উপর থেকে কেউ যেন বলল, দুটো দিয়ে যা না রে, ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি, একটু আগুন জ্বেলে বসি।
রমার ঠাকুমার তো দাঁত কপাটি লাগার জোগাড়। "রাম রাম" বলতে আবার দু পা এগিয়েছে, অমনি গাছ থেকে আবার সে বলল, রাম নামে পালাবো আমি অমন পাপী ভূত না রে, ভ্যাকেন্সি নেই উপরে তাই মাঝখানে রিজার্ভে আছি। বডি পেলেই ঢুকে যাব।
রাতের পড়ুয়া
...
লাস্ট বাস
বাসের শেষ সিট। ফাঁকা বাস। হয় তো শেষ বাস। কন্ডাক্টর ঝিমোচ্ছে। ফাঁকা রাস্তা। ক্ষমতার চেয়ে বেশি স্পিডে ছুটছে বাসটা।
হঠাৎ একটা ভীষণ ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল বাসটা। কন্ডাক্টর একবার জানলার দিকে মুখ বাড়িয়ে বলল, ধুস্ শালা, আবার!
থেকেই যা
রেনকোট
রেনকোটটা সুদীপ নিজেই বার করে সুশান্তকে দিয়েছিল। সুশান্ত বেরোতে যাবে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নামল। সন্ধ্যে থেকে বোঝাই যায়নি যে আকাশে এমন মেঘের জট পাকিয়েছে। তখন কটা হবে, দশটা, সাড়ে দশটা হবে। সুশান্ত বাইক নিয়ে সুদীপের রেনকোট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল। ওর আজ নাইটশিফট, যেতেই হবে। নইলে থেকেই যেত। ও রেনকোটটা নিতে একটু ইতস্ততও
টিনের কৌটো
পাখিটা উড়ে গিয়ে পুকুরপাড়ের গাছটায় বসল। সন্ধ্যে হব হব। বকের সারি ধানক্ষেতের উপর দিয়ে উড়ে গেল। একটু একটু শীত শীত করছে। এদিকটা এত ফাঁকা ফাঁকা। শেয়াল ডাকতে শুরু করল। এ সব শুনব বলেই তো গ্রামে আসা। তবে এবারের অ্যাডভেঞ্চারটা অন্য। আমার পিসেমশায়ের বন্ধুর ছেলে তারকদার সঙ্গে এসেছি। তারকদা কলেজ অবধি পড়েছে। অ্যাকাউন্টেন্সি অনার্স ছিল। খুব মিশুকে। আহেরিটোলায় আমাদের বাড়িও গিয়ে থেকে